শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুমিল্লাঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, আগামী জুন মাসের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে। পর্যায়ক্রমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন।

তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে আজ শুক্রবার তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন আবেদনকারী যেন প্রতারণার শিকার না হয় সেজন্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। পরীক্ষার্থীরা সবাই সুশৃঙ্খল পরিবেশেই পরীক্ষা দিচ্ছেন।

এসময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার তৃতীয় ধাপে কুমিল্লা জেলায় ৩২ হাজার ১৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৭৬৭ জন এবং পুরুষ ১৭ হাজার ৪৩২ জন।

শিক্ষা বার্তা ডট কমে/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

শিক্ষাবার্তা পত্রিকায় গত ২২ মার্চ ‘ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে সাময়িক বরখাস্ত নিয়ে অচলাবস্থা' শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন রায়হান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ রহিমা আফরোজ। তিনি দাবি করেছেন, অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করতে গেলে রায়হান স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বড়ির সাবেক সভাপতি মো. হাফিজুর রহমান ব্যক্তি স্বার্থে তার দলবল নিয়ে বাধা দেন এবং অবরুদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করেন। লালবাগ থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেন ।

পঞ্চগড়ঃ জেলার মকবুলার রহমান সরকারি কলেজে শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা অনেক কম। এই কলেজে উচ্চমাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করলেও তাঁদের পাঠদানের জন্য আছেন মাত্র ৩৫ জন শিক্ষক। খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েও বিভিন্ন বিভাগের পাঠ্যক্রম শেষ করা যাচ্ছে না। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কলেজের বেশ কয়েকটি বিষয়ে তিনজন বা এর বেশি শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও আছেন মাত্র একজন করে। ফলে একজন শিক্ষক পাঠদান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন।

কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ে ১ হাজার ১০০ শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন মাত্র একজন। ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি এবং স্নাতক ৩২০ শিক্ষার্থীর পাঠদানের দায়িত্বে আছেন একজন শিক্ষক।

আইসিটির শিক্ষক প্রভাষক মো. রাহাত আলম প্রধান বলেন, ১ হাজার ১০০ শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতে গিয়ে তাঁর সমস্যা হচ্ছে। মাঝেমধ্যে অতিথি শিক্ষকের (খণ্ডকালীন শিক্ষক) সহায়তায় চালিয়ে নেওয়া হয়।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে সহকারী অধ্যাপক মো. ছায়েদুর রহমান প্রধান বলেন, উচ্চমাধ্যমিকের ১২০ জন আর স্নাতকের (পাস) ২০০ জন শিক্ষার্থীকে একাই পাঠদান করতে হয় তাঁকে। প্রায় সাত বছর ধরে তিনি একাই এভাবে পাঠদান করছেন। এর মধ্যে প্রায় দুই বছর আগে একজন শিক্ষকের পদায়ন হলেও তিনি যোগদান করার অগেই বদলি হয়ে চলে যান। মাঝেমধ্যে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে খণ্ডকালীন শিক্ষক দিয়ে পাঠদান চালানো হয় বলে জানান তিনি।

রসায়ন বিষয়ে উচ্চমাধ্যমিক ও স্নাতকে (পাস) মোট ৫০০ জন শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছেন একজন শিক্ষক। রসায়ন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. পশিবুল হক বলেন, শিক্ষার্থী অনুযায়ী রসায়ন বিভাগে পাঠদানের জন্য আরও শিক্ষক প্রয়োজন। একাই ৫০০ জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতে অনেক সময় হিমশিম খেতে হচ্ছে।

কলেজের অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন প্রধান প্রথম আলোকে বলেন, ‘শিক্ষার্থী অনুপাতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে বেশ কয়েকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ না নেওয়ায় শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে নিতে খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিতে হয়েছে। তবে খণ্ডকালীন শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। কলেজের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনেই চালানো হয় দাপ্তরিক কার্যক্রম। শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি কলেজে দ্রুত একটি প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ করাও জরুরি হয়ে পড়েছে।

কলেজের কার্যালয় ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৬৫ সালে জেলা শহরের ডোকরোপাড়া এলাকায় ৯ দশমিক ১৬ একর জমিতে গড়ে ওঠে মকবুলার রহমান কলেজ। এরপর ১৯৮৩ সালের ১ মে কলেজটি জাতীয়করণ হয়। ১৯৭০ সালে স্নাতক (পাস কোর্স) এবং ১৯৯৮-৯৯ শিক্ষাবর্ষে ৬টি বিষয়ে স্নাতক (সম্মান) কোর্স চালু হয়। স্নাতকোত্তর চালু হয় ২০১৩ সালে। কলেজে বর্তমানে শিক্ষার্থী ৭ হাজার ১৩০ জন। এর মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকে ১ হাজার ১০০ জন, স্নাতক ৮০০ জন, ৯টি বিষয়ের স্নাতক (সম্মান) কোর্সে ৪ হাজার ৬০০ জন এবং ৬টি বিষয়ের স্নাতকোত্তরে ৬৩০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন। কলেজে ৮০ আসনের ১টি ছাত্র হোস্টেল ও ১০০ আসনের একটি ছাত্রী হোস্টেল আছে। কলেজের পুরোনো প্রশাসনিক ভবনে একটি গ্রন্থাগার আছে, তবে গ্রন্থাগারিক না থাকায় সেখানে কার্যক্রম নেই বললেই চলে।

স্নাতক (সম্মান) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুসনাদ আহম্মেদ মান্নান বলেন, ‘প্রথম বর্ষে যেভাবে ক্লাস হয়, সেভাবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষে ক্লাস হয়। চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়ায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। আমাদের যে কয়েকজন শিক্ষক আছেন, তাঁদেরকেই উচ্চমাধ্যমিক, ডিগ্রি, অনার্স—সব জায়গায় সামাল দিতে হয়। কলেজে আরও শিক্ষক হলে আমরা শিক্ষার্থীরা উপকৃত হতাম।’

বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. এহতেশামুল হক বলেন, ‘থাকায় আমরা যাঁরা কর্মরত আছি, তাঁদেরকেই উচ্চমাধ্যমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পাঠদান করতে হয়। এতে পাঠদানে হিমশিম খেতে হয়।’

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

কুমিল্লাঃ   এবার কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক মোহাম্মদ আইনুল হক একসঙ্গে দুই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন। তিনি ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিনিধি পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর তিনি এ পদত্যাগ পত্র জমা দেন।

পদত্যাগ পত্রে মোহাম্মদ আইনুল হক উল্লেখ করেন, আমি ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর থেকে ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক এবং ২০২৩ ও ২০২৪ সালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসনের কর্তৃক বিভিন্ন অনিয়ম এবং সেচ্ছাচারী সিদ্ধান্তে কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরিকৃত সংকটের কোনো সমাধান না করে উপরোন্ত নতুন নতুন সংকট তৈরি, অনিরাপদ কর্মক্ষেত্র এবং পেশাগত বিশৃঙ্খলা তৈরির পাশাপাশি বিভিন্নভাবে শিক্ষকদের মর্যাদাহানি করা হচ্ছে। এ সমস্ত বিষয়ের প্রেক্ষিতে আমি ওই পদগুলোতে দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করছি।'

এ বিষয়ে মোহাম্মদ আইনুল হক বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমান যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তা সমাধান না করে আরও অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিন, বিভাগীয় প্রধান নিয়োগে আইন মানা হচ্ছে না। এমনকি গত ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষকদের সাথে কর্মকর্তাদের যে অসৌজন্যমূলক আচরণ তার কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এজন্য আমার মনে হয়েছে, এই পদে আমার থাকা অনুচিত।'

উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মো: কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন।

এছাড়াও ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় 'এজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনীভাবে ডিন নিয়োগ' দেয়ার কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যর পদ থেকে অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান পদত্যাগ করেন। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ চার হলের চার আবাসিক শিক্ষক পদত্যাগ করেছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ  নতুন বছরে ক্লাস শুরুর ৩ মাস পার হলেও এখনও কাটেনি শিক্ষার্থী মূল্যায়নের ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপের জটিলতা। বেশিরভাগ স্কুলের শিক্ষকেরাই এই অ্যাপে ঢুকতে পারছেন না। এখনও চূড়ান্ত হয়নি মূল্যায়ন পদ্ধতিও। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বলছে, জটিলতা নিরসনে কাজ চলছে।

চলতি বছর মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণি পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমে কার্যক্রম চলছে। যা চালুর পর থেকেই প্রস্তুতির যথেষ্ট ঘাটতির কথা বলছেন শিক্ষা গবেষকেরা।

নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের শ্রেণিভিত্তিক মূল্যায়ন করা হবে। মূল্যায়নের ফল শিক্ষকরা ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপসে দেবে। বছর শেষে ওই অ্যাপের মাধ্যমেই শিক্ষার্থী মূল্যায়ন হবে। অথচ ৩ মাস পার হলেও অ্যাপের জটিলতাই কাটেনি।

মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক দেওয়ান তাহেরা আক্তার বলেন, ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপসে ছেলেদের তথ্য ইনপুট দিয়েছি। তবে মূল্যায়নের ক্ষেত্রে কাজ চলছে বলে দেখাচ্ছে। সেগুলো ইনপুট দিতে পারছি না।

রাজধানীর বাইরের অবস্থা আরও শোচনীয়। ঢাকার বাইরের শিক্ষকের জানান, অ্যাপস পুরোপুরি চালু না হওয়ার তাঁদের জটিলতা বেড়েছে। মূল্যায়ন আদৌ হচ্ছে কিনা তাই বুঝতে পারছেন না তাঁরা। অনেকক্ষেত্রে অ্যাপসে ঢুকতে পারছেন না তাঁরা।

অভিভাবক নেতারা বলছেন, একদিকে অ্যাপস জটিলতা, অন্যদিকে মূল্যায়ন পদ্ধতি সম্পর্কেও তারা স্বচ্ছ ধারণা পাচ্ছেন না।

অভিভাবক নেতা আনোয়ার কবির ভূঁইয়া পুলক বলেন, আমরা অনেক উদ্বিগ্ন। আমাদের বাচ্চাদের কীভাবে মূল্যায়ন করা হচ্ছে আমরা তা জানিনা। স্কুল বা সরকারের তরফ থেকেও আমাদের বিস্তারিত কিছু জানানো হচ্ছে না।

এনসিটিবির চেয়ারম্যান বলছেন, সফটওয়্যারের জটিলতা দ্রুতই নিরসন হচ্ছে।

এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, যে স্কুল আমাদের কাছে সমস্যার কথা জানিয়েছে তা সাথে সাথেই ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। সমস্যা হলে আমাদের জানাতে হবে।

এদিকে, মূল্যায়ন পদ্ধতি ও ভুল-ত্রুটি চিহ্নিত করতে দুটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন হলেও এখনও প্রতিবেদন জমা হয়নি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ  সম্প্রতি অবৈধভাবে ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তির ঘটনায় বেশ সমালোচনার মুখে পড়ে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। বিষয়টি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় এখনও ঝুলে আছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে। এরই মধ্যে ফাঁস হয়েছে আরও ৩৬ ছাত্রীর ভর্তি জালিয়াতির তথ্য। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়।

তদন্তে ইতোমধ্যে ভর্তি জালিয়াতির প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে কমিটি। এর প্রেক্ষিতে ভর্তি সংশ্লিষ্টদের কাছে গত ২৫ মার্চ একটি চিঠি পাঠিয়েছেন তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান।

জানা গেছে, ছয় সদস্যের ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায়। ভর্তি কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডি প্রভাতি শাখার প্রধান মাহমুদ আহমদ, মূল দিবা শাখার প্রধান শাহ আলম, বসুন্ধরা দিবা শাখার প্রধান জগদীষ চন্দ্র পাল, মূল দিবা শাখার সিনিয়র শিক্ষক চাঁদ সুলতানা ও আজিমপুর প্রভাতি শাখার সিনিয়র শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ।

জালিয়াতির মাধ্যমে ৩৬ শিক্ষার্থীর ভর্তির বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কেকা রায় চৌধুরী বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষ হোক, তখন জানা যাবে।’

এদিকে ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর বরখাস্ত করা হয় মূল ক্যাম্পাসের দিবা শাখা (বাংলা ভার্সন) প্রধান মো. শাহ আলম খানকে। ছাত্রী ভর্তিতে তাকে দায়ী করা হলে ভর্তি কমিটির অনিয়মের বিষয়টি গভর্নিং বডির সভাপতি ও ঢাকার বিভাগীয় কমিশনারের কাছে লিখিতভাবে তুলে ধরেন তিনি।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারির লিখিত অভিযোগে মো. শাহ আলম খান জানান, মূল প্রভাতি বাংলা ভার্সনে ৯ জন, মূল দিবা বাংলা ভার্সনে ২ জন, মূল প্রভাতি ইংরেজি ভার্সনে ২ জন, মূল দিবা ইংরেজি ভার্সনে ৪ জন, ধানমন্ডি দিবা শাখায় ৩ জন, বসুন্ধরা প্রভাতি শাখায় ২ জন, বসুন্ধরা দিবা শাখায় ৩ জনসহ মোট ৩৬ জনকে ভর্তি করা হয়। এসব শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে মিথ্যা তথ্যের মাধ্যমে জাল সনদ ব্যবহার করা হয়। ভর্তির ফরম বাছাইয়ে নীতিমালার ৪ নম্বর অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের ভর্তি বাতিলযোগ্য।

লিখিত অভিযোগে অনিয়মের তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধও জানান শাহ আলম।

এরপর তদন্ত শুরু করে ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়। তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ঢাকা অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মমিনুর রহমান প্রথম শ্রেণিতে ৩৬ জন ছাত্রী ভর্তির বিষয়ে পরবর্তী চার কর্মদিবসের মধ্যে চিঠির মাধ্যমে জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন ভর্তি সংশ্লিষ্টদের। জবাব পাওয়া না গেলে ‘এ বিষয়ে কোনও বক্তব্য নেই’ মর্মে গণ্য হবে বলে জানানো হয় ওই চিঠিতে।

এর আগে একই প্রতিষ্ঠানে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ১৬৯ জন ছাত্রীকে অবৈধভাবে ভর্তি করানোর ঘটনা সামনে আসে। এই ঘটনায় ভর্তি বঞ্চিত অভিভাবকদের পক্ষে হাইকোর্টে রিট দাখিল করা হয়। রিটের রায়ে ভর্তির বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেন আদালত।

হাইকোর্টের রায়ের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে ওই ১৬৯ জন ছাত্রীর ভর্তি বাতিল করতে নির্দেশ দেয়। পরে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে অভিভাবকরা আপিল করলে হাইকোর্টের রায়ের স্থিতাবস্থা জারি করেন আপিল বিভাগ।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

মুহাম্মদ আবদুল কাদিরঃ সপ্তদশ শতকে যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল, তা আজ বিশ্ব নিয়ন্ত্রণের প্রধান নিয়ামকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে, যার গতি কল্পনার গতিকেও হার মানায়, যা আমাদের বিদ্যমান সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক, চিকিত্সা, শিক্ষা ও উত্পাদনব্যবস্থাপনায় টর্নেডোর মতো ঝড় তুলে নতুনত্বের ধারণা নিয়ে প্রতিনিয়ত আমাদের দরজায় কড়া নাড়ছে। আমাদের চিন্তাজগেক করেছে প্রসারিত ও পেশাগত জীবনকে করেছে চ্যালেঞ্জিং। আমাদের মনোজগতেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। টিকে থাকার লড়াইয়ে তাই বারবার আমাদের সক্ষমতার পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। কেননা আগামী ১০ বছরে বর্তমানের অনেক পেশা হারিয়ে যাবে এবং তদস্থলে প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষ জনশক্তির বিপুল চাহিদা তৈরি হবে। এভাবে আগামীর পৃথিবী কতটা পরিবর্তন হতে পারে, তা আমাদের ভাবনাতেও নেই। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে এমনটি হতে পারে। পরিবর্তিত এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আধুনিক শিক্ষাক্রম বাস্তবায়নের পাশাপাশি শিক্ষকদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্ব মনোভাব কীভাবে যুগোপযোগী হবে, তাই নিয়ে এখন আলোচন চলছে শিক্ষাবিদদের মধ্যে।

প্রকৃতপক্ষে দক্ষ শিক্ষকই কেবল পারেন শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত্ যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলে শিল্পবিপ্লবের সফলতা নিশ্চিত করতে। তাই আজকের যোগ্য শিক্ষকই আগামীর চ্যালেঞ্জিং জাতি বিনির্মাণের প্রধান কারিগর। শিক্ষকদের তাই প্রথমত যুগোপযোগী টিচিং লার্নিং মেথড সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। এ মেথড বাস্তবায়নে বর্তমানে TPACK (Technological Pedagogical and Content Knowledge) একটি আদর্শ অ্যাপ্লিকেশন বা মডেল, যেখানে বিষয়বস্তু, শিক্ষাবিজ্ঞান ও প্রযুক্তির একটি চমত্কার সমন্বয় ঘটেছে। প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বিষয়বস্তু ও শিক্ষণ-শিখন ফলপ্রসূ করাই এ মডেলের উদ্দেশ্য। এ মডেল বাস্তবায়নের জন্য শিক্ষকের টেকনোলজিক্যাল, পেডাগোজিক্যাল ও কনটেন্ট নলেজের (Technological, Pedagogical ও Content Knowledge) দক্ষতা প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের সময়োপযোগী চাহিদা পূরণে বর্তমানে এ পদ্ধতি বিশ্বে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মালটিমিডিয়া ক্লাসরুমে শিক্ষার্থীদের আনন্দের সঙ্গে ও সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষাদানকে স্থায়ী ও ফলপ্রসূ করাই এ পদ্ধতির প্রধান বৈশিষ্ট্য।

বর্তমান কারিকুলামে শিক্ষার্থীকেন্দ্রিক শিক্ষাদান পদ্ধতির ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ পদ্ধতিতে অনুসন্ধান, পর্যবেক্ষণ, ব্রেইন স্টর্মিং, সৃজনশীলতা, বিতর্ক প্রভৃতি পদ্ধতি অনুসরণ করে শিক্ষার্থীর জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ ও দৃষ্টিভঙ্গির বিকাশ ঘটানো হয়। কী শিখতে হবে, তার পরিবর্তে কীভাবে শিখতে হবে, তার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরিপূর্ণভাবে শিক্ষা অর্জনে সক্ষম ও আগ্রহী করা এবং আনন্দের সঙ্গে শিক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষাকে স্থায়ী ও ফলপ্রসূ করা এ পদ্ধতির প্রধান উদ্দেশ্য।

একবিংশ শতকের শিক্ষকের প্রত্যাশিত চাহিদা পূরণে ‘মুক্তপাঠ’ একটি চমত্কার প্ল্যাটফরম, যেখানে একজন শিক্ষক অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স সম্পন্ন করে নিজের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি নিজেকে শিক্ষার নতুন নতুন আইডিয়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে পারেন। অন্যদিকে ‘শিক্ষক বাতায়ন’ শিক্ষকদের একটি সর্ববৃহত্ প্ল্যাটফরম, যেখানে বিভিন্ন বিষয়ের শিক্ষকগণ মানসম্মত ডিজিটাল কনটেন্ট আপলোড, ডাউনলোড, ব্লগ বা কমেন্ট প্রভৃতি করতে পারেন। কনটেন্ট নির্মাণ করে এখানে সেরা কনটেন্ট নির্মাতা ও ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হয়ে একজন শিক্ষক এখানে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির পাশাপাশি সামাজিক মর্যাদাও লাভ করতে পারেন। তাই শিক্ষকদের এ দুটি প্ল্যাটফরমে যুক্ত থাকা এখন সময়ের দাবি।

শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমানে একটি নবতর সংযোজন হচ্ছে ব্লেন্ডেড লার্নিং, যা ট্র্যাডিশনাল মেথডের সঙ্গে ই-লার্নিংয়ের সমন্বয়ে একটি হাইব্রিড টিচিং মেথড। এখানে সশরীরে উপস্থিতি ও অনলাইন পদ্ধতির মিশ্রণে শিক্ষণ শেখানো কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এ পদ্ধতিতে শিক্ষক শিক্ষার্থীর শ্রেণিকক্ষের একঘেয়েমি দূর করার পাশাপাশি একজন বিহেভিয়ার স্পেশালিস্ট হিসেবে আবির্ভূত হন। অনলাইন ও অফলাইন উভয় ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীর প্রত্যাশিত চাহিদা পূরণ করা শিক্ষকের জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ। ব্লেন্ডেড পদ্ধতিতে শিক্ষককের শিখন বিজ্ঞানে দক্ষতার পাশাপাশি গুগল ক্লাসরুম, গুগল ফরম, গুগল মিট, জুম, মাইক্রোসফট টিম, এডমোডো, এ আই টুলসে প্রভৃতি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারে পারদর্শী হতে হয়। এজন্য চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এ যুগে শিক্ষকদের পাঁচটি বিষয়ে যোগ্যতা অর্জন করার কথা বলা হয়েছে। আর তা হলো :১. শিক্ষণ বিজ্ঞানে যোগ্যতা, ২. সামাজিক যোগ্যতা, ৩. ব্যক্তিগত যোগ্যতা, ৪. পেশাগত যোগ্যতা, ৫. প্রযুক্তিগত যোগ্যতা।

সম্প্রতি কাতারে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড ইনোভেশন সামিট ফর এডুকেশন-২০২৩ সম্মেলনের মূল বিষয় ছিল ‘জীবনের জন্য উদ্ভাবনী শিক্ষা’ নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কীভাবে সংবেদনশীল, দায়িত্ববান, সহযোগিতামূলক, কর্মোদ্যোগী, ডিজিটাল ও অংশীদারি হিসেবে রূপান্তর করা যায়, সেই উপায়টি খুঁজে বের করাই ছিল এ সামিটের উদ্দেশ্য। এক্ষেত্রে ইউনেসকো-প্রণীত ফোর পিলার্স অব লার্নিং ধারণাটি বারবার প্রতিধ্বনিত হয়েছে। আর তা হলো :১. লার্নিং টু নো (জানার জন্য শিখন) :এই শিখনে পেশাগত ও সামাজিক জীবনে মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার জন্য বিজ্ঞান, সামাজিক বিজ্ঞান ও জীবনদক্ষতাভিত্তিক শিক্ষার কথা বলা হয়েছে, যা বাস্তবিক সমস্যার সমাধানে সহায়ক হবে। ২. লার্নিং টু ডু (করার জন্য শিখন) :এই শিখন হবে প্রয়োগমুখী। শিক্ষার্থীর শিখন প্রয়োগের মাধ্যমে রূপান্তরিত হয় দক্ষতায়। এই দক্ষতা শুধু কর্মক্ষেত্রের জন্য নয়; হতে হবে ব্যক্তিক উদ্যোগ ও গুণাবলির উন্নয়ন, মনোবৃত্তির ইতিবাচক পরিবর্তন, মানানসই সামাজিক আচরণ ও ঝুঁকি গ্রহণ করার মানসিকতার ক্ষেত্রেও। ৩. লার্নিং টু বি (পরিপূর্ণ হওয়ার শিখন) :এই শিখনের উদ্দেশ্য হবে শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণ মানুষরূপে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে অবদান রাখা; যেখানে ব্যক্তির অধিকার আদায় ও দায়িত্ববোধ পালনের মূল বিষয়; যথা—শরীর ও মন, মেধা, সৌন্দর্য, সংবেদনশীলতা, ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য, কল্পনাশক্তি, আধ্যাত্মিকতা, আত্মনির্ভরশীলতা, স্বাধীনতা, বিচার, সৃজনশীলতা, সংকটপূর্ণ চিন্তা, ও মানুষের স্বাধীনতাসহ শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ সম্ভাবনার বিকাশের মাধ্যমে তাদের সামষ্টিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা। ৪. লার্নিং টু লিভ টুগেদার (একত্রে বসবাসের শিখন) :এই শিখন হবে সামাজিক মূল্যবোধমুখী; যা উত্সারিত হবে শিক্ষার্থীর হূদয় থেকে। এর উদ্দেশ্য হবে সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য দূর, মানবাধিকার সুরক্ষা ও গণতন্ত্রায়ন, মানসম্পন্ন টেকসই উন্নয়ন ও পরিবেশের সুরক্ষায় স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ।

শিক্ষার একটি টেকসই ভিত্তি গড়ার জন্য এই ফোর পিলার্স অব লার্নিং ধারণাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যা বাস্তব জীবনের সঙ্গে শিক্ষার চমত্কার একটি সমন্বয় ঘটিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়কেই সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে লাইফ লং লার্নিং (Life long learning) বা সারা জীবন শিখননীতিতে অনুপ্রাণিত করেছে। এছাড়া উক্ত সম্মেলনে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়ের জন্য একবিংশ শতকের শিক্ষার আরো পাঁচটি চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে। তা হলো :১. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিভিত্তিক জ্ঞান ও দক্ষতা, ২. প্রযুক্তিনির্ভর যোগাযোগ, ৩. আন্তর্জাতিক ভাষা জ্ঞানে পারদর্শিতা, ৪. সামাজিক নেটওয়ার্ক ও ৫. সৃজনশীলতা ও ইনোভেশন।

শিক্ষা প্রদান বা গ্রহণের ক্ষেত্রে আমাদের ভিশন ও মিশন ও সঠিকভাবে স্থির করতে না পারলে আমরা আমাদের পথ হারাব। সদা পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে আমাদের অস্তিত্বের সংকট দেখা দেবে। মানবসভ্যতার বিবর্তনের মূলে রয়েছে শিক্ষা আর এই শিক্ষাকে তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দিয়ে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফসল ঘরে তুলে আনাই হচ্ছে বর্তমানে শিক্ষা ও শিক্ষকতা পেশায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে সময়োপযোগী শিক্ষাক্রম, প্রশিক্ষণ, শিক্ষকের পেশাদারিত্ব মনোভাব, দায়িত্বশীলতা, বিষয়ভিত্তিক চর্চা ও গবেষণার কোনো বিকল্প নেই। তবে শিক্ষকদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক মর্যাদা সমুন্নত না হলে সব প্রচেষ্টাই ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে।

লেখক: সহকারী পরিচালক, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, কুমিল্লা

মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রোজার ঈদের ছুটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সরকারি-বেসরকারি চাকরিজীবীরা। কারণ সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ঈদের ছুটি শুরু হবে ১০ এপ্রিল বুধবার থেকে। কিন্তু চাঁদ দেখা সাপেক্ষে যদি এবার রোজা ২৯টি হয় তাহলে ১০ এপ্রিল (বুধবার) পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে।

সেক্ষেত্রে ঈদের আগের দিনও (৯ এপ্রিল) অফিস করতে হবে চাকরিজীবীদের। এজন্য নির্বাহী আদেশে এক-দুদিন ঈদের ছুটি বাড়ানোর পক্ষে মত তাদের।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিধি অনুবিভাগ) মো. মুহিদুল ইসলাম  বলেন, ছুটি বাড়ানোর বিষয়টি নির্বাহী আদেশের ওপর নির্ভরশীল। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে আমার জানা নেই। সিদ্ধান্ত হলে আমরা জানতে পারব।

তবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, নির্বাহী আদেশে দু-একদিন ছুটি বাড়ানো হতে পারে বলে আলোচনা আছে। ২০ রোজার পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

চাকরিজীবীরা বলেন, যদি ১০ এপ্রিল বুধবার ঈদ হয় তাহলে আমাদের ৯ এপ্রিল অফিস শেষ করেই বাড়ির পথে রওয়ানা দিতে হবে। নতুবা পরের দিন ঈদের সকালে বাড়ি যেতে হবে। ঈদের নামাজ পড়তে হবে পথে।

এটা কোনোভাবেই সম্ভব না। এক-দুদিন ছুটি বাড়ানো না হলে আমাদের সমস্যা হয়ে যাবে। ঈদের ছুটি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।

২০২৪ সালের ছুটির তালিকা অনুযায়ী ঈদুল ফিতরের ছুটি ১০ ও ১১ এপ্রিল। ১০ এপ্রিল বুধবার এবং ১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার। ১২ এপ্রিল শুক্র এবং ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ১৪ এপ্রিল রোববার বাংলা নববর্ষের ছুটি।

সেক্ষেত্রে ঈদের ছুটি মিলছে টানা পাঁচ দিন। কিন্তু ঈদের আগের ছুটি নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন সরকারি চাকরিজীবীরা। একই সংকটে পড়েছেন বেসরকারি চাকরিজীবীরাও।

এদিকে ঈদের ছুটি দুদিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি মনে করে, ঢাকা ও ঢাকার পাশের দুই শিল্প জেলা গাজীপুর ও নরসিংদী থেকে ঈদে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষ বিভিন্ন গন্তব্যে যাবে।

ঈদের আগের দিন সব মানুষ একসঙ্গে এসব শহর থেকে বের হলে যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। তাই দুর্ভোগ এড়ানোর জন্য অতিরিক্ত দুদিনের ছুটি দাবি করেছে সংগঠনটি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আগামী অর্থবছরে শিক্ষাখাতে বাজেটের ১৫ শতাংশ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছে শিক্ষা নিয়ে কাজ করা সহস্রাধিক বেসরকারি সংস্থার মোর্চা গণসাক্ষরতা অভিযান।

বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শিক্ষায় ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট: আমাদের প্রত্যাশা' শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়।

গত ৮ বছরের বাজেটের চিত্র তুলে ধরে গণসাক্ষরতা অভিযানের উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “শিক্ষাখাতের বাজেট একই বৃত্তে আটকে আছে৷ যেখান থেকে বের হওয়া প্রয়োজন। এর বাইরে আমরা শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দিতে পারছি না৷ যেটি পাওয়া যাচ্ছে সেটি কম, ব্যবহার করা হচ্ছে আরো কম। বাজেট দিলেই হবে না, ব্যবহারের যে সক্ষমতা সেখানে হাত দিতে হবে৷

“গত অর্থবছরে শিক্ষা খাতের ১১৮টি প্রকল্পে ২৯ হাজার ৭২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল৷ রিভাইজ বাজেটে সেটা হয়েছে ১৭ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা।"

চলতি অর্থবছরে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বাজেটের ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই হার ১২ দশমিক ১ শতাংশ, এর আগের অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল ১১ দশমিক ৫৮ শতাংশ৷

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ঘোষিত ইশতেহারের প্রসঙ্গ টেনে মোস্তাফিজুর বলেন, “শিক্ষাখাতে যথাযথ অর্থায়ন করাসহ শিক্ষকদের উপর গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল সেখানে৷ এগুলোর শতভাগ না পারলেও, ৬০-৮০ ভাগ পালন করা হলেও শিক্ষার নতুন চিত্র আমরা দেখতে পাব৷"

শিক্ষার্থীদের মাসিক উপবৃত্তি অন্তত ৫০০ টাকা করা, প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরে টিফিনের ব্যবস্থা করা, শিক্ষকদের বেতন বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবি তিনি তুলে ধরেন।

আলোচনায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা অংশ নেন৷

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) শিক্ষক আছেন ৩১৪ জন। এর মধ্যে শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন ১১০ জন। এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষক না থাকায় এ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিভাগে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

জানা যায়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভাগ ভেদে ১০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে রয়েছেন। ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২৪ শিক্ষকের মধ্যে ১৫ শিক্ষক, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৬ শিক্ষকের মধ্যে তিনজন, রসায়ন বিভাগের ১২ শিক্ষকের মধ্যে ৮, মার্কেটিং বিভাগের ৮ শিক্ষকের মধ্যে ৬, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১০ শিক্ষকের মধ্যে ৫, বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের ৮ শিক্ষকের মধ্যে ৪, ফার্মেসি বিভাগের ১২ শিক্ষকের মধ্যে ৬, পরিবেশবিজ্ঞান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ৭ শিক্ষকের মধ্যে ৪, পরিসংখ্যান বিভাগের ১৪ শিক্ষকের মধ্যে ৭ এবং অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১২ শিক্ষকের মধ্যে ৬ শিক্ষক ছুটিতে রয়েছেন। এর মধ্যে অ্যাপ্লাইড কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নুরুন্নবী, পরিসংখ্যান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক পিয়ার হোসেন, ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে হাফসা আশা ও গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নুরুল আনোয়ার ইতোমধ্যে নিজেদের চাকরি থেকে অব্যাহতি চেয়ে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আগে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা ছুটির নিয়মে এক বিভাগের শতকরা ৪০ ভাগ শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে থাকার নিয়ম ছিল। বর্তমানে এ বিষয়ে কোনো বিধিবিধান নেই। তবে চাকরিতে যোগদানের দুই বছর শেষে পিএইচডি ও এমফিল করতে শিক্ষা ছুটি পাওয়ার বিধান বর্তমানে কার্যকর রয়েছে। এতে পিএইচডি করার জন্য পাঁচ বছর ও এমফিল বা স্নাতকোত্তর করার জন্য সর্বোচ্চ দুই বছরের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। সময়সীমা শেষে বিদেশ থেকে ফিরছেন না অনেক শিক্ষক। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ে বিদ্যমান শিক্ষক নিজেদের নির্ধারিত ক্লাস নিচ্ছেন। পাশাপাশি তাদের নিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ক্লাস। এতে একাধিক বিভাগে শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে।

এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৪টি বিভাগে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আন্তর্জাতিক গড় অনুপাতের মানদণ্ড ধরা হয় ১: ২০। সেখানে বশেমুরবিপ্রবিতে বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাত ১: ৫০। অর্থাৎ প্রতি পঞ্চাশ শিক্ষার্থীদের জন্য মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন।

রেজিস্ট্রার মো. দলিলুর রহমান বলেন, শিক্ষা ছুটিতে থাকা শিক্ষকদের অনেকেরই ছুটি শেষ হয়েছে। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিতে আদেশ দেওয়া হয়েছে। তারা যোগদান না করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এর মধ্যে কেউ কেউ অব্যাহতির আবেদন করেছেন। তাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব দেনাপাওনা মেটানোর পর অব্যাহতি দেওয়া হবে।

বিশ্বদ্যিালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পরই শিক্ষক সংকট সমাধানের চেষ্টা করে আসছেন। ইতোমধ্যে ইউজিসি ও রিজেন্ট বোর্ডে আলোচনা করে বেশ কয়েকটি বিভাগে স্থায়ী ও খণ্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। শিক্ষক সংকট কাটাতে আরও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। শিক্ষক সংকট কাটিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান নিশ্চিত করবেন বলে জানান তিনি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

শিক্ষাপ্রাঙ্গণ ও তার ১০০ মিটারের মধ্যে ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য ও ই-সিগারেট গ্যাজেট বিক্রি করা যাবে না। এই নিয়ে আবার উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলোর প্রধান শিক্ষকদের সচেতন করে নির্দেশিকা পাঠালো উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “স্কুলের ভিতরে বা তার আশপাশে ধূমপান করা বা তামাকজাত দ্রব্য সেবন করা বহুদিন ধরেই নিষিদ্ধ ছিলো। কিন্তু কোথাও কোথাও সেই নিষেধাজ্ঞায় শিথিলতা দেখা গিয়েছে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালীনও দু-তিনটি স্কুলের মধ্যে ধূমপানের অভিযোগ এসেছিলো। আমাদের মূল উদ্দেশ্য প্রধান শিক্ষকদের সচেতন করা ও তারা যেনো পড়ুয়াদেরও সচেতন করেন।”

শুধু যে সিগারেট বারণ করা হয়েছে তা নয় শিক্ষা সংসদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে সমস্ত ই-সিগারেট গ্যাজেট বিক্রি হয় সেগুলোর বিক্রিও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে শিক্ষক মহল স্বাগত জানালেও সচেতনতা প্রয়োগের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা সম্পাদক অনিমেষ হালদার বলেন, ‘শিক্ষা সংসদের এই সচেতনতা নির্দেশকে আমরা সমর্থন জানাচ্ছি। তবে সিগারেট থেকে শিক্ষার্থীদের দূরে রাখতে গেলে খালি প্রধান শিক্ষকরা সচেতনতায় উদ্যোগী হলে হবে না। তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন ও বিপণনকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে প্রশাসনকে।’

শিক্ষা দফতরের আইন বিভাগের এই সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নতুন বিজ্ঞপ্তিতে। তবে শুধুমাত্র স্কুলে সচেতনতা ও প্রচার করে ধূমপানের মতন ক্ষতিকারক নেশাকে নিয়ন্ত্রণ করা স্কুলগুলোর পক্ষে একা সম্ভব নয়। এ প্রসঙ্গে যাদবপুর বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক পার্থপ্রতিম বৈদ্য বলেন, “আমরা শিক্ষা সংসদের এই নির্দেশকে স্বাগত জানাচ্ছি। শুধু শিক্ষকরা সচেতন করলে হবে না, শিক্ষকদেরও সচেতন থাকতে হবে ধূমপানের ক্ষেত্রে। তবেই নতুন প্রজন্ম এই ধূমপান থেকে বিরত থাকবে। অভিভাবকদেরও পড়ুয়াদের ধূমপানের নেশা থেকে দূরে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।”

বহুদিন ধরেই এই ধূমপান সামগ্রী স্কুলের আশপাশে যাতে বিক্রি না হয় ও যুবসমাজের মধ্যে এই নেশা না ছড়িয়ে পড়ে তার জন্য আইন রয়েছে। পুলিশের ভূমিকা সঠিক না হওয়ায় এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না এমনটা মত শিক্ষক সংগঠনগুলোর। অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাষ্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘শিক্ষা সংসদের তরফে সচেতনতা মূলক বিজ্ঞপ্তি দিলে শুধু হবে না। বহুদিন ধরেই এই নিয়ে আইন রয়েছে। পুলিশের সহযোগিতা না থাকলে সরকারের সদিচ্ছা না হলে খালি বিদ্যালয়গুলোর পক্ষে এটি বাস্তবায়ন করা কঠিন।’

শিক্ষা সংসদ সূত্রের খবর, বহু শিক্ষক স্কুল প্রাঙ্গণে বা তার আশে পাশের ধূমপান করে থাকেন। এই সচেতনতা মূলক নির্দেশের মাধ্যমে শিক্ষকদের কাছেও বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে যেনো তারাও শিক্ষাঙ্গন ও তার আশপাশে ধূমপান থেকে বিরত থাকেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ভোকেশনাল শাখা এবং এর অধীনে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসমূহে ১৮টি পদে ৫৮৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহীরা আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম: কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর

পদের বিবরণ

চাকরির ধরন: অস্থায়ীপ্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষকর্মস্থল: যে কোনো স্থান

সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে ৩০ জনের নিয়োগ, আবেদন ফি ২২৩ প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে ম্যানেজার পদে চাকরির সুযোগ
বয়স: ৩১ মার্চ ২০২৪ তারিখে ১৮-৩০ বছর। বিশেষ ক্ষেত্রে ৪০ বছর

আবেদনের নিয়ম: আগ্রহীরা কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সঙ্গে ৩০০-৩০০ সাইজের ছবি ও ৩০০-৮০ সাইজের স্বাক্ষর স্ক্যান করে যুক্ত করতে হবে।

আবেদন ফি: টেলিটক প্রি-পেইডের মাধ্যমে ১-১৩ নং পদের জন্য ২২৩ টাকা, ১৪-১৮ নং পদের জন্য ১১২ টাকা অফেরতযোগ্য হিসেবে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পাঠাতে হবে।

আবেদন শুরু: ০১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ সকাল ১০টা থেকে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ সময়: ২১ এপ্রিল ২০২৪ তারিখ সন্ধা ০৬টা পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।

সূত্র: ইত্তেফাক, ২৮ মার্চ ২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram