শুক্রবার, ২৯শে মার্চ ২০২৪

ঢাকাঃ সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বেশ কয়েক বছর ধরেই ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীর হার বেশি। বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) সর্বশেষ প্রতিবেদনেও একই চিত্র উঠে এসেছে। ২০২৩ সালের তথ্যের ওপর ভিত্তি করে করা প্রতিবেদনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রদের চেয়ে এক লাখ ৭ হাজার বেশি ছাত্রী।

শিক্ষার্থী পর্যায়ে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে গেলেও এখনো শিক্ষকতায় নারী কম। শিক্ষকদের সিংহভাগই পুরুষ। মোট শিক্ষকের মধ্যে মাত্র ২৮ শতাংশ নারী। বাকি প্রায় ৭২ শতাংশ পুরুষ।

বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরোর (ব্যানবেইস) করা ‘বাংলাদেশ শিক্ষা পরিসংখ্যান-২০২৩’-এর খসড়া প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে ব্যানবেইসে অডিটরিয়ামে আয়োজিত কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরা হয়। এরপর এটি চূড়ান্ত আকারে প্রকাশ করবে প্রতিষ্ঠানটি। কর্মশালায় এ তথ্য তুলে ধরেন ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলমগীর। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী—দেশে বর্তমানে মাধ্যমিক পর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ কোটি ২ লাখ ৯৬ হাজার ৬৯৫ জন। এরমধ্যে ছাত্রী ৫২ লাখ ১ হাজার ৮৯০ এবং ছাত্র ৫০ লাখ ৯৪ হাজার ৮০৫ জন।

অর্থাৎ, ছেলেদের চেয়ে ১ লাখ ৭ হাজার ৮৫ জন বেশি মেয়ে শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। আর শতাংশের হিসাবে ছাত্রীর হার ৫০ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং ছাত্র ৪৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

এদিকে, সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী পর্যায়ে গত কয়েক বছর ধরে ছাত্রীদের আধিপত্য দেখা গেলেও শিক্ষকতায় নারীরা এখনো বেশ পিছিয়ে। ব্যানবেইসের তথ্যানুযায়ী—২০২৩ সাল পর্যন্ত দেশে মোট শিক্ষক সংখ্যা ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৩৯ জন।

যার মধ্যে নারী শিক্ষক মাত্র ১ লাখ ৮২ হাজার ২৮৮ জন। বাকি ৪ লাখ ৬৩ হাজার ৭৫১ জনই পুরুষ। মোট শিক্ষকের মধ্যে ৭১ দশমিক ৭৮ শতাংশ পুরুষ এবং ২৮ দশমিক ২২ শতাংশ নারী।

প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী—দেশে বর্তমানে মাধ্যমিক থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত মোট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৬২৬টি। এরমধ্যে ২ হাজার ৬৩৮টি প্রতিষ্ঠান সরকারি এবং বেসরকারি ৪২ হাজার ৯৮৮টি। অর্থাৎ, দেশে সরকারির চেয়েও ১৬ গুণ বেশি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

ব্যানবেইসের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রধান শেখ মো. আলমগীর বলেন, ‘আমরা তথ্য সংগ্রহ করেছি এবং তা দিয়ে প্রতিবেদন করেছি। শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার কারণ, ছাত্রদের পিছিয়ে পড়া কিংবা নারীদের শিক্ষকতায় এখনো সেভাবে সরব উপস্থিতি না থাকার বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্টরা এবং শিক্ষাবিদরা তুলে আনবেন।’

তিনি বলেন, ‘ঠিক কী কারণে এটা হচ্ছে, সেই ব্যাখ্যা প্রাথমিকভাবে আমরা দিতে পারবো না। আমাদের দেওয়ারও কথা নয়। পরিসংখ্যানটা আমরা তুলে এনেছি। এখন আমাদের প্রতিবেদনের এ তথ্য ধরে সংশ্লিষ্টদের কাজ করার সুযোগ তৈরি হবে।’

ছাত্রীরা এগিয়ে যাচ্ছে এটা ভালো দিক বলে মনে করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের প্রধান নির্বাহী রাশেদা কে চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘প্রায় ৭-৮ বছর ধরে এটা লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে ছাত্রীরা বেশ এগিয়ে। এটা নিঃসন্দেহে ভালো দিক। আমরা চাইবো- ছাত্র এবং ছাত্রীরা সমান্তরালভাবে এগিয়ে যাক। কেউ বেশি পিছিয়ে পড়বে, কেউ বেশি এগিয়ে যাবে, সেটাও কাম্য নয়।’

শিক্ষকতায় নারীরা এখনো অনেক পিছিয়ে- এ প্রসঙ্গে রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রীরা এগিয়ে যাচ্ছে, এটা খুব বেশি দিনের নয়। আগে শিক্ষকতায় নারী আরও কম ছিল। এখন বাড়ছে। আগামী দিনে হয়তো আরও বাড়বে। তবে সরকারকে এ বিষয়ে উদ্যোগী হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষকতায় নারীদের আগ্রহী করে তুলতে হবে। প্রতিষ্ঠানে সেই পরিবেশটাও নিশ্চিত করতে হবে। আমরা (গণসাক্ষরতা অভিযান) এবারও নারীদের শিক্ষকতায় আনতে বাজেট বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করেছি। আশা করি, এক দশক পর শিক্ষকতায় নারীদের অংশগ্রহণও আশাব্যঞ্জক হবে।’

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এ নিয়োগ দিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ৩১ (১) ধারা অনুযায়ী ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিনকে গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলো। তাঁর নিয়োগের মেয়াদ হবে ২০২৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। তবে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর চাইলে প্রয়োজনে যে কোনো সময় তাঁর নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

জানা যায়, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। ১৯৯৯ সালে জাপানের শিগা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রযুক্তি শিক্ষায় মাস্টার্স এবং ২০০২ সালে কিয়োটো ইনস্টিটিউট থেকে ডক্টর অব ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন অধ্যাপক শরীফ।

১৯৯১ সালে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (বর্তমান চুয়েট) প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন তিনি। পরে ১৯৯২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিএসই বিভাগে যোগদান করেন তিনি।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে বেসরকারি সংস্থা গণস্বাক্ষরতা অভিযান। একই সঙ্গে শিক্ষকরা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছেন কি না তা নিয়মিত পর্যবেক্ষণের জন্য মনিটরিং ব্যবস্থাকে জোরদার করার লক্ষ্যে বাজেটে বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র (বিআইসিসি) ‘শিক্ষার ন্যায্যতাভিত্তিক বাজেট: আমাদের প্রত্যাশা’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এ সুপারিশ করা হয়।

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের সুপারিশে বলা হয়েছে, উপবৃত্তি হিসেবে দেওয়া অর্থের পরিমাণ বাড়ানো, প্রান্তিক অঞ্চল ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর শতভাগ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি প্রদান করতে হবে। কারিগরি শিক্ষার শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপবৃত্তির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

শিক্ষাখাতে বরাদ্দকৃত বাজেটের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিতের জন্য মনিটরিং ও সমন্বয় জোরদার করা এবং বাজেট বিভাজনের ক্ষেত্রে স্থানীয় পর্যায়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগসমূহের মধ্যে সমন্বয়হীনতা পরিহার করা প্রয়োজন।

শিক্ষা বাজেট নিয়ে স্থানীয় পর্যায়ে ( ইউনিয়ন/উপজেলা) বিশেষ করে স্কুল পর্যায়ে আলোচনা করতে হবে। উপজেলা পর্যায়ে সরকারি বরাদ্দকৃত বাজেট জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। জেলা পর্যায়ে বাজেটের অব্যয়িত অর্থ সংশ্লিষ্ট জেলার চর, হাওর, উপকূলীয় ও ভৌগোলিকভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় শিশুদের শিক্ষার ক্ষেত্রে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে ব্যয় করার নির্দেশনা বাজেটে থাকা দরকার।

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এবং মাদ্রাসাগুলোতেও মিড-ডে মিল ব্যবস্থা চালু করতে হবে। এক সময় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে মেয়েদের ফলিক এসিড দেওয়া হতো, এখন দেওয়া হয় না। এ ব্যবস্থা পুনরায় চালু করতে হবে। এজন্য বাজেট বরাদ্দ প্রয়োজন।

মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত সবার লেখাপড়া অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক করতে হবে। সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের খাতা, কলম, টিফিনবক্স, ব্যাগ, ছাতাসহ বিনামূল্যে শিক্ষা উপকরণ দেওয়া প্রয়োজন। এজন্য বাজেটে বরাদ্দ থাকতে হবে।

অনেক স্কুলে কম্পিউটারগুলো ব্যবহার করা হয় না বলে এক সময় অকেজো হয়ে যায়। এগুলো চালু রাখা ও কম্পিউটার মেরামতের জন্য বাজেট বরাদ্দ দিতে হবে। স্মার্ট নাগরিক গড়তে হলে স্মার্ট পরিকল্পনা নিতে হবে, স্মার্ট বাজেট প্রণয়ন করতে হবে। সকল বিদ্যালয়ে কম্পিউটার ল্যাব ও সায়েন্স ল্যাব স্থাপন ও ব্যবহারের জন্য বাজেট বরাদ্দ রাখতে হবে।

স্কুল লাইব্রেরিতে লেখাপড়ার ক্ষেত্রে উদ্দীপনামূলক /কাউন্সিলিং বিষয়ক বই সরবরাহ করা এবং সকল স্কুলে মিউজিক শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার জন্য বাজেট প্রয়োজন।

বাজেট তৈরিতে তৃণমূল পর্যায়ের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। বর্তমান বাস্তবতাকে গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষাখাতে স্কুলভিত্তিক ও স্থানীয় চাহিদাভিত্তিক বাজেট প্রণয়ন করা প্রয়োজন।

কারিকুলামে মূল্যায়ন ব্যবস্থাকে জনবান্ধব করে তোলার লক্ষ্যে নতুন কারিকুলামের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিক্ষানীতিকে যুগোপযোগী করা এবং কারিকুলাম বাস্তবায়নে জন্য যে অর্থ প্রয়োজন তার জন্য বাজেটে পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখতে হবে।

বিদ্যালয় পর্যায়ে পাঠদান পদ্ধতিতে যে বৈষম্য রয়েছে তা নিরসন করা এবং পাঠ্যবইয়ের মান উন্নয়ন করার জন্য বরাদ্দ প্রয়োজন। দুর্যোগকালে যাতে শিক্ষা চলমান থাকে সেজন্য পূর্বপরিকল্পনা করা এবং বাজেটে বরাদ্দ রাখা প্রয়োজন ।

মাধ্যমিক স্কুলে বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত, দারিদ্রপীড়িত, প্রত্যন্ত এলাকার মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য স্কুলে ভালো টয়লেট, স্যানিটারি প্যাড, সাবান, টিস্যু ইত্যাদির ব্যবস্থা থাকতে হবে। এ সংক্রান্ত স্কুলভিত্তিক বাজেট রাখার জন্য জাতীয় বাজেটে বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করা হয়।

গণস্বাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা জাতীয় চৌধুরী সভাপতি অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। আরো উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা কামাল আবু নাসের চৌধুরী।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত একযোগে ২৪ জেলার ৪১৪ কেন্দ্রে এ পরীক্ষা হয়। এবারের পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করে জালিয়াতি এবং অনিয়মের তেমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে তৃতীয় ধাপে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উদ্ভাবিত ডিজিটাল ডিভাইস শনাক্তকরণ যন্ত্র ‘সুরক্ষা’ প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়েছে। এতে সফলতা মিলেছে। আজকের পরীক্ষায় ২৫টি যন্ত্র দিয়ে পাঁচটি টিম করে পাঁচ জেলার কেন্দ্রগুলোতে পাইলটিং (পরীক্ষামূলক ব্যবহার) করা হয়। এতে এবারের পরীক্ষায় জালিয়াতি-অনিয়ম শূন্যের কোটায় নেমেছে।

পরীক্ষায় শেষে দুপুরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

গত বছরের ৮ ডিসেম্বর শিক্ষক নিয়োগে প্রথম ধাপের রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম-জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে আন্দোলনে নামে প্রার্থীরা। উচ্চ আদালতে পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে রিটও করেন কিছু শিক্ষার্থীরা। তবে দ্বিতীয় ধাপে রাজশাহী, খুলনা ও ময়মনসিংহে তুলনামূলক সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে, শুক্রবার দুপুরে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিতে মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদের বরাতে বলা হয়েছে, সহকারী শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের মাধ্যমে জালিয়তি রোধে বুয়েট কর্তৃক উদ্ভাবিত ডিভাইস শনাক্তকরণ সিস্টেমের কার্যকর প্রয়োগের ফলে অসদুপায় অবলম্বন প্রায় শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় এ চিত্র ফুটে উঠেছে।

সচিব বলেন, প্রথম ধাপের লিখিত পরীক্ষায় কিছু ক্ষেত্রে অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা নজরে আসায় মন্ত্রণালয় এ ধরনের অপপ্রয়াস রোধককল্পে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে। ফলে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরনের অভিযোগ খুব স্বল্প পরিমাণে এসেছে।

ফরিদ আহাম্মদ আরও বলেন, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরনের অভিযোগ যাতে না ওঠে, সেজন্য কার্যকর পন্থা খুঁজে বের করতে বুয়েটের আইআইসিটি বিভাগের অধ্যাপক এস এম লুত্ফুল কবিরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বুয়েট ইনোভেশন টিম স্বল্পসময়ে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন শনাক্তকরণে সহজ ও কার্যকর সিস্টেম উদ্ভাবন করে। এতে মন্ত্রণালয় আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তৃতীয় ধাপের আজকের লিখিত পরীক্ষায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের পাঁচ জেলায় নতুন এ সিস্টেমের সহজ ও কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত হয়েছে। সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এ সিস্টেম চালু করা গেলে ডিভাইসমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হবে। তখন কেউ পরীক্ষা নিয়ে কোনো অভিযোগ তোলার সুযোগ পাবেন না।

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পরীক্ষার্থী জালিয়াতির উদ্দেশ্যে কানের ভেতরে ডিজিটাল ডিভাইস রাখলে উদ্ভাবিত যন্ত্রটি তার সন্ধান দেবে। এতে একটি লাইট জ্বলে উঠবে এবং শব্দ সংকেত বাজবে। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুরক্ষা’।

বুয়েটের আইআইসিটিকে ইনোভেশন ফান্ডের আওতায় ৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এ যন্ত্র তৈরিতে প্রাথমিকভাবে ৮ হাজার ৫০০ টাকা খরচ হয়েছে। পরে বেশি পরিমাণে উৎপাদন করা হলে খরচ পড়বে ৫ হাজার ৫০০ টাকা। প্রথমবারের মতো ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, টাঙ্গাইল ও কিশোরগঞ্জ জেলায় এ যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে।

গত বছরের ১৮ জুন তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ ধাপে আবেদন করেন দুই বিভাগের তিন লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। তবে আজকের পরীক্ষায় ঠিক কতজন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন, সেই হিসাব এখনো জানায়নি মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

শিক্ষাবার্তা ডটকম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ দেশের সর্বস্তরে নারী-পুরুষের সমতার কথা বলা হলে মাদ্রাসা এখনো অনেক পিছিয়ে। মাত্র ১৩ শতাংশ নারী সরকারি মাদরাসার শিক্ষক। আর বেসরকারি মাদরাসায় এ হার কিছুটা বাড়লেও সমতার অনেক দূরে।

বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরেছে।

ব্যানবেইসের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, দেশে সরকারি মাদ্রাসা ৩টি। শিক্ষক সংখ্যা ৭৬ জন। এর মধ্যে ১০ জন মহিলা শিক্ষা। যা মোট শিক্ষকের ১৩ দশমিক ১৬ শতাংশ। দেশে বেসরকারি মাদ্রাসা আছে ৯ হাজার ২৫৬ টি। মোট শিক্ষক ১ লাখ ১৮ হাজার ২০৪টি। মহিলা শিক্ষক ২৩ হাজার ১৫৬ জন। যা মোট শিক্ষকের ১৯দশমিক ৫৮ শতাংশ।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/২৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।। 

সারা বাংলাদেশে সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ শিক্ষক কর্মচারী কর্মরত আছে। যদিও দেশের প্রায় সিংহভাগ শিক্ষাই এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। দেশের এত বড় একটা মহান কাজ যাদের হাতে ন্যস্ত তাদের ঈদ কাটে সিকি আনা (মূল বেতনের ২৫%) বোনাস দিয়ে।

অথচ সেই শিক্ষা খাত যারা নিয়ন্ত্রণ করে তারা কিন্তু বোনাস পায় ১০০%, বরং শুধু তারা নয় দেশের আর অন্য কোন সেক্টর ই এমন অমানবিক বেনাস দেয় না, তাহলে শুধু শিক্ষকদের বেলায় কেন?

উল্লেখ্য যে সেই ২০০৪ সাল থেকে শিক্ষকদের বোনাস ২৫% আর কর্মচারীদের ৫০% বোনাস দেয়া হয় কিন্তু দেশ তো এখন উন্নত, তাহলে ২০ বছরেও কেন শিক্ষকদের বোনাসের পরিবর্তন হলো না, তাহলে কি ধরে নিবো এটা সরকারের ব্যর্থতা নাকি সদিচ্ছার অভাব? বছর ঘুরে যখন আনন্দের ঈদে একটা আসে তখন শিক্ষকদের মাথায় আসে দুশ্চিন্তার ছাপ।

কারন ঈদকে ঘিরে পরিবার আত্মীয় স্বজনদের যখন চাহিদা বাড়ে তখন একজন শিক্ষক কিভাবে ২৫% দিয়ে তাদের চাহিদা মিটাবে, তখন একজন শিক্ষকের ভিতরে ঘটে রক্ত খরণ, তারা না পারে পরিবারের চাহিদা মিটাতে না পারে বোনাস বাড়াতে, এভাবে একজন শিক্ষক কিভাবে তার সকল শক্তি, মন-প্রাণ দিয়ে শ্রেণিকক্ষে আলো ছড়াবে।

তাই সরকারের কাছে শিক্ষকদের আকুল আবেদন এই যে, খুব দ্রুত ই যেন বোনাস ২৫% থেকে ১০০% করে শিক্ষকদের ঈদ আনন্দকে প্রকৃত আনন্দে পরিনত করে।

তাপস সাহা
সহকারী শিক্ষক

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।। 

চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী অথৈ ধর। চট্টগ্রাম শহরের  দক্ষিণ কাট্টালীর বাসন্তী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন তিনি। সেই অথৈ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হয়েছেন।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় অথৈ ধর বলেন, আমার অনেক ভালো লাগছে। রেজাল্ট ভালো হবে সেটা জানতাম, কিন্তু প্রথম হব সেটি চিন্তা করিনি। আমার টার্গেট ছিল এক থেকে ১০ এ থাকার।

পড়াশোনার কৌশল সম্পর্কে অথৈ বলেন, ‘পরিকল্পিত পড়াশোনা করছি। নিজেকে যাচাই করার জন্য অনেক প্রি এক্সামে অংশ নিয়েছি, যা আমার জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যে টপিকগুলো থেকে প্রশ্ন হয়, সেগুলো ছাড়া বাড়তি কিছু পড়িনি। কোশ্চেন ব্যাংক সলভ করে টপিকগুলো নিয়ে ধারণা নিয়েছি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত ফল অনুযায়ী, এ বছর ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে প্রথম হয়েছেন অথৈ ধর। তার সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর ১০৫.৫০। ভর্তি পরীক্ষায় তার রোল নম্বর ছিল ৩২০৩৪৫১। তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজের শিক্ষার্থী। তার পরীক্ষা অঞ্চল ছিল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩টায় অধ্যাপক আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।। 

সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কানের গোপন ডিভাইসসহ ভাই-বোনকে আটক করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে শহরের মেড্ডায় পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখ।

আটককরা হলেন, বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে রিনা আক্তার (২৩) ও তার বড় ভাই আব্দুল জলিল (২৮)।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম শেখ জানান, সকাল ১০টা থেকে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে পরিদর্শনকালে এক মেয়ে পরীক্ষার্থীকে সন্দেহ হয়। পরে তার কানের ভেতরে থাকা ডিভাইস ও এরসঙ্গে থাকা সিম সেট জব্দ করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় ডিভাইসটি তার বড় ভাই দিয়েছে পরীক্ষা দিতে। এ তথ্যের ভিত্তিতে তার ভাইকে খবর দিয়ে আনা হয়। দুইজনকে পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদে সত্যতা পাওয়া যায়।

তিনি আরও জানান, ঘটনায় যেহেতু একটি ডিভাইস জব্দ করা হয়েছে, এর সঙ্গে কে কে জড়িত তা তদন্ত করে জানতে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ বাদি হয়ে মামলা করবেন। আটক দুজনকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।। 

পবিত্র রমজান মাসের ১৮তম রোজা আজ। একইসঙ্গে রমজান মাসের তৃতীয় জুমা। তৃতীয় এই জুমার নামাজ পড়তে রাজধানীর মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের ঢল নেমেছে।

জুমার নামাজে অংশ নিতে মুসল্লিদের ঢল নামে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে। নির্ধারিত সময়ের আগেই ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা আসতে থাকেন মসজিদে। আযানের পরপরই মানুষে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় মসজিদ।

তার আগে বেলা ১১টা থেকেই মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশ করতে দেখা যায়। তখনো আযান দিতে প্রায় ঘণ্টার মতো সময় বা‌কি। গুলিস্তানে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদে জুম্মার নামাজ আদায় করতে ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা মসজিদে আসেন। রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তাদের নিজের সন্তান, নাতিদের নিয়ে আসতে দেখা যায়।

জুমার নামাজে আল্লাহর দরবারে নিজেকে সপে দেন মুসল্লিরা। পরে পরিবার, দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনায় দোয়ায় অংশ নেন তারা।

নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের সাথে কথা হলে তারা জানান, পবিত্র রমজান মাসের শুক্রবার অনেক ফজিলতময় দিন। বায়তুল মোকাররমে বড় জামাত হয়। একসঙ্গে অনেক মানুষ দোয়া করেন। যে কারণে আশপাশে অনেক বড় মসজিদ থাকলেও তারা এখানে এসেছেন।

এ সময় দেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালিত হয়।

এদিকে নিরাপত্তা জোরদারে ও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে পল্টন মোড় থেকে বায়তুল মোকাররম পর্যন্ত সতর্ক অবস্থানে দেখা যায় পুলিশ সদস্যদের।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী বলেছেন, ‘প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে আমরা জিরো টলারেন্সে আছি। যাতে কোনোভাবে মানুষ প্রতারিত না হন। মানুষ চাকরির লোভে বিভিন্নভাবে প্রতারিত হন।’

প্রতিমন্ত্রী রুমানা আরও বলেন, ‘আমরা ডিভাইসের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা দিতে বসিয়েছে। আসল পরীক্ষার্থীর বিষয়টি আমরা নিশ্চিত করেছি।’

আজ শুক্রবার সকালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শনে এসে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘তৃতীয় ধাপে জুন মাসের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে। পর্যায়ক্রমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন।’

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোনো আবেদনকারী যেন প্রতারণার শিকার না হন সেজন্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক আছে। পরীক্ষার্থীরা সুশৃঙ্খল পরিবেশেই পরীক্ষা দিয়েছেন।’

কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

তৃতীয় ধাপে কুমিল্লা জেলায় ৩২ হাজার ১৯৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে নারী ১৪ হাজার ৭৬৭ জন ও পুরুষ ১৭ হাজার ৪৩২ জন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।। 

বাংলাদেশ রেলপথ মন্ত্রণালয়ে এমএলএসএস পদে চাকরির জন্য একটি অসাধু চক্রের সঙ্গে ১২ লাখ টাকায় চুক্তি হয় রাকিবের (ছদ্মনাম)। চক্রের সদস্য নাসিম মাহমুদের বড় ভাই মন্ত্রণালয়ে চাকরি করেন। খুব সহজে তিনি সেখানে চাকরি পাইয়ে দিতে পারবেন। নাসিমের এমন কথায় আশ্বস্ত হয়ে রাকিব তার শর্তে রাজি হন।

শর্ত মোতাবেক ব্লাঙ্ক চেক, ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্প, সিভি ও ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম দেন রাকিব। গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে চাকরির ভাইভাও দেন। তখন চুক্তি মোতাবেক আরও দিতে হয় ৫০ শতাংশ টাকা (৬ লাখ)। ভাইভা শেষে রাকিবকে দেওয়া হয় নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড। ওই সময় পরিশোধ করতে হয় বাকি টাকা।

নিয়োগপত্র অনুসারে রাকিব রেলপথ মন্ত্রণালয়ে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে জানতে পারেন, নিয়োগপত্রটি ভুয়া। পরে নাসিমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
রাকিবের মতো শতাধিক যুবকের সঙ্গে প্রতারণা করে বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে অসাধু এই চক্র। চক্রটি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখলে সঙ্গে সঙ্গে বনে যেত মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা কিংবা কর্মকর্তাদের নিকটাত্মীয়।

ডিবি জানায়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, কারা অধিদফতর, বিআরটিসি, বিএডিসি, ব্যাংক, মেট্রোরেল, এয়ারপোর্ট, তিতাস গ্যাস এবং সেনাবাহিনীর সিভিল পদে চাকরির বিজ্ঞাপন বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশের পরই সক্রিয় হয়ে উঠত প্রতারক চক্রটি। সরকারি বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে হাতিয়ে নিত বিপুল অর্থ।

এই চক্রের সদস্যরা ৩-৪ ধাপে কাজ করত।প্রথম ধাপে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর মাঠ পর্যায়ের চাকরি প্রার্থীদের আশ্বস্ত করা হতো। দ্বিতীয় ধাপে গ্রাম থেকে চাকরি প্রার্থীদের ঢাকায় এনে ভাইভা নেওয়া হতো। তৃতীয় ধাপে দেওয়া হতো নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড। চতুর্থ ধাপে চাকরিতে যোগদান করতে গিয়ে চাকরি প্রার্থীরা বুঝতে পারেন তারা প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

এই প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ। গ্রেফতাররা হলেন-ফরিদুল ইসলাম (২৯), নাসির চৌধুরী (৪৫), নাসিম মাহমুদ (৪৩) ও জুয়েল রানা (৪৫)। গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ৪টি মোবাইল ফোন এবং বেশ কয়েকটি ভুয়া নিয়োগপত্র, চেক ও স্ট্যাম্প জব্দ করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি প্রধান) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গ্রেফতাররা বেশ কয়েক দিন ধরে ভুয়া নিয়োগপত্র দিয়ে সাধারণ চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অনুসন্ধানে এই চক্রের বিভিন্ন ধাপ লক্ষ্য করা গেছে।

কোনো চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলেই চক্রের মাঠকর্মীরা চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছে গিয়ে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করত। চাকরি প্রার্থী তাদের প্রস্তাবে রাজি হলে তাদের কাছ থেকে ব্লাঙ্ক চেক, ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্প এবং সিভি সংগ্রহ করার পাশাপাশি মাঠকর্মীরা অগ্রিম হিসেবে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা নিত।’

তিনি বলেন, ‘মাঠকর্মীরা তাদের কমিশনের টাকা রেখে বাকি টাকা সিভি পর্যায়ের সাব এজেন্টের দিয়ে দিত। এই সাব এজেন্ট টাকা ও সিভি গ্রহণ করে সব চাকরি প্রার্থীকে নির্দিষ্ট দিনে ভাইভার জন্য ঢাকার এজেন্টের কাছে পাঠাত। পরে ঢাকার এজেন্ট আবাসিক হোটেলের রুমে বা সংশ্লিষ্ট দফতরের আশপাশের কোনো চায়ের দোকানে চাকরি প্রার্থীদের ভাইভা পরীক্ষা নিত। ভাইভায় উত্তীর্ণ হয়েছে দেখিয়ে প্রার্থীর কাছ থেকে চুক্তির ৫০ শতাংশ অর্থ গ্রহণ করত।

এরপর আরেক ধাপে চক্রের অন্য সদস্যরা চুক্তির বাকি টাকা গ্রহণ করে প্রার্থীকে নিয়োগপত্র ও আইডি কার্ড দিয়ে নির্দিষ্ট দিনে নির্দিষ্ট অফিসে গিয়ে চাকরিতে যোগ দিতে বলত। চাকরি প্রার্থী নিয়োগপত্রে উল্লিখিত তারিখে সংশ্লিষ্ট দফতরে চাকরিতে যোগ দিতে গিয়ে জানত সে প্রতারক চক্রের প্রতারণার শিকার হয়েছে।’

গ্রেফতারদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, ‘দুই-তিন বছর ধরে প্রতারণা করে আসছিল চক্রটি। তাদের ব্যবহৃত হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, চাকরিপ্রত্যাশীদের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রতারক চক্র টাকা হাতিয়ে নিত।’

ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের অর্গানাইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মো. নাজমুল হক বলেন, ‘চক্রটি গত কয়েক বছরে চাকরিপ্রত্যাশী প্রত্যেকের কাছ থেকে ১০-২০ লাখ টাকা করে নিলেও কাউকে চাকরি দিতে পারেনি। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে। আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

।। অধ্যক্ষ মো. আলমগীর হোসেন খাঁন।।

পবিত্র মাহে রমজান বছরের প্রথম দিকে তাই এতদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান একাধারে ছুটি শিক্ষার্থীরা পাঠ ভুলে যাবে, শিক্ষক শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা শিক্ষা পরিবেশ থেকে দূরে সরে যাবে ।

আবার এ সময়টা শিক্ষা বর্ষের প্রথম দিকে তাই শ্রদ্ধেয় শিক্ষামন্ত্রী সহ শিক্ষা মন্ত্রণালয় সপ্তাহে এক দিন ছুটি কমানোর চিন্তা ভাবনা করছে । পবিত্র রমজান মাসের ৩০দিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা সম্ভব না ।

তারপর ঈদের ছুটি দিতেই হবে । হয়তো শিক্ষার মানোন্নয়নের স্বার্থে ১০/১২ দিন খোলা থাকতে পারে । যেমন এ বছর ১৫ দিন খোলা রেখেছেন । আর শনিবার ছুটি বাতিল করলে বছরে ৫২ দিন ছুটি বাতিল হয় ।

তাছাড়া সারাদেশের সরকারি কর্মকর্তা –কর্মচারিদের সকল অফিস আদালতের সাপ্তাহিক ছুটি দুদিনের । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুদিনের ছুটি নিয়ে এতো ভাবনা কেন?

বেসরকারি শিক্ষকরা আছেন অনেক বেতন বৈষম্যে, উৎসব ভাতা ২৫%, চিকিৎসা ভাতা, বাড়ি ভাড়া নাম মাত্র। এসব নিয়ে ভাবনার কোনো নেতা বা দেশপ্রেমিক পাওয়া যায়না ।

প্রধানমন্ত্রীকে বুঝানোর মতো কোন নেতা পাওয়া যায় না। অথচ সাপ্তাহিক ছুটি নিয়া বিভ্রান্তির মধ্যে সকল শিক্ষক-কর্মচারিদের রাখছে যাতে অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নামার সময় না পায় ।

আগে শিক্ষা জাতীয়করনের পথে হাটতে হবে দেশ । নতুন কারিকুলাম শুরুই হয়েছে দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটি নিয়ে । শিক্ষকদের লজ্জা থেকে বাঁচাতে উৎসব ভাতা পূর্ণাঙ্গ হতে হবে ।

১০/১২ দিন রমজানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ৫২দিন সাপ্তাহিক ছুটি কমানোর ভাবনা দূরে সরে যাবার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী সহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ করছি ।

সকল প্রাথমিক-মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সাপ্তাহিক ছুট শুক্রবার ও শনিবার থাকবে এটাই শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের প্রত্যাশা ।
শিক্ষা বিপ্লবের শুভেচ্ছা ।

লেখক-
অধ্যক্ষ মোঃ আলমগীর হোসেন খান
মিরুখালী স্কুল অ্যান্ড কলেজ
মঠবাড়িয়া, পিরোজপুর ।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/২৯.০৩.২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram