মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ ২০২৪

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উপলক্ষে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এর আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শিশু বঙ্গবন্ধু আজকের শিশুদের জন্য অনুসরনীয়। শিশুরা বঙ্গবন্ধুর আত¦জীবনী পড়বে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে স্বাধীনচেতা হিসেবে গড়ে তুলবে। তিনি আরো বলেন, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার রুপান্তর। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই পথেই হাটছেন।

এ সময় অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এইউবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: নূরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে, বাংলাদেশ নামক দেশটির জন্ম হতো না। জাতির জনকের জীবনটাই ছিল সংগ্রাম আর সাধনার। তিনি সাধনা করেছিলেন বলেই আজ পুরো জাতি তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। আগামীতেও স্মরণ করবে।

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন এইউবি উপাচার্য ইমেরিটাস প্রফেসর ড. শাহজাহান খান। তিনি বিশ্বের সকল শিশুদের মানবাধিকার প্রদানে বিশ্ববাসীকে আহবান করেন, তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস। বঙ্গবন্ধু যেমন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন, তেমনি আমাদেরকেও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সকল অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মুকতাশা দিনা চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

চকচকে রৌদ্রজ্জ্বল ভাবেই শুরু হয়েছিল দিন। সময় গড়ানোর সাথে সাথে বাড়ছিল তাপ। গত কয়েকদিন থেকেই গরমের তীব্রতা যেন পাল্লা দিয়েই বাড়ছিল। রমজান মাসে এমন গরমের তীব্রতায় হাসফাস করছিলেন রোজাদাররা। গরমে যখন নগরবাসীর হাপিত্যেশ অবস্থা, ঠিক তখনই শীতল পরশ নিয়ে এলো বৃষ্টি। রোজাদাররা বলছেন রহমতের বৃষ্টি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরের দিকে আকাশে মেঘ জমতে থাকে। ধীরে ধীরে তা গাড়ো হয়ে চারদিক অন্ধকার হয়ে আসে। পৌনে তিনটার দিকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি।

পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষার্থীর পেছনে বার্ষিক সর্বোচ্চ ব্যয় করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’র। এরপরের অবস্থানেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের। আর শিক্ষার্থীদের পেছনে সর্বনিম্ন ব্যয় করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সূত্রে এসব জানা গেছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী প্রতি বার্ষিক মাথাপিছু ব্যয় ৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’র শিক্ষার্থীদের পেছনে ব্যয় করা হয় ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৫ টাকা। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাথাপিছু পেয়ে থাকেন ৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা। এরপরেই রয়েছে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থী প্রতি ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বলছে, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় অপেক্ষা বিজ্ঞান, চিকিৎসা, প্রকৌশল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীপ্রতি ব্যয় সব সময়ই বেশি। মঞ্জুরী কমিশনের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ সালে ২৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীপ্রতি মাথাপিছু ব্যয় বাড়লেও কমেছে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, বাংলাদেশ কৃষি, বাংলাদেশ প্রকৌশল, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, ইসলামী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, খুলনা, বাংলাদেশ উন্মুক্ত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শেরে বাংলা কৃষি, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জগন্নাথ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস, সিলেট কৃষি, বেগম রোকেয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু ব্যয় বিগত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে জাতীয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রবীন্দ্র, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা, খুলনা কৃষি এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু ব্যয় বিগত বছরের তুলনায় কমেছে।

বর্তমানে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৩টি। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে লেখাপড়া করছে ৪৪ লাখ ১৫ হাজার ৬৪৯ জন। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট শিক্ষার্থীর ৭১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

অর্থাৎ উচ্চ শিক্ষায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজে। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতি মাথাপিছু বার্ষিক ব্যয় ধারাবাহিকভাবে শুধুই কমছে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে খরচ করা হয় মাত্র ৫৮ টাকা। বছর শেষে একজন শিক্ষার্থীর প্রতি ব্যয় দাঁড়ায় ৭০২ টাকা। অবকাঠামো উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষন ও ল্যাবরেটরিসহ অন্য যন্ত্রপাতি কেনা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেটে যে ব্যয় দেখানো হয় তা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী দিয়ে ভাগ করে চিহ্নিত করা হয় শিক্ষার্থী প্রতি মাথাপিছু ব্যয়।

শিক্ষার্থীর দিক দিয়ে শুধু দেশেই নয় সারা বিশ্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চম। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর ব্যয় হ্রাস শিক্ষার জন্য ভালো নয় বলে মন্তব্য করেছে খোদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন নিজেই।

কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের চ্যানেল আইকে বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীপ্রতি বার্ষিক ব্যয় ৭০২ টাকা শিক্ষার্থীর জন্য নিশ্চিত ভাবেই অপ্রতুল। শিক্ষার মানের উন্নয়নে এই অর্থ বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে।’

তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২ হাজার ২৫৭টি কলেজ উল্লেখ করে ড. তাহের বলেন, ‘যদি কলেজগুলোর আলদা ব্যয় হিসেব করা হয় তাহলে এই ব্যয় বাড়বে। মঞ্জুরী কমিশনের রিপোর্টে শুধুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় ধরা হয়। এখানে কলেজগুলোর বাজেট, বেতন, বরাদ্দ এগুলো দেখানো হয় না।’

উচ্চ শিক্ষাসহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পরিচালনা করে থাকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র, ৮০টি উপ আঞ্চলিক কেন্দ্র ও ১ হাজার ৫৫০টি স্টাডি সেন্টারে ৯৬টি আনুষ্ঠানিক এবং ৭৭টি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে।

এই সব কর্মসূচিতে এসএসসি, এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীসহ মোট শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৮৪৩ জন। শিক্ষার্থীপ্রতি মাথাপিছু ব্যয় ৩ হাজার ৪১৫ টাকা। যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কিছুটা ভালো।

মঞ্জুরী কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীপ্রতি ব্যয় জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক কম, ফলে এই দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান হ্রাস পাচ্ছে। অথচ উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে।

অতএব, জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায়ে শিক্ষার্থীপিছু ব্যয় করা হয় ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৭ টাকা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালের চেয়ে ২০২২ এ শিক্ষার্থীপিছু ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার টাকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীপিছু ব্যয় ২০২১ এর তুলনায় বেড়েছে ৩৩ হাজার টাকার কিছু উপরে। ২০২২ সালে গড়ে একজন শিক্ষার্থীর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যয় করা হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৭ টাকা।

অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, ‘নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেহেতু অবকাঠামো, ল্যাব এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করা হয় সে হিসেবে শিক্ষার্থীপ্রতি ব্যয় কিছুটা বাড়ে।

কখনো কখনো বড় ধরনের সংস্কার, বিনিয়োগ করার কারণে বছরের মধ্যেও শিক্ষার্থীর ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে।’ এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার জন্য রাষ্ট্রের যতোটুকু বিনিয়োগ করার প্রয়োজন এবং যতোটুকু সামর্থ আছে ততোটুকুই বরাদ্দ করা হয়।’

১৯৭৩ সালে ৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে দেশে ৫৩টি পাবলিক ও বেসরকারি ১১০টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।চ্যানেল আই

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

মুফতি রফিকুল ইসলাম আল মাদানিঃ পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালন করা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। মুসলমানদের জন্য রমজান মাসে রোজা পালন করা ফরজ। তবে যারা অসুস্থ বা শরিয়ত সম্মত ভ্রমণে থাকবে অথবা বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা পালনে অপারগ হবে তাদের জন্য বিভিন্নভাবে ছাড় প্রদান করা হয়েছে। দয়াময় আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পার। রোজা নির্দিষ্ট কয়েকদিনের জন্য। অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সেই রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয় তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাদ্য দান করবে। আল্লাহ রোজাদারদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য কষ্টকর কিছু কামনা করেন না। (সুরা আল বাকারা : ১৮৩-১৮৫)

নারীদের জন্য তাদের মাসিক পিরিয়ড ও প্রসবকালীন কিছুদিন রোজা পালন করা শরিয়তের আলোকে নিষেধ। ওই সময়ে ছেড়ে দেওয়া রোজা রমজান-পরবর্তী কোনো সময়ে পূরণ করে নেবে। এভাবে যারা শরিয়ত সম্মত সফর অথবা অসুস্থতাজনিত কারণে যে ধরনের অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভ করে রোজা আদায় করতে সক্ষম হন, তাদের জন্যও পরবর্তীকালে রোজা আদায় করা আবশ্যক। আর যদি অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে কিংবা এমন বৃদ্ধ অবস্থায় পৌঁছে যান যার জন্য রোজা রাখার সক্ষমতা ও সামর্থ্য কখনো ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই, তাহলে ওই ব্যক্তি ফিদিয়া আদায় করবে। কোনো ধরনের ভুলভ্রান্তির কারণে শরিয়তের পক্ষ থেকে যে বিনিময় বাধ্যতামূলক করা হয় তাকে ফিদিয়া বলে। পবিত্র রমজান মাসে যারা রোজা রাখতে অক্ষম, তাদের বিকল্প বিধানকেও ফিদিয়া বলা হয়। ফিদিয়ার পরিমাণ হলো- প্রতিটি রোজার জন্য একজন দরিদ্র ব্যক্তিকে পেট ভরে দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করা। টাকা দিয়েও ফিদিয়া আদায় করা যায়। তখন প্রত্যেক রোজার জন্য ফিদিয়ার ন্যূনতম পরিমাণ হলো- সদকায়ে ফিতরের সমান। ফিদিয়া পাওয়ার উপযুক্ত হলো গরিব, মিসকিন যারা জাকাত পাওয়ার উপযুক্ত তারাই ফিদিয়া পাওয়ার উপযুক্ত হিসেবে গণ্য হবে। আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করে, কেউ অসুস্থ হলে বা রোজা পালন করতে অক্ষম হলে অন্য কাউকে দিয়ে বদলি রোজা রাখাতে হয়। আসলে বদলি রোজা বলতে ইসলামে কোনো পরিভাষা নেই। বরং অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, সুস্থ হওয়ার পর নিজেকেই তা কাজা করতে হবে। আর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে প্রতিটি রোজার জন্য একেকটি করে ফিদিয়া আদায় করতে হবে।

রোজা অবস্থায় ইনহেলার স্প্রে করার বিধান : শাসকষ্ট দূর করার জন্য মুখের ভিতরে ইনহেলার স্প্রে করা হয়। কেউ কেউ এমন আছে যারা এই ইনহেলার ব্যবহার করা ব্যতীত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করতে অক্ষম। ওষুধটি স্প্রে করার সময় যদিও গ্যাসের মতো দেখা যায়, কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তা দেহবিশিষ্ট তরল ওষুধ। অতএব মুখের অভ্যন্তরে ইনহেলার স্প্রে করার দ্বারা রোজা ভেঙে যাবে। সাহরির সময় থেকে ইফতার পর্যন্ত ইনহেলার ব্যবহার করা ব্যতীত যারা অতিক্রম করতে অক্ষম তাদের জন্য রোজা পালন করা বাধ্যতামূলক নয়। তারাও অসুস্থ হওয়ার কারণে পরবর্তী রোজা কাজা করবে। তা সম্ভব না হলে ফিদিয়া আদায় করবে। আর অসুস্থ ব্যক্তি তার রোজা কাজা করা বা ফিদিয়া দেওয়ার আগেই মারা গেলে তার পক্ষ থেকে তার আত্মীয়স্বজন যথাসাধ্য ফিদিয়া আদায় করার চেষ্টা করবে।

লেখক : গবেষক, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা, ঢাকা

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

ঢাকাঃ দাফতরিক কাজে গতি বাড়াতে সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং আওতাধীন সংস্থার শূন্যপদে জনবল নিয়োগ দিতে গত ফেব্রুয়ারিতে পরিপত্র জারি করেছে সরকার। তবে সেই পরিপত্র মেনে জনবল নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কি না সে বিষয়ে তাগিদপত্র দেওয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, পনেরো দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অধীনস্থ সংস্থাগুলো জনবল নিয়োগে কী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে- সে বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠাতে বলা হয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে।

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোতে প্রায় ৫ লাখ শূন্যপদ রয়েছে। সরকারি কর্মচারীদের পরিসংখ্যান, ২০২২ এর তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৯৭৬টি পদ শূন্য রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানাচ্ছেন, প্রশাসনে অনুমোদিত ১৯ লাখ ১৫১টি পদের বিপরীতে কর্মকর্তা ও কর্মচারী রয়েছেন প্রায় ১৪ লাখ। মোট জনবলের প্রায় ২৫ শতাংশের বেশি পদ শূন্য রয়েছে। এর ফলে সরকারের অনেক সংস্থার কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতাও কমে গেছে।

জন প্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ ছিল। সরকারের কৃচ্ছনীতির কারণেও সরকারের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক গতিতে সম্পন্ন হয়নি। এ ছাড়া মামলা মোকাদ্দমার কারণেও বিভিন্ন নিয়োগ প্রক্রিয়া আটকে গেছে। কিন্তু নির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রশাসনের গতি বাড়ানোর পাশাপাশি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ সংস্থাগুলোর প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। প্রশাসনিক কার্যক্রমের সঙ্গে যেহেতু পর্যাপ্ত জনবলের বিষয়টি জড়িত- সে কারণেই সরকারের মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থাগুলোতে জরুরিভিত্তিতে শূন্যপদে জনবল নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী এরই মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ সংস্থার শূন্যপদে নিয়োগ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। ইপিবি, টিসিবির নিয়োগ শেষ হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। তারপরও কিছু শূন্যপদ রয়েছে। খুব শিগগিরই সেগুলোর নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, শূন্যপদে নিয়োগের চাহিদা দেওয়ার পর বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সুপারিশ জানালেও ভেরিফিকেশনসহ নানা জটিলতায় দিনের পর দিন আটকে থাকে নিয়োগ প্রক্রিয়া। আবার তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে হলেও সেখানে ঘুষ, তদবির, প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ নানা জটিলতায় আটকে যায় পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া। এভাবে দিনের পর দিন শূন্যপদের সংখ্যা বেড়েছে।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)-এর সচিব মো. হাসানুজ্জামাল কল্লোল  বলেন, কোনো মন্ত্রণালয় শূন্যপদে নিয়োগের চাহিদা দিলে আমরা সে অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করে উত্তীর্ণদের নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করি। এখন সুপারিশকৃতদের মধ্য থেকে নিয়োগ সম্পন্ন করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সংস্থার।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে পরিপত্র জারির পর কোনো মন্ত্রণালয় জনবল নিয়োগের চাহিদাপত্র দিয়েছে কি না জানতে চাইলে পিএসসি সচিব জানান, তারা ননক্যাডার পদে কয়েকটি মন্ত্রণালয়ের জনবল নিয়োগের চাহিদা পেয়েছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

ঢাকাঃ  মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে শিক্ষার্থীদের পড়তে যাওয়ার আগ্রহ খুব একটা থাকে না। তাই মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অনেক বিশ্ববিদ্যালয় বিনা খরচে বৃত্তি দিচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইএলটিএস ছাড়াই বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে।

আরব দেশগুলোয় পড়তে যাওয়ার সুবিধা হলো, সেখানে চাকরির সুবিধা রয়েছে। আর বেতন করমুক্ত। ফলে পড়াশোনা শেষ করে, নানা ধরনের চাকরির সুযোগ পাওয়া যাবে। সম্পূর্ণ অর্থায়নে বৃত্তির সুযোগ দিচ্ছে এমন ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়।

কিং আবদুল আজিজ বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি

সৌদি আরবের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডিতে বিনা খরচে বৃত্তির সুযোগ রয়েছে।

কিং ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি

সৌদি আরবের এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর, পিএইচডি এবং এমবিএতে সম্পূর্ণ বিনা খরচে বৃত্তির সুযোগ রয়েছে।

কিং আবদুল্লাহ বৃত্তি

সৌদি আরবে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয়। স্নাতকোত্তর, পিএইচডি এবং এমবিএতে বিনা খরচে বৃত্তির সুযোগ রয়েছে।

ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মদিনা

স্নাতক শ্রেণিতে সম্পূর্ণ বিনা খরচে বৃত্তির সুযোগ রয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়টি সৌদি আরবে অবস্থিত।

মিনিস্টি অব অ্যাডুকেশন বৃত্তি
এই বৃত্তি স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডিতে বিনা মূল্যে পড়াশোনার সুযোগ মিলবে।

কুয়েত সরকারি বৃত্তি

কুয়েতের এ বৃত্তি স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডিতে সম্পূর্ণ বিনা খরচে পড়াশোনার সুযোগ দেয়।

হামিদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি

স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডিতে বৃত্তির সুযোগ দেয় কাতারের হামিদ বিন খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়।

কাতার বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি

কাতারের এ বৃত্তি স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডিতে বিনা খরচে পড়াশোনার সুযোগ দেয়।

দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েটস স্টাডিজ বৃত্তি

স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডিতে পড়ার জন্য বৃত্তি দেয় কাতারের এই ইনস্টিটিউট।

সংযুক্ত আরব আমিরত বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি

সংযুক্ত আরব আমিরাতের এ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডিতে সম্পূর্ণ বিনা খরচে বৃত্তি দেয়।
খলিফা বিশ্ববিদ্যালয় বৃত্তি

সংযুক্ত আরব আমিরতের এ বিশ্ববিদ্যালয় স্নাতক, স্নাতকোত্তর, পিএইচডি, প্রি মেডিসিন ব্রিজ প্রোগ্রাম, ডক্টর অব মেডিসিনে সম্পূর্ণ বিনা খরচে বৃত্তি দেয়।

এসব বৃত্তির আওতায় বিমানের টিকিট, থাকা, খাওয়া, স্বাস্থ্যসেবা–সুবিধাসহ মাসিক ভাতাও দেয়া হবে। এ ছাড়া প্রতিটি বৃত্তিরই আরও বিভিন্ন সুযোগ–সুবিধা রয়েছে।

*১২টি বৃত্তির বিস্তারিত দেখতে এ লিংকে প্রবেশ করুন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

ঢাকাঃ বিমা নিয়ে পড়াশোনার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে অর্থ বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। দেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক অ্যাকচুয়ারি সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে এ বৃত্তি দেয়া হচ্ছে।

অ্যাকচুয়ারিয়াল সায়েন্স ও অ্যাকচুয়ারিয়াল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য এ বৃত্তি দেয়া হবে। বাংলাদেশিরা এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। অ্যাকচুয়ারিয়াল সায়েন্স ও অ্যাকচুয়ারিয়াল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ব্রিটেনে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য বৃত্তি ঘোষণা করা হয়েছে।

এ বৃত্তি পেতে যেসব যোগ্যতার প্রয়োজন পড়বে-

অ্যাকচুয়ারিয়াল সায়েন্স ও অ্যাকচুয়ারিয়াল ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে ব্রিটেনে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য আগ্রহী প্রার্থীদের নিচের যোগ্যতাসম্পন্ন হতে হবে—

১.মাস্টার্স ইন অ্যাকচুয়ারিয়াল সায়েন্স ডিগ্রির জন্য যুক্তরাজ্যের সিটি ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের কাস বিজনেস স্কুল (এখন দ্য বিজনেস স্কুল নামে পরিচিত) থেকে শর্তহীন অফার লেটার (ফুল টাইম) থাকতে হবে। শর্তযুক্ত অফার লেটার–সংবলিত আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।

২.এ বছরের ৩১ মার্চে আবেদনকারীর বয়সসীমা হতে হবে সর্বোচ্চ ৩৫ বছর।

৩.বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, সাধারণ বিমা করপোরেশন, জীবন বিমা করপোরেশন এবং জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষে কর্মরত নিজস্ব প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স সর্বোচ্চ ৪০, তবে মডিউলভিত্তিক আবেদনকারীর বয়সসীমা শিথিলযোগ্য।

৪.সরকারি কর্মকর্তার ক্ষেত্রে চাকরি স্থায়ী হতে হবে এবং চাকরিতে প্রবেশের পর বিদেশে কোনো মাস্টার্স ডিগ্রি সম্পন্ন করে থাকলে অযোগ্য বিবেচিত হবেন।
 
আবেদন ফরম কোথায় মিলবে
 
অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এবং বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট থেকে বৃত্তি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন ফরম ডাউনলোড করা যাবে।
আবেদনে যা সংযুক্ত করতে হবে-

আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন ফরমের সঙ্গে নিম্নোক্ত কাগজপত্র সংযুক্ত করতে হবে—
সম্প্রতি তোলা ৩ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি
শিক্ষাগত যোগ্যতার সব সনদ
পরীক্ষার মার্কশিপ/গ্রেড পয়েন্টের সত্যায়িত কপি
জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি
পাসপোর্টের সত্যায়িত কপি
টোয়েফল, আইইএলটিএস (একাডেমিক) পরীক্ষার ফলাফলের সত্যায়িত কপি;
শর্তহীন অফার লেটার (ফুল টাইম) থাকতে হবে এবং শর্তযুক্ত অফার লেটার–সংবলিত আবেদন বাতিল বলে গণ্য হবে।

আবেদনের ঠিকানা-

উল্লিখিত কাগজপত্রসহ আবেদন ফরম রেজিস্টার্ড ডাকযোগে বা সরাসরি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, ৩৭/এ, দিলকুশা বা/এ, ঢাকা ঠিকানায় পাঠাতে হবে।

আবেদনের শেষ সময়-

আবেদনের সময়সীমা ৩১ মার্চ বিকেল ৫টা।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

টিকটক করতে গিয়ে মহাবিপদে শিক্ষা সফরের শিক্ষার্থীরা। শুধু তারাই নয়, চরম বিপদ আর ভাবমূর্তি সংকটে শিক্ষক এবং পুরো বিদ্যালয়টি। সম্প্রতি বিদ্যালয়টির শিক্ষা সফরে শুধুমাত্র টিকটকের আনন্দ আর লাইক কমেন্টের আশায় অভিনব এক কায়দা বেছে নেয় শিক্ষার্থীরা।

ফেরিওয়ালার কাছ থেকে কেনা মদের বোতলে জুস ভরে খাওয়ার অভিনয় করলে সেই ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থা বিভিন্ন গণমাধ্যমে শিরোনাম হয় শিক্ষা সফরের নামে শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা মদপান করেছেন। এ নিয়ে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড়ে তদন্তের মুখোমুখি হতে হয় ওই স্কুল কর্তৃপক্ষকে।

জানা গেছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুরের শিকদার হাট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৪১ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা সফরে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও যান শিক্ষকরা। বাসের মধ্যে বিনোদনের সময়ে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাকিব, ছরোয়ার হোসেন, নাজমুল হাসান ও সিয়াম চারজন মিলে মদের বোতলে জুস ভরে মদ পানের অভিনয় করে।

বিষয়টি নজরে আসে শিক্ষকদের। তারা প্রথমে রেগে গেলেও পরে পরীক্ষা করে শিক্ষকরা নিশ্চিত হয় এটি আসলেও জুস। পড়ে পুরো বিষয়টি টিকটকে বন্ধুরা ছড়িয়ে দেয়া হয়।

বিষিয়টি নিশ্চিত হতে পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তদন্ত কমিটি করলে চার শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষককে ডোপ টেস্ট করানো হয়। এতে নেগেটিভ ফলাফল আসে। তদন্ত প্রতিবেদনে সবাই নির্দোষ প্রমাণিত হয়।

গণমাধ্যমে সংবাদের কারণে মান-সম্মান ও সামাজিক মাধ্যমে বুলিংয়ের শিকার হয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বেতন বন্ধ রয়েছে শিক্ষকদের। অন্যদিকে ওই শিক্ষার্থীদের সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মদের বোতল নিয়ে এমন অভিনয়কে অনিচ্ছাকৃত ভুল ও বোকামি হিসেবে মনে করছেন সচেতন মহল। যাতে চরম লজ্জিত হয়েছেন অভিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওয়ালিদ মোরশেদ জানান, ঘটনার দিন আমি আমার পরিবার অর্থাৎ স্ত্রী, ছেলে (নবম শ্রেণি), মেয়ে (চতুর্থ শ্রেণি) বাসে উঠি। হঠাৎ একজন ছাত্র বলল, ‘স্যার পিছনে গ্যাঞ্জাম হচ্ছে’ তাড়াতাড়ি আসেন। আমি পিছনে গিয়ে দেখলাম কিছু শিক্ষার্থী আনন্দ উল্লাস করছে।

আমি বললাম হাতে কী? তখন ছাত্ররা বলল স্যার বোতলের ভেতরে মদ না, খেজুরের রস। আমরা টিকটক করার জন্য মজা করছি। তখন নোমান স্যার হাতে নিয়ে এটা আমার নিকট দেন। আমি পরীক্ষা করে দেখলাম সত্যিই মদ না খেজুরের রস। আমি ওদের হাতে দিয়ে বললাম তাড়াতাড়ি বোতলটা ফেলে দাও।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শিউলী আক্তার বলেন, এই ঘটনাটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। কোন একটি দল ইচ্ছাকৃতভাবে বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ঘটনাটি ঘটিয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন শিকদার জানান, চারজন শিক্ষার্থী মদের খালি বোতলে খেজুরের রস ভরে টিকটক করেছে, এটি দুঃখজনক। গণমাধ্যমসহ একটি মহল ফায়দা লুটার জন্য ও বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার জন্য মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে।

প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান জানান, এমন ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি তারা দেখতে চান না। তবে বিদ্যালয়ের এ বিষয়টি নিছকই টিকটকে ভাইরাল করতে করা হয়েছে।

এ ঘটনায় তিনটি তদন্ত কমিটি করা হয়। যেখানে প্রতিটি তদন্ত কমিটিতেই নির্দোষ প্রমাণিত হয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তবে সামাজিক অবক্ষয় রোধে এমন অভিনয় না করার পরামর্শ সচেতন মহলের।

শিবচর উপজেলার শিক্ষা অফিসার ও তদন্ত কমিটির প্রধান খন্দকার মো. মাকসুদুর রহমান জানান, আমরা তদন্ত করেছি, এখানে মদ ছিল না। খেজুরের রস ছিল, তবে টিকটকের জন্য মদের বোতলে করে এভাবে আনন্দ করাটা ঠিক হয়নি।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

ঢাকাঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেছেন, ‘প্রক্টরের কাছে অবন্তিকার দেওয়া অভিযোগটি কে কে অবহেলা করেছেন সেটার তদন্ত হবে। আশা করি, তদন্ত কমিটি এটা বের করে আনবে। কেন অবন্তির ওই চিঠি অবহেলা করা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে আগের প্রক্টর টিমকেও আনা হবে। বস্তুনিষ্ঠ কাজ করতে হবে তদন্ত কমিটিকে। তবে অবন্তিকার এ বিষয়ে কাউকে রাজনৈতিক খেলা খেলতে দেওয়া হবে না।’

মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের আয়োজনে ফাইরুজ অবন্তিকার স্মরণে শোকসভা শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন উপাচার্য। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি তাদের রিপোর্ট সাত কার্যদিবসের মধ্যে দেওয়ার চেষ্টা করবে। তবে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যাতে সুষ্ঠু হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।

সাংবাদিকদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ‘আমি অনুরোধ করবো অবন্তিকে কোনোভাবে যাতে মেন্টাল ডিসঅর্ডার দিয়ে বিবেচনা করা না হয়। দেশে নারীরা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় শুধু সমাজের জন্য। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে আমিও তো বুলিংয়ের শিকার হয়েছি। তবে আমি বুলিং নিতে পারি, কারণ ৩০ বছর ধরে সহ্য করে আসছি।’

সাদেকা হালিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রকল্যাণ প্রতিনিধির সংখ্যা বাড়াবো। শুধু একজন পুরুষ পরিচালক থাকবে না, একজন নারীও থাকবে।

দ্রুত প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে উপাচার্য বলেন, সাময়িক বহিষ্কার না করলে এত দ্রুত বিচার করা যায় না। আমাদের যে তদন্ত কমিটি তা বিশ্ববিদ্যালয় আইন দ্বারা পরিচালিত হবে। একটি তদন্ত দ্রুত করা যায় না। আইন বিভাগের অনেক শিক্ষার্থীকেই তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যৌন নিপীড়ন বক্সের বিষয়ে তিনি বলেন, ক্যাম্পাসের যৌন নিপীড়ন বক্সগুলো পরিষ্কার করে নতুন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বক্সগুলোর তালার চাবি আমার কাছে থাকবে। আমি নিজে বক্সগুলো খুলে চেক করবো প্রতিনিয়ত। আমি সবসময় মেয়েদের জন্য দাঁড়াবো।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিযুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে ডেপুটেশনে কর্মরত বিশ্ববিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ এর ১২(২) ধারা অনুযায়ী এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাময়িক সময়ের জন্য ড. মো. আবু তাহেরকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছে। যোগদানের তারিখ থেকে তার এ নিয়োগ কার্যকর হবে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ নভেম্বর নিয়োগের চার বছর মেয়াদ পূর্ণ করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার। নানা অনিয়ম ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ ছিল তার প্রতি। তার পদে এবার নিয়োগ পেলেন ড. মো. আবু তাহের।

২০২০ সালের ০৩ সেপ্টেম্বর ইউজিসিতে ডেপুটেশনে যোগদানের পূর্বে অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের চেয়ারম্যান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি লিয়েনে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য এবং বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে ট্রেজারার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি জীবন বীমা কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালনসহ পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

১৯৬২ সালে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার বাবুনগর গ্রামে জন্মগ্রহণকারী অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের পড়ালেখার হাতেখড়ি বাবুনগর প্রাইমারি স্কুলে। অত:পর তিনি কাঞ্চনা হাইস্কুল, চট্টগ্রাম কলেজ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইনহা বিশ্ববিদ্যালয় (দক্ষিণ কোরিয়া) ও টেক্সাস এঅ্যান্ডএম বিশ্ববিদ্যালয়ে (যুক্তরাষ্ট্র) পড়াশোনা করেছেন। তিনি অনার্স (১৯৮২) ও মাস্টার্স (১৯৮৩) উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান অধিকার করে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন।

কর্মজীবনের শুরুতে প্রফেসর আবু তাহের ১৯৮৫ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন। পরে চাকরিতে ইস্তফা দিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবস্থাপনা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি ২০০৪ সালে উক্ত বিভাগে অধ্যাপক পদে উন্নীত হন।

দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি সফলতার সাথে অধ্যাপনাসহ গবেষণায় সুখ্যাতি অর্জন করেন। তাঁর রচিত ব্যবসায় প্রশাসন বিষয়ক ১৭টি বই অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে পাঠ্য হিসেবে বিবেচিত। দেশে বিদেশে তাঁর প্রকাশিত প্রবন্ধের সংখ্যা ১০৭ এর অধিক। এমফিল/পিএইচডি গবেষণা সম্পন্নকারী ২৫ জন গবেষকের গবেষণা তত্ত্বাবধায়ক/কনভেনর/থিসিস এক্সামিনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন যা আজও অব্যাহত আছে। বর্তমানে প্রফেসর তাহের এর সাইটেশনের সংখ্যা ৩০০’র অধিক।

“মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা” ও “শিল্প সম্পর্ক” বিষয়ক শিক্ষক হিসেবে বাংলাদেশে তাঁর খ্যাতি আছে। ভিজিটিং প্রফেসর/ অ্যাডজাঙ্কট/ফ্যাকাল্টি/রিসার্চ ফেলো/অতিথি বক্তা হিসেবে দেশে বিদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে কাজ করেছেন।

অধ্যাপনা ছাড়াও তিনি বিশ্বব্যাংক, আইএলও, ব্রিটিশ কাউন্সিল, কমনওয়েলথ অব লার্নিং, ইউজিসি, ইউএনডিপি, এটুআই, পরিকল্পনা কমিশন, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক, এসএসআরসি সংস্থায় কনসালটেন্ট/প্রকল্প পরিচালক/ সাব-প্রজেক্ট ম্যানেজার/ ট্রেইনি ভেরিফায়ার/ গবেষণা ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি বর্ণনা করে তারা উল্লেখ করেন, শিক্ষকদের এমন দায়িত্বহীন অন্যায় আচরণে আমরা যারপরনাই ক্ষুব্ধ ও লজ্জিত। রাষ্ট্রীয় ও সরকারি ক্ষমতাকাঠামোর প্রশ্রয়ে এমন অশিক্ষকসুলভ আচরণ অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক চর্চায় পরিণত হয়েছে। শুধু সরকারি দলীয় পরিচয় আর ব্যক্তিগত আনুগত্যের কারণে পদপ্রাপ্ত বা নিয়োগপ্রাপ্ত এসব শিক্ষক ও প্রশাসকদের দাসত্বমূলক আচরণের কারণে সরকার-সমর্থিত ছাত্র সংগঠন ও শিক্ষক সংগঠনগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমনভাবে জিম্মি করে ফেলেছে, ফলে তারা কোনো প্রকার গণতান্ত্রিক আচরণেরই পরোয়া করে না।

তারা উল্লেখ করেন, অবন্তিকার 'হত্যাকাণ্ড' প্রমাণ করে দিল দলীয়করণের পাটাতন ব্যবহার করে পেশী শক্তিধারী ও অযোগ্যদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে পুরস্কৃত করলে তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে লাগাতার এমন নিপীড়নের উর্বরক্ষেত্রেই পরিণত করতে থাকবে।

তারা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুগত দলদাস শিক্ষক নিয়োগের চলমান প্রক্রিয়াকে তলিয়ে দেখা, বিশ্ববিদ্যালয়ে দলীয় মাস্তানি চালানো ও সরকারের ছত্রছায়ায় এসব অপেশাদার ভূমিকার লাগাতার প্রশ্রয় কেন দেওয়া হচ্ছে প্রভৃতি প্রশ্নের উত্তরের মধ্যেই অবন্তিকার 'কাঠামোগত হত্যাকাণ্ডে'র প্রকৃত সারসত্য লুকিয়ে আছে।

তারা দাবি জানান, বিচারবিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পূর্বের অভিযোগ দ্রুত তদন্ত ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা; যৌন হয়রানি, যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টার মত ফৌজদারি অপরাধের বিচারের দায়িত্ব বিচারালয়ের সে বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরিতে যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলকে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ক্যাম্পাসগুলোতে যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলগুলোকে সক্রিয় করতে হবে।

এতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে রয়েছেন, অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান, অধ্যাপক মারুফুল ইসলাম, অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন, অধ্যাপক আ আল মামুন, সামিনা লুৎফা, মানস চৌধুরী, আর রাজী, রুশাদ ফরিদী প্রমুখ।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

নিউজ ডেস্ক।।

দেশে ৩৪ লাখ শিশু রাস্তায় জীবনযাপন করছে। চরম দারিদ্র্য, পারিবারিক অস্থিরতা ও শারীরিক বা মানসিক নির্যাতনের কারণে অনেক শিশু পরিবার থেকে আলাদা হয়ে পথে বসবাস করে। বেঁচে থাকার তাগিদে তারা যুক্ত হয় ঝুঁকিপূর্ণ কাজে।

চাইল্ড সেনসিটিভ সোশ্যাল প্রটেকশন ইন বাংলাদেশ (সিএসপিবি) ফেজ-২ প্রকল্পের অধীনে পথশিশুদের পরিস্থিতি বিষয়ক একটি গবেষণাপত্রে এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল সোমবার রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা গ্যালারিতে এক অনুষ্ঠানে গবেষণাপত্রের তথ্য তুলে ধরা হয়।

গবেষণাপত্রে বিভিন্ন সুপারিশ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, পারিবারিক ভাঙনের মূল কারণগুলোর প্রতি লক্ষ্য রেখে সামাজিক কল্যাণমূলক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা। পথশিশুদের শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করা। তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা। সরকার থেকে তহবিল বৃদ্ধি করা। পথশিশুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে সরকার, উন্নয়ন সংস্থা, সুশীল সমাজ, বিত্তশালীদের সম্মিলিতভাবে কাজ করা। একই সঙ্গে শিশু আইনের কয়েকটি ধারার সংশোধন এবং শক্তিশালী করা প্রয়োজন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, পথশিশুরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। রাতে তারা নানা ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়। যেসব শিশু দিনে পথে কাজ করে রাতে পরিবারের কাছে ফিরে যায়, তারাও নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়। মৌলিক অধিকার থেকে তারা বঞ্চিত হবে– এটা কাম্য নয়।

মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমি বলেন, পথশিশুদের জীবনমান উন্নয়নে আমাদের কাজ করতে হবে। সরকারের নানা কর্মসূচির পাশাপাশি বিত্তশালীরা এগিয়ে এলে পথশিশুর সংখ্যা অনেক কমে আসবে।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ্ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব খায়রুল আলম শেখ, ইউনিসেফ বাংলাদেশের চাইল্ড প্রটেকশন শাখার প্রধান নাটালি ম্যাক্কলি, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি এনরিকো লরেঞ্জোনসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

শিবা /জামান

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram