বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (হাইস্কুল) শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। চার বছরের ব্যবধানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। একই সময়ে মাদরাসায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী বেড়েছে। শিক্ষার্থী বেড়েছে কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতেও।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। ‘বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩’-এর খসড়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ব্যানবেইসে আয়োজিত কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এরপর এটি চূড়ান্ত আকারে প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি। কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরেন ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলমগীর।

খসড়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী—২০১৯ সালে সারাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখের বেশি, যা ২০২৩ সালে এসে কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজারে। দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৮টি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশি ছাত্রী। মোট শিক্ষার্থীর ৪৫ শতাংশ ছাত্র এবং ৫৫ শতাংশ ছাত্রী।

তথ্য বলছে, একই সময়ে (২০১৯-২০২৩) মাদরাসাগুলোতে (দাখিল ও আলিম) আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। ২০২৩ সালের তথ্যানুযায়ী—মাদরাসায় অধ্যয়ন করছেন শিক্ষার্থী ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এরমধ্যে ছাত্রী প্রায় ৫৪ শতাংশ।

এদিকে, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি। তবে কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। মোট শিক্ষার্থীর ৭১ শতাংশই ছাত্র। বাকি ২৯ শতাংশের মতো ছাত্রী।

ব্যানবেইসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রয়েছে। এতে পড়াশোনা করছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। চার বছর আগে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ২৬ হাজারের বেশি।

কর্মশালায় ব্যানবেইস কর্মকর্তারা বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেসব তথ্য তারা পেয়েছেন, সেগুলোর প্রতিবেদনে তুলে ধরেছেন। তবে ঠিক কী কারণে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী কমেছে, তা বিশ্লেষণ করেনি ব্যানবেইস।

কর্মকর্তাদের ধারণা, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থী সাধারণ ধারার পড়াশোনা ছেড়ে ভিন্ন ধারায় চলে গেছে। অনেকে রুটি-রুজির তাগিদে অল্প বয়সে বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছে। এতে মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমেছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। পাইলটিং শেষে প্রকল্পটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। খুব শিগগির সারাদেশে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (হাইস্কুল) ও মাদসাগুলোতেও মিড-ডে মিল ব্যবস্থা চালু করা জরুরি বলে মনে করে গণস্বাক্ষরতা অভিযান। বিষয়টি বিবেচনায় সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।

গণস্বাক্ষরতা অভিযান বলছে, একসময় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের ফলিক এসিড দেওয়া হতো, এখন তা দেওয়া হয় না। এব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে হবে। একইসঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় মিড-ডে মিল চালু করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা এ দাবি জানিয়েছেন। মাধ্যমিক ও মাদরাসার মতো বিস্তর পরিসরে মিড-ডে মিল বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে ‘শিক্ষার ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট: আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ সুপারিশ করা হয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ ও এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচলনা করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।

সভায় জানানো হয়, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের পক্ষ থেকে তৃণমূলের চাহিদা ও ভাবনা জানতে জেলা পর্যায়ে চারটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ছয়টি মতবিনিময় সভা করা হয়। সেখান থেকে যেসব চাহিদা ও প্রত্যাশা উঠে এসেছে এবং এ সংক্রান্ত গবেষণার ফল ও বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে এ সুপারিশ করেছের তারা।

সুপারিশমালায় বলা হয়, মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সবার লেখাপড়া অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করতে হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের খাতা, কলম, টিফিন বক্স, ব্যাগ, ছাতাসহ বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ দেওয়া প্রয়োজন। এজন্য বাজেটে বরাদ্দ থাকতে হবে। অনেক স্কুলে কম্পিউটারগুলো ব্যবহার করা হয় না বলে একসময় অকেজো হয়ে যায়। এগুলো চালু রাখা ও কম্পিউটার মেরামতের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। স্মার্ট নাগরিক গড়তে হলে স্মার্ট পরিকল্পনা নিতে হবে, স্মার্ট বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। সব বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব, সায়েন্স ল্যাব স্থাপন ও ব্যবহারের জন্য বাজেট রাখতে হবে।

এছাড়া স্কুল লাইব্রেরিতে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে উদ্দীপনামূলক বা কাউন্সেলিং বিষয়ক বই সরবরাহ করা এবং সব স্কুলে মিউজিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য বাজেট প্রয়োজন। পাশাপাশি নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ বিষয়ে কারিকুলামে আরও বেশি জোর দেওয়া এবং ইভটিজিং ও স্কুল বেইজড ভায়োলেন্স বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।

নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়েও সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে গণস্বাক্ষরতা অভিযান বলছে, নতুন প্রণীত কারিকুলামে মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে জনবান্ধব করতে হবে। এলক্ষ্যে নতুন কারিকুলামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিক্ষানীতিকে যুগপোযোগী করা এবং কারিকুলাম বাস্তবায়নে জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, তার জন্য বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে। বিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠদান পদ্ধতিতে যে বৈষম্য রয়েছে, তা নিরসন করা এবং পাঠ্যবইয়ের মান উন্নয়ন করার জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন। দুর্যোগকালে যাতে শিক্ষা চলমান থাকে সেজন্য পূর্বপরিকল্পনা করা এবং বাজেটে বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।

প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি করে ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা করা এবং বিদ্যালয় পর্যায়ে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার তৈরি করার জন্য বাজেট রাখা দরকার। আন্তঃবিদ্যালয় পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যবস্থা করার জন্য বাজেট রাখতে হবে। মাধ্যমিক স্কুলে বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত, দারিদ্রপীড়িত, প্রত্যন্ত এলাকার মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে ভালো টয়লেট, স্যানিটারি প্যাড, সাবান, টিস্যু ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ সংক্রান্ত স্কুলভিত্তিক বাজেট রাখার জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। সব স্কুলে ওয়াশব্লক স্থাপন করা, ওয়াশব্লকের সংখ্যা বাড়ানো এবং জরাজীর্ণ ওয়াশব্লক মেরামত করা দরকার। এজন্য বাজেটে যথাযথ অর্থসংস্থান প্রয়োজন। জেন্ডার সমতা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি স্কুলে একজন নারী শিক্ষককে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া দরকার। বাল্যবিবাহের নেতিবাচক দিক নিয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ভাতা বৃদ্ধিসহ ৪ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন তারা। তবে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তারা আন্দোলন এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।

আন্দোলনকারীরা বলেন, ঈদের পর বিষয়গুলো সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তার আশ্বাসে আমরা একমাস আন্দোলন বন্ধ রাখবো।

এর আগে দুপুর আড়াইটায় ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বৈঠক করেন। বৈঠকে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে মোট ২০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই এই চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো তাদের হাতে লোক রয়েছে বলে আশ্বস্ত করতো। চাকরিপ্রার্থীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে ব্লু ব্যাংক চেক, ব্ল্যাংক স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিতো।

ডিবিপ্রধান বলেন, মাঠকর্মী তার কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্টের কাছে পাঠাতো। এরপর সাব-এজেন্ট সেই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সব চাকরিপ্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে পাঠাতো।

পরে ঢাকাস্থ এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরিপ্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নিতো। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে ওইদিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিতো।

এরপর চক্রের আরেক সদস্য চুক্তির বাকি টাকা গ্রহণ করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট চাকরিতে দিনে যোগদানের কথা উল্লেখ করে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যেতো

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর সক্রিয় হয়ে উঠতো একটি প্রতারক চক্র। চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতো। এভাবে প্রার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে চক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

ডিবি জানিয়েছে, রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে চাকরির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পর একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে।

সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করত একটি চক্র। চক্রটি প্রত্যেক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেনি। এভাবে গত কয়েক বছরে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

ঢাকা:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘ক’ ইউনিটের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে পাস করেছেন মাত্র ৯ হাজার ৭২৩ জন শিক্ষার্থী। শতকরা হিসেবে মোট ৮.৮৯ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩ টায় অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।

এর আগে গত ১ মার্চ বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের প্রায় ৮০টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

বিজ্ঞান ইউনিটে ১ হাজার ৮৫১টি আসনের জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ১ লাখ ২২ হাজার ৮০টি। পাস করেছেন মাত্র ৮.৮৯ শতাংশ। বাকি ৯১.১১ শতাংশ শিক্ষার্থীই ফেল করেছেন।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি ইউনিটের ৫ হাজার ৯৬৫ আসনের জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ২টি। সে অনুযায়ী, আসন প্রতি পরীক্ষা দিয়েছেন প্রায় ৪৭ জন শিক্ষার্থী।

ফলাফল যেভাবে দেখা যাবে:

‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বরের মাধ্যমে https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফলাফল জানতে পারবেন।

এছাড়া, টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে 'কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট'-এর জন্য DU ALS <roll no>, 'বিজ্ঞান ইউনিট'-এর জন্য DU SCI <roll no>, 'ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট'-এর জন্য DU BUS <roll no> এবং 'চারুকলা ইউনিট'-এর জন্য DU FRT <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

রাজধানীতে বেড়েছে শিশু অপহরণ। বোরকা পরে পরিচয় গোপন রেখে শিশু চুরি করা হচ্ছে। তাই অভিভাবকদের আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশীদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

রাজধানীতে অপহরণের ৭ দিন পর গতকাল বুধবার আড়াই বছরের এক শিশুকে কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করেছে ডিবি পুলিশ। একই সঙ্গে শিশুচোর চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ডিবি জানায়, গত ২১ মার্চ বিকেলে রাজধানীর হাজারিবাগের ভাড়া বাসার সামনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলছিল শিশু তাওসীন। হঠাৎ অপরিচিত এক নারী চকলেট-চিপসের লোভ দেখিয়ে তাকে দোকানে নিয়ে যান। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ওই নারী।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাওসীনকে না পাওয়ায় তার বাবা আইনরক্ষাকারী বাহিনীর শরাণাপন্ন হন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ডিবি কুমিল্লা থেকে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। তারা জানায়, ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে শিশুটিকে বিক্রি করে দিয়েছিলেন বোরকা পড়া ওই নারী। পরে ওই শিশুকে উদ্ধারসহ বিক্রয়ের ২৩ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

শিশু পাচারকারীর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কি না এ ব্যাপারে আরও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় আজ বৃহস্পতিবার ৮ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আব্দুস সালাম জানান, নতুন মেয়াদে সরকার গঠনের পর একনেকের দ্বিতীয় সভা এটি। এ সভায় ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, যার মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৪২৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৭ হাজার ৯৩৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে আসবে ৪৮৫ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

২০২৬ সালে এলডিসি উত্তোরণ-পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, অল্প ব্যয় করলে যে প্রকল্পগুলো শেষ করা যাবে সেগুলো দ্রুত শেষ করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভবন নির্মাণ কাজ শেষ করার নির্দেশের পাশাপাশি বৃষ্টির পানি ধরে রাখাতে ও সোলার ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দিয়েছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

চার বছরের ব্যবধানে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। তবে একই সময়ে কারিগরি, মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থী বেড়েছে।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) করা ‘বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩’ এর খসড়া প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করার জন্য আজ বৃহস্পতিবার এক কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে খসড়া সারসংক্ষেপের তথ্য উপস্থাপন করা হবে।

ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদনে দেখা যায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর আগের বছর ২০১৯ সালে দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখের বেশি, যা ২০২৩ সালে কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজার। এই শিক্ষার্থীরা দেশের ১৮ হাজার ৯৬৮টি বিদ্যালয়ে পড়ে। মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশই ছাত্রী। অবশ্য মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়াও স্কুল অ্যান্ড কলেজ অর্থাৎ যেখানে উচ্চমাধ্যমিকের পাশাপাশি মাধ্যমিক স্তরেও পড়ানো হয়, সেখানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এক লাখ ৮০ হাজারের মতো বেড়েছে।

করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলে দীর্ঘ ১৮ মাস পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়। এ কারণে শিক্ষায় বড় ধরনের প্রভাব পড়ে।

ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, চার বছরের ব্যবধানে সরকারের অধীনে থাকা মাদ্রাসাগুলোতে (দাখিল ও আলিম ধারার মাদ্রাসা) আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। বর্তমানে মাদ্রাসাগুলোতে শিক্ষার্থী ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এর মধ্যে ছাত্রী প্রায় ৫৪ শতাংশ।

সরকার কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি (এর মধ্যে ৫৮৮টি সরকারি) কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যায় সমতা এলেও কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। কারিগরিতে যত শিক্ষার্থী পড়ে, তার মধ্যে ২৯ শতাংশের মতো ছাত্রী।

ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী; যা চার বছর আগে ছিল ২৬ হাজারের বেশি।

ব্যানবেইসের খসড়া প্রতিবেদনে মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার চিত্র উঠে এসেছে। মাধ্যমিকে এখন ঝরে পড়ার হার কমে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩৩ শতাংশ, যা চার বছর আগে ছিল প্রায় ৩৭ শতাংশ।

মাধ্যমিক পেরোতে পারলে উচ্চমাধ্যমিকে গিয়ে ঝরে পড়ার হারটি কম থাকে। তবে চার বছরের ব্যবধানে উচ্চমাধ্যমিকে এই হার বেড়েছে। উচ্চমাধ্যমিকে ঝরে পড়ার হার এখন ২১ শতাংশের বেশি, যা চার বছর আগে ছিল ১৮ শতাংশের বেশি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক এস এম হাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণ ধারার মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী কমে যাওয়ার পেছনে আর্থসামাজিক পরিস্থিতি থাকতে পারে। অনেকে কাজে নিয়োজিত হচ্ছে। গবেষণার মাধ্যমে কারণগুলো বের করে এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আজ ১৭ রমজান। এ দিন সংঘটিত হয়েছিল বদরের যুদ্ধ। ইসলামের ইতিহাসে দিনটির গুরুত্ব বিশেষ। ২ হিজরির ১৭ রমজান মদিনার মুসলমান এবং মক্কার অমুসলিমদের মধ্যে এ যুদ্ধ হয়। যুদ্ধের আগে চলে বেশ কিছু খণ্ডযুদ্ধ। তবে বদরের যুদ্ধ ছিল দুই পক্ষের মধ্যে প্রথম বড় আকারের যুদ্ধ।

ইসলামের এই প্রথম সামরিক যুদ্ধে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমান বাহিনী বিজয়ী হয়। এই বিজয় অন্যদের কাছে এই বার্তা পৌঁছায় যে মুসলমানরা আরবে নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এর ফলে নেতা হিসেবে হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অবস্থান দৃঢ় হয়।

মুসলমানরা মক্কা ত্যাগ করলেও মক্কার কুরাইশরা তাদের শত্রুতা ছাড়েনি। মদিনার ইহুদিদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে তারা মদিনা আক্রমণের আয়োজন করতে থাকে। বদরের যুদ্ধ হজরত মুহাম্মদ (সা.) নিজে পরিচালনা করেন। আল আরিশ পাহাড়ের পাদদেশে মুসলিম বাহিনীর শিবির স্থাপিত হলো। তাই পানির কুয়াগুলো তাদের আয়ত্তে ছিল।

আর নবী করিম (সা.) সৈন্য সমাবেশের জন্য এমন একটি জায়গা বেছে নেন, যেখানে সূর্যোদয়ের পর যুদ্ধ হলে কোনো মুসলমান সৈন্যের চোখে সূর্যকিরণ পড়বে না।

প্রাচীন আরব রেওয়াজ অনুযায়ী প্রথমে মল্লযুদ্ধ হয়। অমুসলিমদের সেনাসংখ্যা ছিল এক হাজার। আর ছিল এক শ ঘোড়া, ছয় শ লৌহবর্ম এবং অসংখ্য উট। অমুসলিমদের সেনাপতি ছিলেন ওতবা বিন রবিআ। যুদ্ধে ৭০ জন অমুসলিম নিহত হন এবং বন্দীও হন ৭০ জন।

মুসলমানদের বাহিনীর সেনাসংখ্যা ছিল ৩১৩ জন। মুহাজির ছিলেন ৮২ জন, বাকি সবাই আনসার। আওস গোত্রের ৬১ জন এবং খাজরাজ গোত্রের ১৭০ জন। মুসলিমদের উট ও ঘোড়ার সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৭০টি ও ২টি। যুদ্ধে মুসলিম বাহিনীর ১৪ জন শহীদ হন।

এই যুদ্ধের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ছিল নবীজি (সা.)-এর প্রধান শত্রু আবু জাহেলের নিহত হওয়া। এ প্রসঙ্গে দুই কিশোরের অসম সাহসিকতা নিয়ে একটি বীরত্বের কাহিনি প্রচলিত আছে।

কোরআনে আছে, যারা আক্রান্ত হয়েছে তাদের যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হলো, কারণ তাদের প্রতি অত্যাচার করা হয়েছে। আল্লাহ তাদের সাহায্য করতে অবশ্যই সক্ষম। (সুরা হজ, আয়াত: ৩৯)

পবিত্র কোরআনে আরও আছে, ‘আর যারা তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে, তোমরাও আল্লাহর পথে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করো। তবে সীমালঙ্ঘন কোরো না। আল্লাহ তো সীমা-লঙ্ঘনকারীদের ভালোবাসেন না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৯০)

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আরবি ‘সদকাতুল ফিতর’ অর্থ ‘ঈদুল ফিতরের সদকা’। ঈদুল ফিতরের দিন আদায় করা হয় বলে একে সদকাতুল ফিতর বলা হয়। একে জাকাতুল ফিতর বা ফিতরাও বলা হয়। সদকাতুল ফিতর বা ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। রাসুল (সা.) ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য তা আবশ্যক করেছেন।

পবিত্র রমজানের পুরো এক মাস রোজা এবং তৎসংশ্লিষ্ট ইবাদত ও বিধিনিষেধ পালনের পর শাওয়াল মাসের পয়লা তারিখে ঈদ উৎসব পালিত হয়। এ পালনের মধ্যে রয়েছে জামাতে ঈদের নামাজ আদায়, গরিব-দুঃখীদের মধ্যে ফিতরা বিতরণ এবং ভালো খাওয়াদাওয়ার আয়োজন। তবে ঈদুল ফিতর উৎসবের একটি তাৎপর্যময় অঙ্গ হলো ফিতরা বিতরণ।

রোজার সময় সংযম সাধনায় কোনো ত্রুটিবিচ্যুতি ঘটে থাকলে তা সংশোধন এবং সমাজের সর্বস্তরের লোক যাতে উৎসবে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য গরিব-দুঃখীদের মধ্যে একটা নির্দিষ্ট হারে সদকায়ে ফিতরা বিতরণ করতে হয়।

প্রত্যেক সমর্থ্য মুসলমানের জন্য ফিতরা দেওয়া ওয়াজিব। মাথাপিছু কত টাকা ফিতরা দিতে হবে, তা আগেই রাষ্ট্র কিংবা সংশ্লিষ্ট ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করে দেয়। নিয়ম হলো, ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই এই ফিতরা পরিশোধ করতে হবে। তারপর ঈদগাহ কিংবা তার অভাবে বড় মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতে হয়।

এ বছর ফিতরার হার জনপ্রতি সর্বোচ্চ ২ হাজার ৯৭০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রাসুল (সা.) স্বাধীন-দাস ছোট-বড় নারী-পুরুষ সব মুসলমানের জন্য গম বা খেজুরের এক সা (৩ কেজি ২৭০ গ্রাম) ফিতরা আবশ্যক করে দিয়েছেন এবং তা ঈদুল ফিতরের নামাজে যাওয়ার আগেই আদায় করার আদেশ দিয়েছেন।’ (বুখারি, হাদিস: ১৫০৩)

ফিতরা কেন দিতে হয়:

ক. রোজাদারের রোজায় যেসব দুর্বলতা ও ভুল হয়, তা থেকে পবিত্র হওয়া। খ. দরিদ্রদের প্রতি সদ্ব্যবহার। গ. ঈদুল ফিতরের দিনে দরিদ্রদের ভিক্ষা করা থেকে বিরত রাখা। ঘ. তারাবি ও রোজার মতো নেয়ামতে ধন্য করায় আল্লাহর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করা। ঙ. উদারতা ও সহমর্মিতার চর্চা করা।

ফিতরের নিসাব জাকাতের নিসাবের সমপরিমাণ। নিসাব মানে হলো কারো কাছে সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে ৫২ ভরি রুপা অথবা তার সমমূল্যের নগদ অর্থ কিংবা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অতিরিক্ত সম্পদ ঈদুল ফিতরের দিন সময় বিদ্যমান থাকলে তার ওপর ফিতর ওয়াজিব হবে। যাঁর ওপর ফিতর আদায় করা ওয়াজিব, তিনি নিজের পক্ষ থেকে যেমন আদায় করবেন, তেমনি নিজের অধীনদের পক্ষ থেকেও আদায় করবেন। তবে এতে জাকাতের মতো বর্ষ অতিক্রম হওয়া শর্ত নয়।

ফিতরার উপকরণ ও পরিমাণ:

রাসুল (সা.)-এর যুগে মোট চারটি পণ্য দিয়ে ফিতরা আদায় করা হতো। খেজুর, কিশমিশ, যব ও পনির। আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বলেন, ‘আমরা এক সা পরিমাণ খাদ্য অথবা এক সা পরিমাণ যব অথবা এক সা পরিমাণ খেজুর অথবা এক সা পরিমাণ পনির অথবা এক সা পরিমাণ কিশমিশ দিয়ে সদকাতুল ফিতর আদায় করতাম।’ (বুখারি, হাদিস: ১,৫০৬)

খাদ্যবস্তুর পরিবর্তে সেগুলোর কোনো একটিকে মাপকাঠি ধরে তার মূল্য আদায় করা হয়।

বর্তমান বাজারদর হিসাবে যেহেতু গমের দামই সবচেয়ে কম, তাই ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতিবছর আধা ‘সা’ গমকে মাপকাঠি ধরে ওই সময়ের বাজারদর হিসাবে তার মূল্য ফিতরার সর্বনিম্ন পরিমাণ ঘোষণা করা হয়।

উত্তম হলো, নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি মূল্যের খাদ্যবস্তুকে মাপকাঠি ধরে ফিতরা আদায় করা। কেননা সদকার মূল লক্ষ্যই হলো গরিবদের প্রয়োজন পূরণ ও তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ। এ ছাড়া আদায়কারীর সামর্থ্যকেও বিবেচনায় রাখা উচিত, যদিও শরিয়তে সর্বনিম্ন মূল্যে ফিতরা আদায় করার দরজা খোলা রাখা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে যব, কিশমিশ, খেজুর ও পনিরের হিসাবে ফিতরার আলাদা মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কেউ চাইলে আটার হিসাবে ফিতরা না দিয়ে উল্লিখিত জিনিসগুলোর হিসাবেও ফিতরা দিতে পারবেন।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ পড়তে যাওয়ার আগেই সদকাতুল ফিতর আদায় করা উত্তম। তবে রমজান মাসেও তা আদায় করা যায়।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

নিউজ ডেস্ক।।

নরওয়ের এগডার বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয় মেয়াদে শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ পাচ্ছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শিক্ষার্থীরা। আবেদনের শেষ সময় চলতি বছরের ১৬ এপ্রিল।

চুয়েট ও এগডার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোলাবোরেশানে পরিচালিত চলমান কেয়ার প্রকল্পের আওতায় এবার দ্বিতীয় মেয়াদে শিক্ষাবৃত্তির সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। গত ২৭ মার্চ চুয়েটের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত ২টি বিজ্ঞপ্তিতে দুই বছর মেয়াদী মাস্টার্স ইন রিনিউবেল এনার্জি প্রোগ্রাম এবং পাঁচ মাস মেয়াদি গবেষণা/কোর্স ওয়ার্কের জন্য আবেদন আহ্বান করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের যন্ত্রকৌশল বিভাগ এবং তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন অথবা ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে স্নাতক তত্ত্বীয় কোর্স এবং ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্নকৃত শিক্ষার্থীরা ২ বছরের মাস্টার্স প্রোগ্রামে শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

এ ছাড়াও নরওয়েতে এক সেমিস্টার অধ্যয়নের নিমিত্তে (সম্ভাব্য সময় আগস্ট-ডিসেম্বর ২০২৪) চুয়েট এর যন্ত্রকৌশল বিভাগ, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব এনার্জি টেকনোলজিতে অধ্যয়নরত পিএইচডি/মাস্টার্স কোর্সের শিক্ষার্থীরা পাঁচ মাসের গবেষণা /কোর্স ওয়ার্কের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন সংযুক্ত ছক মোতাবেক আগামী ১৬ এপ্রিলের মধ্যে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের পরিচালক এবং যন্ত্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. আবু সাদাত মুহাম্মদ সায়েম, ই-মেইলঃ [email protected] বরাবর পাঠানোর জন্য বলা হয়। আবেদন পত্রের বিষয় Thesis/Course Work-NAME-DEPARTMENT/INSTITUTE এই Format এ একটা Single PDF File এ জমা দিতে বলা হয়েছে।

এ শিক্ষাবৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থী বিনা খরচে পড়ার পাশাপাশি প্রতি মাসে জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে ১২৬০০ নরওয়েজিনার ক্রোনার প্রাপ্ত হবেন।

প্রকল্পের পরিচালক ড. আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম জানান, ‘দুই বছর মেয়াদি কোর্সের জন্য ২-৩ জনকে নির্বাচন করা হবে। এ ক্ষেত্রে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ মাস্টার্স কোর্স নরওয়েতেই সম্পন্ন করবেন। আবেদনের ন্যূনতম যোগ্যতা হিসেবে সিজিপিএ ৪ স্কেলে ন্যূনতম ৩ দশমিক ৫ থাকতে হবে।’

তিনি জানান, ‘শিক্ষার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে তাদের সিজিপিএ, ইন্টারভিউ পারফরমেন্স ইত্যাদি বিবেচনা করা হবে। পাঁচ মাস মেয়াদি (এক সেমিস্টার) মাস্টার্স কোর্সে ৪-৫ জন শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। এ ক্ষেত্রে মাস্টার্সের অবশিষ্ট ৩ সেমিস্টার চুয়েটে সম্পন্ন করবেন। নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা চূড়ান্তভাবে ২৪ এপ্রিল এগডার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’

নিউজ ডেস্ক।।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগ) লিখিত পরীক্ষা শুক্রবার (২৯ মার্চ) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত দুই বিভাগের সব জেলা পর্যায়ে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে।

পরীক্ষা ঘিরে প্রতারণা ও জালিয়াতি ঠেকাতে প্রার্থীদের সতর্ক করে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতের সই করা সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতেই চাকরি হবে।

অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগ বিধিবিধান অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসনবিন্যাস, প্রশ্নপত্র পাঠানো ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়।

এছাড়া জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।

এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এমতাবস্থায় দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো ধরনের অর্থ লেনদেন না করা এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোনো প্রকার অসদুপায় অবলম্বনের জন্য কোনো দালালচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করাসহ অনুরোধ করা হলো।
অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে।

কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাকে নিকটবর্তী থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার জন্য অনুরোধ করেছে অধিদপ্তর।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram