বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশের মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশ ছাত্রী। এছাড়া চিকিৎসা, আইন, প্রকৌশল শিক্ষাসহ দেশের পেশাগত শিক্ষায় যত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন তার মধ্যে ৬১ শতাংশের বেশি নারী। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) করা ‘বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩’– এর খসড়া প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় অবস্থিত এক কর্মশালায় খসড়া সারসংক্ষেপের তথ্য উপস্থাপন করেন ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলমগীর। এখন প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে। দেশের মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ, সংকলন ও বিতরণ করে সরকারি সংস্থা ব্যানবেইস।

ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, দেশে পেশাগত শিক্ষা দেওয়া হয় এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৮৪২টি (১৩০টি সরকারি)। এগুলোতে মোট শিক্ষার্থী পৌনে দুই লাখ। এর মধ্যে ৬১ দশমিক ৫০ শতাংশ নারী। পেশার শিক্ষার মধ্যে আবার চিকিৎসা শিক্ষায় নারীর হার তুলনামূলক বেশি। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি ১০৯টি মেডিকেল কলেজের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৬৩ শতাংশ ছাত্রী।

ব্যানবেইসের এ প্রতিবেদনে শিক্ষার আরও বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চার বছরের ব্যবধানে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। তবে একই সময়ে কারিগরি, মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থী বেড়েছে।

ব্যানবেইসের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দেশের মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশ ছাত্রী। এ ছাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছাত্রীদের হার ৫৩ শতাংশের বেশি, কলেজে ৫০ শতাংশের বেশি, মাদ্রাসায় প্রায় ৫৪ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষায় ছাত্রীদের হার ২৯ শতাংশের বেশি। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের হার ৩৭ শতাংশের বেশি। অবশ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের এই হার আরও বেশি।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্যানবেইসের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান।

ঢাকাঃ চিকিৎসা, আইন, প্রকৌশল শিক্ষাসহ দেশের পেশাগত শিক্ষায় যত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন তার মধ্যে ৬১ শতাংশের বেশি নারী। বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) করা ‘বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩’– এর খসড়া প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নীলক্ষেত এলাকায় অবস্থিত এক কর্মশালায় খসড়া সারসংক্ষেপের তথ্য উপস্থাপন করেন ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলমগীর। এখন প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করে প্রকাশ করা হবে। দেশের মাধ্যমিক থেকে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান সংগ্রহ, সংকলন ও বিতরণ করে সরকারি সংস্থা ব্যানবেইস।

ব্যানবেইসের তথ্য বলছে, দেশে পেশাগত শিক্ষা দেওয়া হয় এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৮৪২টি (১৩০টি সরকারি)। এগুলোতে মোট শিক্ষার্থী পৌনে দুই লাখ। এর মধ্যে ৬১ দশমিক ৫০ শতাংশ নারী। পেশার শিক্ষার মধ্যে আবার চিকিৎসা শিক্ষায় নারীর হার তুলনামূলক বেশি। এর মধ্যে সরকারি-বেসরকারি ১০৯টি মেডিকেল কলেজের মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ৬৩ শতাংশ ছাত্রী।

ব্যানবেইসের এ প্রতিবেদনে শিক্ষার আরও বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চার বছরের ব্যবধানে দেশের মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। তবে একই সময়ে কারিগরি, মাদ্রাসা ও ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষার্থী বেড়েছে।

ব্যানবেইসের প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, দেশের মাধ্যমিক স্কুলগুলোতে মোট শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫৫ শতাংশ ছাত্রী। এ ছাড়া স্কুল অ্যান্ড কলেজে ছাত্রীদের হার ৫৩ শতাংশের বেশি, কলেজে ৫০ শতাংশের বেশি, মাদ্রাসায় প্রায় ৫৪ শতাংশ এবং কারিগরি শিক্ষায় ছাত্রীদের হার ২৯ শতাংশের বেশি। সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের হার ৩৭ শতাংশের বেশি। অবশ্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের এই হার আরও বেশি।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান। ব্যানবেইসের মহাপরিচালক মো. মুহিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্যানবেইসের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) হাবিবুর রহমান।

জামালপুরঃ জেলার সরিষাবাড়িতে মাকে ভরণপোষণ না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগে শিক্ষক ছেলে আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সরিষাবাড়ি থানার ওসি মুসফিকার রহমান।

জানা গেছে, সরিষাবাড়ির বাঁশবাড়ি গ্রামের আব্দুল বারেকের স্ত্রী খোদেজা বেগমকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করে আসছিলো আব্দুল জলিল। এ অবস্থায় বুধবার রাতে আবারো বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে খোদেজা বেগম সরিষাবাড়ি থানায় গিয়ে অভিযোগ দাখিল করেন।

খোদেজা বেগমের অভিযোগ, তার একমাত্র ছেলে শ্যামেরপাড়া ফিরোজ মজিদ উচ্চ বিদ্যালয়ের নন-এমপিও সহকারী শিক্ষক আব্দুল জলিল ভরণ পোষণ না দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে সরিষাবাড়ি থানায় অভিযোগ করেন।

সরিষাবাড়ি থানার ওসি মুসফিকার রহমান বলেন, খোদেজার অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের পিতা-মাতার ভরণ পোষণ আইনে মামলা দায়ের করে ছেলে আব্দুল জলিলকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

ঢাকাঃ বাংলাদেশে শিক্ষা নিয়ে অনেক বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। এতে মানসম্মত শিক্ষা সম্ভব নয়। তাই শিক্ষায় এত পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ হওয়া উচিত। একই সঙ্গে শিক্ষায় বাজেট বাড়াতে হবে। আসন্ন অর্থবছরে দেশের মোট বাজেটের কমপক্ষে ১৫ শতাংশ শিক্ষা খাতে বরাদ্দ করা দরকার। এরপর সেটি আরও বাড়াতে হবে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘শিক্ষায় ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট: আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় শিক্ষাসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এসব কথা বলেন। এই সভার আয়োজন করে শিক্ষা নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংস্থাগুলোর মোর্চা গণসাক্ষরতা অভিযান।

মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি উপদেষ্টা কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। তিনি বলেন, শিক্ষায় বরাদ্দ যদি শতাংশে দেখা হয়, তাহলে হয়তো কম। কিন্তু টাকার অঙ্কে দেখলে তা বেশি। তবে তিনিও অন্যদের অভিমতের সঙ্গে একমত যে শিক্ষায় আরও বেশি বরাদ্দ দেওয়া প্রয়োজন। আগামী দিনে সরকার এগুলো বিবেচনা করবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

আলোচনায় উঠে আসা বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘সমস্যাগুলো বলছেন। কিন্তু কীভাবে সমাধান করবেন, সেটি কিন্তু কেউ বলছেন না। আপনারা বলছেন টাকা কম, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ হচ্ছে না। অনেক রকম সমস্যার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সম্ভাবনা কীভাবে জাগিয়ে তুলতে পারি, সেটি কিন্তু আপনাদের বলতে হবে।’

মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ও জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। তিনি বলেন, জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ সবাই গ্রহণ করেছিল। বিরোধীরাও খুব একটা বিরোধিতা করেনি। তারপর বাস্তবায়নে যখন এল, তখন মূল বিষয়গুলো বাদ দিয়ে নতুন নতুন বিষয় যেমন পঞ্চম শ্রেণিতে পরীক্ষা (প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা) ঢুকিয়ে দেওয়া হলো; যা শিক্ষানীতিতে ছিল না। বাংলাদেশে শিক্ষা নিয়ে এত বেশি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে যে পঞ্চম শ্রেণি শেষে সমাপনী পরীক্ষা হবে। কিছুদিন পরে আবার হবে না। এখন বন্ধ করা হয়েছে। শোনা যাচ্ছে আবারও নাকি কী ধরনের পরীক্ষা হবে। এভাবে যদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে থাকে তাহলে মানসম্মত শিক্ষা কী করে হবে? হতে পারে না।

ঢাকাঃ (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য হিসেবে  বুধবার শেষ কর্মদিবস ছিল অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের। ২০২১ সালের ২৯ মার্চ একাদশ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ। দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথম দিকে তিনি সফলতা দেখালেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তিনি হয়ে ওঠেন আলোচিত-সমালোচিত এক নাম। তার বিরুদ্ধে সীমাহীন নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি দুই হাজারের বেশি নিয়োগ দিয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন মহলের দাবি।

উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তার ছেলে তানভীর আহমেদ ও ছেলের স্ত্রী ফারহানা খানম চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। উপাচার্য শারফুদ্দিনের স্ত্রী নাফিজা আহমেদের ভাইয়ের ছেলে সাব্বির হোসেনকেও কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। তবে এই তিন নিয়োগেই থেমে থাকেননি উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদ। তার পরিবারের আরও ৭ সদস্যকে নিয়োগ দিয়েছেন তিনি। উপাচার্য শারফুদ্দিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামী লীগপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি ছিলেন। এরপর তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

গত শনিবার উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে নিয়োগ-বাণিজ্যের অভিযোগ তুলে তার কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) শিক্ষকেরা। বিক্ষোভে চিকিৎসক নেতারা ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সরা উপস্থিত ছিলেন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গত ৩ বছরে স্থায়ী, অস্থায়ী ও চুক্তিভিত্তিকসহ বিভিন্ন উপায়ে ২ হাজারের বেশি অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক, মেডিকেল অফিসার, হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, নার্স, ওয়ার্ড বয়, আয়া, গাড়িচালক, সুইপার ও এমএলএসএস নিয়োগ দিয়েছেন। এই নিয়োগের বড় অংশকে তিনি অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেন এবং পর্যায়ক্রয়ে স্থায়ী করে নেন। নিয়ম অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশের কথা থাকলেও বেশির ভাগ নিয়োগই হয়েছে কোনো বিজ্ঞপ্তি ছাড়া।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, নতুন উপাচার্য নিয়োগ দেওয়ার পরও দায়িত্বের শেষ সময়ে যেকোনো উপায়ে একটা সিন্ডিকেট সভা করতে চেয়েছিলেন বিদায়ি উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদে। যে সিন্ডিকেটে তিনি ২৫০ জনের নতুন নিয়োগ ও পুরোনোদের পদোন্নতি দিতে চেয়েছিলেন। যেখানে ১২০ জনের বেশি চিকিৎসক ও নার্স কর্মকর্তা কর্মচারীসহ আরও ১৩০ জনকে নিয়োগ ও পদোন্নতি দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের বাধায় সেই সভার আয়োজন করতে পারেননি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া যখন বিদায় নেন তখন ৪০০ জনের কিছু বেশী ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী রেখে গিয়েছিলেন, যাদের একটা বড় অংশ অস্থায়ী ছিল। কিন্তু উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে অধ্যাপক শারফুদ্দিন অস্থায়ীদের স্থায়ী করতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছিলেন এসব নিয়োগে অনৈতিক পন্থা অবলম্বন করা হয়েছে। অথচ উপাচার্য পদ থেকে বিদায় নেওয়ার সময় অধ্যাপক শারফুদ্দিন ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারীর সংখ্যা রেখে যাচ্ছেন ১ হাজারের কাছাকাছি। এই নিয়োগের পেছনেও বড় অনিয়ম করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্তরের চিকিৎসক, কর্মকর্তা কর্মচারীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপাচার্য অধ্যাপক শারফুদ্দিন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিজস্ব বলয় গড়ে তোলেন। তিনি তার ব্যক্তিগত সহকারী ডাক্তার মোহাম্মদ রাসেলকে অধীক ক্ষমতাবান করে তোলেন। রাসেল বিভিন্ন নিয়োগ দুর্নীতি ও অনীয়মের মাধ্যমে বড় অঙ্কের টাকা আত্মসাৎ করেন যার বড় অংশীদার ছিলেন উপাচার্য। উপাচার্যের নিয়োগ দুর্নীতির আরেক বড় সহযোগী ছিলেন বিএসএমএমইউর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অতিরিক্ত পরিচালক ডা. রসুল আমিন শিপন। এই দুই জন তাদের অনেক পারিবারিক আত্মীয় স্বজনকে নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে বড় বড় সব নিয়োগ দিয়েছেন।

এছাড়াও তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি মসিউজ্জামান শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল করিম এবং চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক লোকমান তাদের পরিবারের একাধিক সদস্যকে চাকরী দিয়েছেন। কেবল তাই নয় ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণির যত নিয়োগ হয়েছে তার বেশীরভাগের নিয়োগেই এই ৪ জনের হাত রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, আমার সময়ে অনেক ভালো ভালো কাজ হওয়া সত্ত্বেও একটি পক্ষ সবসময় সবকিছুর বিরোধিতা করে আসছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিদায়ী সব ভিসিকেই পালাতে হয়েছে। আমি সঠিক ছিলাম বলেই শেষ দিনও অফিস করছি। এক সময় সব অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে। ছয় মাস পরই আপনারা বুঝতে পারবেন আমি কেমন ছিলাম।

নিউজ ডেস্ক।।
সুবর্ণ সন্তান মুহাম্মদ মুসবীতুল হাসান ফারুকী রাহিব ঢাবি ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান মেধা তালিকায় ৫২ তম স্থান অর্জন করেছেন।

উল্লেখ্য, রাহিব বুয়েট ভর্তি পরীক্ষায় ৯৭তম ও এমআইএসটিতে ৫২৫তম হয়েছিলো।

রাহিবের গর্বিত মা ফারহানা ইয়াছমিন সুবর্ণচর উপজেলার উত্তর চরজুবিলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত প্রধান শিক্ষক ও বাবা মোহাম্মদ নাছিম ফারুকী পশ্চিম চরজব্বর নেয়াজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।

তাদের দুইজনকে শিক্ষাবার্তা ডটকম পরিরবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন ও কৃতি সন্তানের জন্যে অভিনন্দন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর আশুলিয়াস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসের সেমিনার কক্ষে ২৭ মার্চ বুধবার এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এইউবি রেজিস্ট্রার একেএম এনামুল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এইউবি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমেরিটাস প্রফেসর ড. শাহজাহান খান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের প্রভাষক মো: রাশেদুল আলম।

এইউবি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক বলেন, যাকাতের উদ্দেশ্য হলো সমাজ থেকে দারিদ্র্যতা নির্মূল করা। তাই সমৃদ্ধ অর্থনীতিতে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু আদায় ও বণ্টনের মাধ্যমে সরকারি যাকাত ফান্ড আরো শক্তিশালী হলে দারিদ্র বিমোচন করা সম্ভব হবে।

এইউবি উপাচার্য ইমেরিটাস প্রফেসর ড. শাহজাহান খান বলেন, একটি সুখী সুন্দর ও উন্নত সামাজিক পরিবেশ গঠনে ধনাঢ্য মুসলমানদের অবশ্যই তাদের নিসাব পরিমাণ সম্পদের একটি নির্ধারিত অংশ দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিদের দুর্দশা মোচনের জন্য ব্যয় করতে হবে। ফলে অসহায় ও দুস্থ মানবতার কল্যাণই হবে না বরং সমাজে আয়বণ্টনের ক্ষেত্রেও বৈষম্য হ্রাস পাবে।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক—শিক্ষিকা, কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: ওসমান গনী।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী প্রতীক রসুল। তিনি এর আগে প্রকাশিত তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছেন দ্বিতীয়।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর সাড়ে ৩টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতীক রসুলের প্রাপ্ত নম্বর ১১১.২৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ১১০০৭৩৭।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে পাসের হার ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ। এতে পাস করেছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন। বিজ্ঞান ইউনিটে পাসের হার ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন।

ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে পাসের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এতে পাস করেছেন ৪ হাজার ৫৮২ জন। চারুকলা ইউনিটে পাসের হার ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এতে পাস করেছেন ৫৩০ জন।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে অংশ নেওয়া ১ লাখ ২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন। এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এ ফলাফল প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, প্রিয়ন্তী মন্ডল খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট আসন দুই হাজার ৯৩৪টি।

একই সময় বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৮২ জন। এ ইউনিটে পাসের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বিজ্ঞান ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন। এ ইউনিটে পাসের হার ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

চারুকলা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪ হাজার ৫১০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫৩০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ ইউনিটে পাসের হার ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

যেভাবে ফল জানা যাবে:

admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল জানা যাবে। সেই সঙ্গে টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU ALS টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

মানিকগঞ্জঃ বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত, অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও অসৌজন্যমূলক আচারনের দায়ে শিবালয় উপজেলার উথলী আব্দুল গণি সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইউছুফ আলীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

জানা গেছে, ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে দেড় হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষার মান নির্নয়ে এ বিদ্যালয় অন্যতম বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত। প্রায় ১০ বছর আগে এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে উক্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন তহবিলের অর্থ আত্মসাত, অনিয়ম-দুর্নীতি করায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তাকে সতর্ক করে। কিন্তু তিনি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নানা বিশৃঙ্খলা ও অসৌজন্যমূলক আচরন করে আসছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবক, শিক্ষক ও বিদ্যালয় হিতৈষীদের মাঝে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি উক্ত অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধান ও অডিট চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। দীর্ঘ তদন্দ শেষে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসে।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: সালাউদ্দিন সরকার  জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ যাচাই-বাছাই, তদন্ত ও অডিট শেষে প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতসহ নানা দুর্নীতির বিষয় প্রমানিত হয়। এসএমসির বিশেয় সভায় উক্ত প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে তাকে সাময়িক বহিস্কারের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৃহস্পতিবার তাকে সিদ্ধান্তের চিঠি প্রদান ও সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে কাগজ-পত্র প্রেরন করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার চারুকলা ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রবীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী মো. বাঁধন তালুকদার।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর সাড়ে ৩টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, ব্যবসায় ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাঁধন তালুকদারের প্রাপ্ত নম্বর ৭৯। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ৫১০৬৩৮১।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে পাসের হার ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ। এতে পাস করেছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন। বিজ্ঞান ইউনিটে পাসের হার ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন।

ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে পাসের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এতে পাস করেছেন ৪ হাজার ৫৮২ জন। চারুকলা ইউনিটে পাসের হার ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এতে পাস করেছেন ৫৩০ জন।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ২০২৩-২৩ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন। পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ। বাকি ৮৯.৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছেন।

প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, এ বছর বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তি মন্ডল। তার সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর ১০৫.২৫। ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ২৬০৪৩০৯। তিনি খুলনার গভ এম এম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। তার পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের প্রায় ৮০টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২২৫টি। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার অংশগ্রহণ করেছেন।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি ইউনিটের ৫ হাজার ৯৬৫ আসনের জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ২টি। সে অনুযায়ী, আসন প্রতি পরীক্ষা দিয়েছেন প্রায় ৪৭ জন শিক্ষার্থী।

ফলাফল যেভাবে দেখা যাবে

কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বরের মাধ্যমে https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন।

এছাড়া, টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে 'কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট'-এর জন্য DU ALS <roll no>, 'বিজ্ঞান ইউনিট'-এর জন্য DU SCI <roll no>, 'ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট'-এর জন্য DU BUS <roll no> এবং 'চারুকলা ইউনিট'-এর জন্য DU FRT <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফল জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এই ইউনিটে মাত্র ১১ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী পাস করেন। পাসের হার ছিলো মাত্র ৯.৬৯ শতাংশ।

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram