বৃহস্পতিবার, ২৮শে মার্চ ২০২৪

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর আশুলিয়াস্থ স্থায়ী ক্যাম্পাসের সেমিনার কক্ষে ২৭ মার্চ বুধবার এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এইউবি রেজিস্ট্রার একেএম এনামুল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এইউবি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ইমেরিটাস প্রফেসর ড. শাহজাহান খান। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের প্রভাষক মো: রাশেদুল আলম।

এইউবি প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক বলেন, যাকাতের উদ্দেশ্য হলো সমাজ থেকে দারিদ্র্যতা নির্মূল করা। তাই সমৃদ্ধ অর্থনীতিতে যাকাতের ভূমিকা অপরিসীম। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু আদায় ও বণ্টনের মাধ্যমে সরকারি যাকাত ফান্ড আরো শক্তিশালী হলে দারিদ্র বিমোচন করা সম্ভব হবে।

এইউবি উপাচার্য ইমেরিটাস প্রফেসর ড. শাহজাহান খান বলেন, একটি সুখী সুন্দর ও উন্নত সামাজিক পরিবেশ গঠনে ধনাঢ্য মুসলমানদের অবশ্যই তাদের নিসাব পরিমাণ সম্পদের একটি নির্ধারিত অংশ দরিদ্র ও অভাবগ্রস্ত ব্যক্তিদের দুর্দশা মোচনের জন্য ব্যয় করতে হবে। ফলে অসহায় ও দুস্থ মানবতার কল্যাণই হবে না বরং সমাজে আয়বণ্টনের ক্ষেত্রেও বৈষম্য হ্রাস পাবে।

সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক—শিক্ষিকা, কর্মকর্তা কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন ইসলামের ইতিহাস ও সভ্যতা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো: ওসমান গনী।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী প্রতীক রসুল। তিনি এর আগে প্রকাশিত তিন প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় হয়েছেন দ্বিতীয়।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর সাড়ে ৩টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতীক রসুলের প্রাপ্ত নম্বর ১১১.২৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ১১০০৭৩৭।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে পাসের হার ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ। এতে পাস করেছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন। বিজ্ঞান ইউনিটে পাসের হার ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন।

ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে পাসের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এতে পাস করেছেন ৪ হাজার ৫৮২ জন। চারুকলা ইউনিটে পাসের হার ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এতে পাস করেছেন ৫৩০ জন।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে অংশ নেওয়া ১ লাখ ২ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন। এই ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তী মন্ডল।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এ ফলাফল প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, প্রিয়ন্তী মন্ডল খুলনার সরকারি মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন। পরীক্ষায় মোট ১২০ নম্বরের মধ্যে তিনি ১০৫ দশমিক ২৫ নম্বর পেয়েছেন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এই ইউনিটে মোট আসন দুই হাজার ৯৩৪টি।

একই সময় বিজ্ঞান ইউনিট, ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট ও চারুকলা ইউনিটের ফলও প্রকাশ করা হয়।

ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৪ হাজার ৩৬৭ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪ হাজার ৫৮২ জন। এ ইউনিটে পাসের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বিজ্ঞান ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ১ লাখ ৯ হাজার ৩৬৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন। এ ইউনিটে পাসের হার ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

চারুকলা ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪ হাজার ৫১০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৫৩০ জন উত্তীর্ণ হয়েছেন। এ ইউনিটে পাসের হার ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

যেভাবে ফল জানা যাবে:

admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইটে পরীক্ষার বিস্তারিত ফলাফল জানা যাবে। সেই সঙ্গে টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের জন্য DU ALS টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফলাফল জানা যাবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

মানিকগঞ্জঃ বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত, অনিয়ম-বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও অসৌজন্যমূলক আচারনের দায়ে শিবালয় উপজেলার উথলী আব্দুল গণি সরকার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইউছুফ আলীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তাকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।

জানা গেছে, ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে দেড় হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিক্ষার মান নির্নয়ে এ বিদ্যালয় অন্যতম বিদ্যাপীঠ হিসেবে পরিচিত। প্রায় ১০ বছর আগে এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে উক্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন তহবিলের অর্থ আত্মসাত, অনিয়ম-দুর্নীতি করায় বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি তাকে সতর্ক করে। কিন্তু তিনি নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে নানা বিশৃঙ্খলা ও অসৌজন্যমূলক আচরন করে আসছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থী-অভিভাবক, শিক্ষক ও বিদ্যালয় হিতৈষীদের মাঝে দারুন ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি উক্ত অনিয়মের বিষয়ে অনুসন্ধান ও অডিট চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। দীর্ঘ তদন্দ শেষে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির চাঞ্চল্যকর তথ্য বেড়িয়ে আসে।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো: সালাউদ্দিন সরকার  জানান, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ যাচাই-বাছাই, তদন্ত ও অডিট শেষে প্রায় ৫৬ লক্ষ টাকা আত্মসাতসহ নানা দুর্নীতির বিষয় প্রমানিত হয়। এসএমসির বিশেয় সভায় উক্ত প্রধান শিক্ষকের উপস্থিতিতে তাকে সাময়িক বহিস্কারের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বৃহস্পতিবার তাকে সিদ্ধান্তের চিঠি প্রদান ও সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরে কাগজ-পত্র প্রেরন করা হয়েছে।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার চারুকলা ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন রবীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজের শিক্ষার্থী মো. বাঁধন তালুকদার।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর সাড়ে ৩টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, ব্যবসায় ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বাঁধন তালুকদারের প্রাপ্ত নম্বর ৭৯। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ৫১০৬৩৮১।

প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে, কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে পাসের হার ১০ দশমিক ০৭ শতাংশ। এতে পাস করেছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন। বিজ্ঞান ইউনিটে পাসের হার ৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ। ভর্তি পরীক্ষায় পাস করেছেন ৯ হাজার ৭২৩ জন।

ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে পাসের হার ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ। এতে পাস করেছেন ৪ হাজার ৫৮২ জন। চারুকলা ইউনিটে পাসের হার ১১ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এতে পাস করেছেন ৫৩০ জন।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী ১ জুলাই থেকে শুরু হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ ২০২৩-২৩ শিক্ষাবর্ষের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১০ হাজার ২৭৫ জন। পাসের হার ১০.০৭ শতাংশ। বাকি ৮৯.৯৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হয়েছেন।

প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, এ বছর বিজ্ঞান ইউনিটে প্রথম হয়েছেন প্রিয়ন্তি মন্ডল। তার সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর ১০৫.২৫। ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ২৬০৪৩০৯। তিনি খুলনার গভ এম এম সিটি কলেজের শিক্ষার্থী। তার পরীক্ষার কেন্দ্র ছিল খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।

গত ২৩ ফেব্রুয়ারি কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের পরীক্ষা ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরের প্রায় ৮০টি কেন্দ্রে একযোগে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ ইউনিটে ২ হাজার ৯৩৪টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ২২৫টি। পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১ লাখ ২ হাজার অংশগ্রহণ করেছেন।

২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪টি ইউনিটের ৫ হাজার ৯৬৫ আসনের জন্য মোট আবেদন জমা পড়েছে ২ লাখ ৭৯ হাজার ২টি। সে অনুযায়ী, আসন প্রতি পরীক্ষা দিয়েছেন প্রায় ৪৭ জন শিক্ষার্থী।

ফলাফল যেভাবে দেখা যাবে

কলা আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী তার উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বর, বোর্ডের নাম, পাসের সন এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার রোল নম্বরের মাধ্যমে https://admission.eis.du.ac.bd ওয়েবসাইট থেকে পরীক্ষার ফল জানতে পারবেন।

এছাড়া, টেলিটক, রবি, এয়ারটেল ও বাংলালিংক মোবাইল নম্বর থেকে 'কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিট'-এর জন্য DU ALS <roll no>, 'বিজ্ঞান ইউনিট'-এর জন্য DU SCI <roll no>, 'ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট'-এর জন্য DU BUS <roll no> এবং 'চারুকলা ইউনিট'-এর জন্য DU FRT <roll no> টাইপ করে ১৬৩২১ নম্বরে send করে ফিরতি SMS-এ ফল জানা যাবে।

উল্লেখ্য, গত ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে এই ইউনিটে মাত্র ১১ হাজার ১৬৯ জন শিক্ষার্থী পাস করেন। পাসের হার ছিলো মাত্র ৯.৬৯ শতাংশ।

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে গণস্বাক্ষরতা অভিযান বলছে, নতুন প্রণীত কারিকুলামে মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে জনবান্ধব করতে হবে। এলক্ষ্যে নতুন কারিকুলামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিক্ষানীতিকে যুগপোযোগী করা এবং কারিকুলাম বাস্তবায়নে জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, তার জন্য বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে। বিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠদান পদ্ধতিতে যে বৈষম্য রয়েছে, তা নিরসন করা এবং পাঠ্যবইয়ের মান উন্নয়ন করার জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন। দুর্যোগকালে যাতে শিক্ষা চলমান থাকে সেজন্য পূর্বপরিকল্পনা করা এবং বাজেটে বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।

দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। পাইলটিং শেষে প্রকল্পটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। খুব শিগগির সারাদেশে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (হাইস্কুল) ও মাদসাগুলোতেও মিড-ডে মিল ব্যবস্থা চালু করা জরুরি বলে মনে করে গণস্বাক্ষরতা অভিযান। বিষয়টি বিবেচনায় সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।

গণস্বাক্ষরতা অভিযান বলছে, একসময় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের ফলিক এসিড দেওয়া হতো, এখন তা দেওয়া হয় না। এব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে হবে। একইসঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় মিড-ডে মিল চালু করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা এ দাবি জানিয়েছেন। মাধ্যমিক ও মাদরাসার মতো বিস্তর পরিসরে মিড-ডে মিল বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে ‘শিক্ষার ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট: আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ সুপারিশ করা হয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ ও এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচলনা করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।

সভায় জানানো হয়, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের পক্ষ থেকে তৃণমূলের চাহিদা ও ভাবনা জানতে জেলা পর্যায়ে চারটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ছয়টি মতবিনিময় সভা করা হয়। সেখান থেকে যেসব চাহিদা ও প্রত্যাশা উঠে এসেছে এবং এ সংক্রান্ত গবেষণার ফল ও বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে এ সুপারিশ করেছের তারা।

সুপারিশমালায় বলা হয়, মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সবার লেখাপড়া অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করতে হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের খাতা, কলম, টিফিন বক্স, ব্যাগ, ছাতাসহ বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ দেওয়া প্রয়োজন। এজন্য বাজেটে বরাদ্দ থাকতে হবে। অনেক স্কুলে কম্পিউটারগুলো ব্যবহার করা হয় না বলে একসময় অকেজো হয়ে যায়। এগুলো চালু রাখা ও কম্পিউটার মেরামতের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। স্মার্ট নাগরিক গড়তে হলে স্মার্ট পরিকল্পনা নিতে হবে, স্মার্ট বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। সব বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব, সায়েন্স ল্যাব স্থাপন ও ব্যবহারের জন্য বাজেট রাখতে হবে।

এছাড়া স্কুল লাইব্রেরিতে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে উদ্দীপনামূলক বা কাউন্সেলিং বিষয়ক বই সরবরাহ করা এবং সব স্কুলে মিউজিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য বাজেট প্রয়োজন। পাশাপাশি নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ বিষয়ে কারিকুলামে আরও বেশি জোর দেওয়া এবং ইভটিজিং ও স্কুল বেইজড ভায়োলেন্স বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।

প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি করে ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা করা এবং বিদ্যালয় পর্যায়ে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার তৈরি করার জন্য বাজেট রাখা দরকার। আন্তঃবিদ্যালয় পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যবস্থা করার জন্য বাজেট রাখতে হবে। মাধ্যমিক স্কুলে বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত, দারিদ্রপীড়িত, প্রত্যন্ত এলাকার মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে ভালো টয়লেট, স্যানিটারি প্যাড, সাবান, টিস্যু ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ সংক্রান্ত স্কুলভিত্তিক বাজেট রাখার জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। সব স্কুলে ওয়াশব্লক স্থাপন করা, ওয়াশব্লকের সংখ্যা বাড়ানো এবং জরাজীর্ণ ওয়াশব্লক মেরামত করা দরকার। এজন্য বাজেটে যথাযথ অর্থসংস্থান প্রয়োজন। জেন্ডার সমতা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি স্কুলে একজন নারী শিক্ষককে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া দরকার। বাল্যবিবাহের নেতিবাচক দিক নিয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষার ব্যবসায় ইউনিটে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সরকারি কমার্স কলেজের (চট্টগ্রাম) শিক্ষার্থী অথৈ ধর।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর সাড়ে ৩টার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনস্থ অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফল প্রকাশ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল।

প্রকাশিত ফলে দেখা গেছে, ব্যবসায় ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অথৈ ধরের প্রাপ্ত নম্বর ৮৫.৫০। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ৩২০৩৪৫১।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দেশের সরকারি-বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (হাইস্কুল) শিক্ষার্থীর সংখ্যা কমছে। চার বছরের ব্যবধানে মাধ্যমিক পর্যায়ে ১০ লাখের বেশি শিক্ষার্থী কমেছে। একই সময়ে মাদরাসায় আড়াই লাখ শিক্ষার্থী বেড়েছে। শিক্ষার্থী বেড়েছে কারিগরি ও ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলোতেও।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এমন তথ্য। ‘বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩’-এর খসড়া প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ব্যানবেইসে আয়োজিত কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এরপর এটি চূড়ান্ত আকারে প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি। কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরেন ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলমগীর।

খসড়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী—২০১৯ সালে সারাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ছিল ৯২ লাখের বেশি, যা ২০২৩ সালে এসে কমে দাঁড়িয়েছে ৮১ লাখ ৬৬ হাজারে। দেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৮ হাজার ৯৬৮টি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশি ছাত্রী। মোট শিক্ষার্থীর ৪৫ শতাংশ ছাত্র এবং ৫৫ শতাংশ ছাত্রী।

তথ্য বলছে, একই সময়ে (২০১৯-২০২৩) মাদরাসাগুলোতে (দাখিল ও আলিম) আড়াই লাখের বেশি শিক্ষার্থী বেড়েছে। ২০২৩ সালের তথ্যানুযায়ী—মাদরাসায় অধ্যয়ন করছেন শিক্ষার্থী ২৭ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি। এরমধ্যে ছাত্রী প্রায় ৫৪ শতাংশ।

এদিকে, কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বাড়ছে। বর্তমানে ৫ হাজার ৩৯৫টি কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মোট শিক্ষার্থী প্রায় সাড়ে ৭ লাখ। চার বছর আগে যা ছিল ৭ লাখের মতো। ওই সময় কারিগরি প্রতিষ্ঠান ছিল ২ হাজার ৩০৯টি। তবে কারিগরিতে ছাত্রীদের হার এখনো অনেক কম। মোট শিক্ষার্থীর ৭১ শতাংশই ছাত্র। বাকি ২৯ শতাংশের মতো ছাত্রী।

ব্যানবেইসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে ১২৩টি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রয়েছে। এতে পড়াশোনা করছে ২৮ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী। চার বছর আগে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ুয়ার সংখ্যা ছিল ২৬ হাজারের বেশি।

কর্মশালায় ব্যানবেইস কর্মকর্তারা বলেন, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যেসব তথ্য তারা পেয়েছেন, সেগুলোর প্রতিবেদনে তুলে ধরেছেন। তবে ঠিক কী কারণে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী কমেছে, তা বিশ্লেষণ করেনি ব্যানবেইস।

কর্মকর্তাদের ধারণা, করোনা পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থী সাধারণ ধারার পড়াশোনা ছেড়ে ভিন্ন ধারায় চলে গেছে। অনেকে রুটি-রুজির তাগিদে অল্প বয়সে বিদেশেও পাড়ি জমিয়েছে। এতে মাধ্যমিক স্কুলে শিক্ষার্থী কমেছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিড-ডে মিল বাস্তবায়নে কাজ করছে সরকার। পাইলটিং শেষে প্রকল্পটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। খুব শিগগির সারাদেশে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। এর পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (হাইস্কুল) ও মাদসাগুলোতেও মিড-ডে মিল ব্যবস্থা চালু করা জরুরি বলে মনে করে গণস্বাক্ষরতা অভিযান। বিষয়টি বিবেচনায় সরকারের কাছে সুপারিশ করেছে সংস্থাটি।

গণস্বাক্ষরতা অভিযান বলছে, একসময় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের ফলিক এসিড দেওয়া হতো, এখন তা দেওয়া হয় না। এব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে হবে। একইসঙ্গে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসায় মিড-ডে মিল চালু করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা এ দাবি জানিয়েছেন। মাধ্যমিক ও মাদরাসার মতো বিস্তর পরিসরে মিড-ডে মিল বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) সকালে ‘শিক্ষার ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট: আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ সুপারিশ করা হয়। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ সভার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অর্থনীতিবিদ ও এডুকেশন ওয়াচের চেয়ারপারসন ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ। প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। অনুষ্ঠান পরিচলনা করেন গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে চৌধুরী।

সভায় জানানো হয়, গণস্বাক্ষরতা অভিযানের পক্ষ থেকে তৃণমূলের চাহিদা ও ভাবনা জানতে জেলা পর্যায়ে চারটি এবং উপজেলা পর্যায়ে ছয়টি মতবিনিময় সভা করা হয়। সেখান থেকে যেসব চাহিদা ও প্রত্যাশা উঠে এসেছে এবং এ সংক্রান্ত গবেষণার ফল ও বিশেষজ্ঞ মতামতের ভিত্তিতে এ সুপারিশ করেছের তারা।

সুপারিশমালায় বলা হয়, মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সবার লেখাপড়া অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করতে হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের খাতা, কলম, টিফিন বক্স, ব্যাগ, ছাতাসহ বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ দেওয়া প্রয়োজন। এজন্য বাজেটে বরাদ্দ থাকতে হবে। অনেক স্কুলে কম্পিউটারগুলো ব্যবহার করা হয় না বলে একসময় অকেজো হয়ে যায়। এগুলো চালু রাখা ও কম্পিউটার মেরামতের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। স্মার্ট নাগরিক গড়তে হলে স্মার্ট পরিকল্পনা নিতে হবে, স্মার্ট বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। সব বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব, সায়েন্স ল্যাব স্থাপন ও ব্যবহারের জন্য বাজেট রাখতে হবে।

এছাড়া স্কুল লাইব্রেরিতে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে উদ্দীপনামূলক বা কাউন্সেলিং বিষয়ক বই সরবরাহ করা এবং সব স্কুলে মিউজিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য বাজেট প্রয়োজন। পাশাপাশি নৈতিকতা এবং মূল্যবোধ বিষয়ে কারিকুলামে আরও বেশি জোর দেওয়া এবং ইভটিজিং ও স্কুল বেইজড ভায়োলেন্স বন্ধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।

নতুন কারিকুলামের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়েও সুপারিশ করেছে সংস্থাটি। এক্ষেত্রে গণস্বাক্ষরতা অভিযান বলছে, নতুন প্রণীত কারিকুলামে মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে জনবান্ধব করতে হবে। এলক্ষ্যে নতুন কারিকুলামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিক্ষানীতিকে যুগপোযোগী করা এবং কারিকুলাম বাস্তবায়নে জন্য যে অর্থ প্রয়োজন, তার জন্য বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে। বিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠদান পদ্ধতিতে যে বৈষম্য রয়েছে, তা নিরসন করা এবং পাঠ্যবইয়ের মান উন্নয়ন করার জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন। দুর্যোগকালে যাতে শিক্ষা চলমান থাকে সেজন্য পূর্বপরিকল্পনা করা এবং বাজেটে বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।

প্রতিটি ক্লাস্টারে একটি করে ডে-কেয়ার সেন্টারের ব্যবস্থা করা এবং বিদ্যালয় পর্যায়ে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার তৈরি করার জন্য বাজেট রাখা দরকার। আন্তঃবিদ্যালয় পর্যায়ে বিভিন্ন ধরনের টুর্নামেন্ট আয়োজনের ব্যবস্থা করার জন্য বাজেট রাখতে হবে। মাধ্যমিক স্কুলে বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত, দারিদ্রপীড়িত, প্রত্যন্ত এলাকার মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে ভালো টয়লেট, স্যানিটারি প্যাড, সাবান, টিস্যু ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ সংক্রান্ত স্কুলভিত্তিক বাজেট রাখার জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখতে হবে। সব স্কুলে ওয়াশব্লক স্থাপন করা, ওয়াশব্লকের সংখ্যা বাড়ানো এবং জরাজীর্ণ ওয়াশব্লক মেরামত করা দরকার। এজন্য বাজেটে যথাযথ অর্থসংস্থান প্রয়োজন। জেন্ডার সমতা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি স্কুলে একজন নারী শিক্ষককে বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া দরকার। বাল্যবিবাহের নেতিবাচক দিক নিয়ে সচেতন করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন।

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ভাতা বৃদ্ধিসহ ৪ দফা দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছেন পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন তারা। তবে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর তারা আন্দোলন এক মাসের জন্য স্থগিত করেছেন।

আন্দোলনকারীরা বলেন, ঈদের পর বিষয়গুলো সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তার আশ্বাসে আমরা একমাস আন্দোলন বন্ধ রাখবো।

এর আগে দুপুর আড়াইটায় ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বৈঠক করেন। বৈঠকে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে মোট ২০ জন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই এই চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার মতো তাদের হাতে লোক রয়েছে বলে আশ্বস্ত করতো। চাকরিপ্রার্থীরা তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে ব্লু ব্যাংক চেক, ব্ল্যাংক স্ট্যাম্প ও সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছ থেকে অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা নিতো।

ডিবিপ্রধান বলেন, মাঠকর্মী তার কমিশনের নির্দিষ্ট টাকা রেখে বাকি টাকা ও সিভি ফিল্ড পর্যায়ের সাব-এজেন্টের কাছে পাঠাতো। এরপর সাব-এজেন্ট সেই টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সব চাকরিপ্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে ভাইভার কথা বলে ঢাকাস্থ এজেন্টের কাছে পাঠাতো।

পরে ঢাকাস্থ এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আশপাশের কোনো একটি চায়ের দোকানে চাকরিপ্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নিতো। ভাইভাতে উত্তীর্ণ হয়েছে বলে প্রার্থীর কাছ থেকে ওইদিন চুক্তির ৫০ শতাংশ টাকা নিয়ে নিতো।

এরপর চক্রের আরেক সদস্য চুক্তির বাকি টাকা গ্রহণ করে প্রার্থীকে নির্দিষ্ট চাকরিতে দিনে যোগদানের কথা উল্লেখ করে একটি ভুয়া নিয়োগপত্র এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একটি ভুয়া আইডি কার্ড দিয়ে পুরো টাকা আত্মসাৎ করে লাপাত্তা হয়ে যেতো

সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে চাকরির বিজ্ঞাপন প্রকাশের পর সক্রিয় হয়ে উঠতো একটি প্রতারক চক্র। চক্রের সদস্যরা মাঠকর্মী সেজে চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে বিভিন্ন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে যে কোনো চাকরি পাইয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতো। এভাবে প্রার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়ার মাধ্যমে গত কয়েক বছরে চক্রটি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ এই প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

ডিবি জানিয়েছে, রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, কারা অধিদপ্তর, পররাষ্ট্র অধিদপ্তর, বিআরটিসি, বিএডিসি, সচিবালয়, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং বিশেষ বাহিনীর সিভিল পদে চাকরির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসার পর একটি প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠে।

সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করত একটি চক্র। চক্রটি প্রত্যেক চাকরিপ্রত্যাশীর কাছ থেকে ১০ থেকে ২০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত কাউকে চাকরি দিতে পারেনি। এভাবে গত কয়েক বছরে তারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৮.০৩.২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram