মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ  বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের জন্য আসা যে কোনো প্রকারের গবেষণা অনুদানকে শর্ত সাপেক্ষে করমুক্ত সুবিধা দেওয়া হয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম সই করা এক আদেশে এ সুবিধা দিয়ে সম্প্রতি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে, যা ২০২৬-২০২৭ করবর্ষ পর্যন্ত বলবত থাকবে।

আদেশে বলা হয়েছে, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের গবেষণা পরিচালনার উদ্দেশে বাংলাদেশের বাইরের কোনো প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে গৃহীত যে কোনো প্রকারের গবেষণা অনুদানকে শর্ত সাপেক্ষে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মোট আয় পরিগণনা থেকে বাদ দেওয়া হলো। শর্ত হলো—সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ বা গবেষণা প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে কর অব্যাহতির সমর্থনে অব্যাহতি সনদ গ্রহণ করতে হবে। এনবিআরের এমন উদ্যোগ গবেষকদের আরো বেশি কাজে উৎসাহিত করার পাশাপাশি জ্ঞানভিত্তিক দেশ গঠনে সহায়তা করবে বলে মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্টরা।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

সৈয়দ শাহাদাত হোসাইনঃ সারাদেশের সাড়ে পাঁচ লাখ বেসরকারি শিক্ষক অধির আগ্রহে বসে আছে অন্তত এই ঈদে তাদের শতভাগ ঈদ বোনাসের ঘোষণা আসবে। দীর্ঘ আন্দোলনের পথ ধরে ২০ বছর আগে সিকি বোনাস পেয়েছিলো বেগম খালেদা জিয়ার আমলে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির জমানায় বেসরকারি শিক্ষকদের মুখে হাসি ফুটাতে পারে শতভাগ ঈদ বোনাসের দাবী বাস্তবায়ন হলে।

গত বছরের আগস্ট মাসে প্রেস ক্লাবের সম্মুখে কাফনের কাপড় পরিধান করে আমরণ অনশন ভঙ্গ করিয়েছিলেন বর্তমান সরকারের কর্তা ব্যক্তিরাই, প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এই মর্মে শিক্ষা জাতীয়করণ মূল দাবী বাস্তবায়ন করতে দেরী হলেও বেসরকারি শিক্ষকদের আর্থিক দৈন্যদশা দূর করবেন পর্যায়ক্রমে। দুর্মূল্যের বাজারে এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া ও পাঁচশো টাকা মেডিকেল ভাতার কোনো পরিবর্তন দেখছে না শিক্ষকরা। সামনে রমজানের ঈদ অতি সন্নিকটে অথচ এখনও বেসরকারি শিক্ষকদের শতভাগ ঈদ বোনাসের দাবীটি সরকারের নজরে আসেনি। শতভাগ ঈদ বোনাস দিতে কোনো ধরনের আলাপ আলোচনায় দেখা যাচ্ছে না, এতেই প্রমাণিত বেসরকারি শিক্ষকগণ আসলেই অভিভাবকহীন। আন্দোলনের মাঠে সরকারের উচ্চ মহলের আন্তরিকতার কমতি ছিলো না। মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের আবেগ নিয়ে খেলা করেছিলো সেদিন। আপাতদৃষ্টিতে সেটাই মনে হচ্ছে।

বেসরকারি শিক্ষকদের মনের আকুতি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কাউকে খোলে বলতে পারেনি এটি শিক্ষক নেতৃত্বের ব্যর্থতা ছাড়া আর কি? ছুটি দেয়ার সময় অন্যদেশের উদাহরণ খোঁজ করে আর বেতন ভাতা বাড়ানোর সময় উগান্ডার মত দেশের উদাহরণ টানে এটা-ইতো আমাদের সোনার বাংলাদেশ। সবকিছু শেষ হলেও একমাত্র আশা-ভরসার স্থল বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার উপর শিক্ষক সমাজের আস্থা রাখেন বলেই শিক্ষকরা রাজপথে নেমে দাবী আদায়ের ভিন্ন পথ গ্রহণ করেনি। আশা করি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের প্রাণের দাবী শতভাগ ঈদ বোনাস অচিরেই ঘোষণা দিয়ে বেসরকারি শিক্ষকদের সুন্দর ঈদের খুশী ভোগ করার সুযোগ দিবেন।

লেখকঃ  সহকারী অধ্যাপক, বাকলিয়া শহিদ নুর হোসেন ডা. মিলন মোজাম্মেল জেহাদ ডিগ্রি কলেজ, চট্টগ্রাম।

মতামত ও সাক্ষাৎকার কলামে প্রকাশিত নিবন্ধ লেখকের নিজস্ব। শিক্ষাবার্তা’র সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে মতামত ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক ও আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের;- শিক্ষাবার্তা কর্তৃপক্ষের নয়।”

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪ 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

বিএনপি তিনজন নেতাকে বর্তমান দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের পদোন্নতি দিয়েছে। পদোন্নতির পর তারা দলকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করছে দলটি।

আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদারকে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, জাতীয় নির্বাহী কমিটির গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভুঁইয়াকে সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুল হককে আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে মনোনীত করা হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, দল আশা প্রকাশ করে যে, উল্লিখিত নেতৃবৃন্দ দলকে সুসংগঠিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকে ‘যৌন হয়রানি প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন (খসড়া)’ চূড়ান্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। খসড়াটি গত ৫ মার্চ মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে যৌন হয়রানি দমনের পাশাপাশি ব্যবসা-শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং যানবাহনে নারীদের হয়রানি প্রতিরোধের বিষয়গুলো যুক্ত করা হয়েছে।

যৌন হয়রানি প্রতিরোধে এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ বছর আগে হাইকোর্ট থেকে বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়। ২০০৯ সালে ওই নির্দেশনায় হাইকোর্ট উপযুক্ত আইন প্রণয়নের আগে পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং কর্মক্ষেত্রে এই নীতিমালা অনুসরণের নির্দেশ দেয়।

হাইকোর্টের নির্দেশনার পর যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আইন প্রণয়নে সোচ্চার হয়ে ওঠে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, জাতীয় কন্যা শিশু অ্যাডভোকেসি ফোরাম, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতিসহ নারী ও শিশু অধিকার নিয়ে কাজ করা অন্যান্য সংগঠন। এসব সংগঠন আলাদাভাবে এ সংক্রান্ত আইনের খসড়া জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে জমা দেয়। এরপর জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি সভা শেষে খসড়াটি চূড়ান্ত করা হয়।

মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ আমাদের সময়কে বলেন, ‘খসড়াটি আমরা মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি, সেখানে আমরা আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়া দ্রুত করার সুপারিশ করেছি।’ তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি যেন দ্রুত এটি আইনে পরিণত করতে কাজ করেন তারা। নারী অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর সঙ্গে মানবাধিকার কমিশন একাধিক সভা করেছে বলে জানান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

খসড়া আইন সম্পর্কে তিনি বলেন, হাইকোর্টের আদেশে প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কমিটি করার কথা রয়েছে, দেখা গেছে অনেক জায়গায় কমিটি নেই, থাকলেও কোনো কার্যকর না। যে কারণে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানির ঘটনা বারবার ঘটছিল। এ খসড়া আইনে কর্মক্ষেত্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য কর্মস্থল ও যানবাহনে হয়রানির বিষয়গুলো যুক্ত করেছি। আমি মনে করি এ আইনটি দ্রুত হওয়া উচিত।

হাইকোর্টের নির্দেশনার পরও বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কর্মক্ষেত্রে কমিটি করা হয়নি এবং বহু প্রতিষ্ঠানে তা অকার্যকর বলে মনে করেন জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা আলী। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ‘কমিটিগুলো ঠিকমতো কাজ করে না। বিশেষ করে বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে এর কোনো কার্যকারিতা নেই। হাইকোর্টের নির্দেশ থাকলেও কমিটি করা হয় না।’

আইনজীবী সালমা আলী বলেন, সংবিধানের ১০১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী হাইকোর্টের নীতিমালাটি একটি আইনের মতো কাজ করবে। যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো ফৌজদারি আইন ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট আইনে বিচার প্রক্রিয়া চলে। নতুন আইনের জন্য খসড়াটি মানবাধিকার কমিশন থেকে সমন্বয়নের কাজ করা হচ্ছে। এ আইনটি দ্রুত পাস হওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি।

যৌন হয়রানি প্রতিরোধ আইন বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত সমন্বয়নের দায়িত্ব পালন করছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অবৈতনিক সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমরা আইনে এমন বিষয়গুলো দেওয়ার চেষ্টা করেছি যাতে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষ কেউ মনে করতে না পারেন যে তিনি সমাজ থেকে বিচ্যুত। এখন বিষয়গুলো মন্ত্রণালয়ের বিবেচনাধীন। চলতি সপ্তাহের মধ্যে আবার এ বিষয়ে কথা বলতে মন্ত্রণালয়ে যাব। মন্ত্রণালয় যদি এ বিষয়ে কোনো ফিডব্যাক দেয় তা হলে তাড়াতাড়ি তা সম্পন্ন করে ফের জমা দেওয়ার চেষ্টা করব।’

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দিনাজপুরে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে জোর করে চুমু দিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছেন সাখাওয়াত হোসেন (২০) নামের এক মাদরাসাছাত্র।

রবিবার (১৭ মার্চ) সকাল পৌনে ৯টার দিকে শহরের কালিতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সোমবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

জানা গেছে, গ্রেপ্তার সাখাওয়াত শহরের বালুয়াডাঙ্গা মহল্লার আরিফুল ইসলাম মিন্টুর ছেলে। রংপুরের একটি হাফিজিয়া মাদরাসায় লেখাপড়া করেন তিনি। রোববার ওই ছাত্রী স্কুল ড্রেস পরা অবস্থায় চাচাতো বোনের বাড়িতে যাচ্ছিল। তাকে অনুসরণ করে জাপটে ধরে চুমু দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই মাদরাসাছাত্র। এ সময় তার নখের আঁচড়ে ছাত্রীর গালে ক্ষত দেখা দেয়। পরে চিৎকার দিলে ওই যুবক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওই সময় সিসিটিভিতে ঘটনার দৃশ্য দেখতে পেয়ে ধাওয়া দিয়ে তাকে আটক করে স্থানীয়রা পুলিশে তুলে দেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ সাখাওয়াতকে গ্রেপ্তার করে।

দিনাজপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় ওই মাদরাসাছাত্রের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন ছাত্রীর বাবা। তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থায় আগামী জুলাই থেকে যোগ দেওয়া চাকুরেদের সর্বজনীন পেনশনে যুক্ত হওয়া বাধ্যতামূলক করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। তারা বিদ্যমান পেনশনের বদলে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির ‘প্রত্যয়’ স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন। তবে সরকারের এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে প্রয়োজনে তারা আন্দোলনে যাবেন।

এ ব্যাপারে সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, সব নাগরিককে পেনশনের আওতায় আনতেই সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এ উদ্দেশ্যেই কাজ করছে সরকার। সার্বিকভাবে বৃহত্তর স্বার্থের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্টরা এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা থেকে সরে আসবেন বলে আশা করছি।

অর্থ মন্ত্রণালয় গত বৃহস্পতিবার দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত, সংবিধিবদ্ধ বা সমজাতীয় সংস্থা এবং এদের অধীন অঙ্গপ্রতিষ্ঠানে আগামী ১ জুলাই থেকে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সরকার পেনশন ব্যবস্থাপনার আওতাভুক্ত করল। একই দিন সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা সংশোধন করে আরেক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীর ওপর ১ জুলাইয়ের পর থেকে ‘প্রত্যয়’ কর্মসূচি বাধ্যতামূলক। বিদ্যমান প্রগতি, প্রবাস, সুরক্ষা ও সমতা– এই চার পেনশন কর্মসূচি ঐচ্ছিক হলেও নতুন স্কিম বাধ্যতামূলক।

‘প্রত্যয়’ স্কিমে চাঁদার বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মূল বেতনের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা– এ দুয়ের মধ্যে যেটি কম, সংশ্লিষ্ট সংস্থা তা চাকরিজীবীর বেতন থেকে কেটে রাখবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংস্থা দেবে। দুই অঙ্ক একত্রে চাকরিজীবীর পেনশন আইডির (পরিচয় নম্বর) বিপরীতে সর্বজনীন পেনশন তহবিলে জমা করবে। যেদিন প্রতি মাসের বেতন দেওয়া হয়, তার পরের কর্মদিবসের মধ্যেই কাজটি করতে হবে। এ জমা অর্থের পরিমাণ ও মেয়াদের ভিত্তিতে অবসরকালীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারী পেনশন ভোগ করবেন।

নতুন এ সিদ্ধান্তে স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্ষুব্ধ হলেও চাকরির ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে মুখ খুলছেন না। তবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা হয়েছেন সরব। বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনার এসআরওর বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। তারা বলছেন, এ প্রজ্ঞাপন কার্যকর হলে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বৈষম্যের শিকার হবেন। একই বেতন স্কেলের আওতাধীন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য সরকারের ভিন্ন নীতি সংবিধানের মূল চেতনার সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। তারা প্রয়োজনে এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য আন্দোলনে যাবেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিগুলো এরই মধ্যে এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিবৃতিতে দিয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

স্বাধীনতার ৫৩ বছরে চতুর্থ দফায় ১১৮ জন শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন। এ তালিকার মধ্যে শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, ইমাম, যাজক, পুরোহিত, অভিনেতা, রাজনীতিবিদ, নারীনেত্রী, সমাজসেবক প্রাধান্য পেয়েছেন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্বীকৃতি প্রদান-সংক্রান্ত যাচাই-বাছাই কমিটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সুপারিশ করা নামের তালিকা আগামী সপ্তাহে মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তারা প্রত্যেকেই ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন সময় হত্যার শিকার হন।

তালিকা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, স্বীকৃতির সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে আছেন ৪৭ শিক্ষক, স্থানীয় ১৭ রাজনীতিবিদ ও ১৩ চিকিৎসক। ২০২০ সালের ১৯ নভেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী তালিকা প্রণয়নে প্রথম কমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১৯১ জন এবং দ্বিতীয় দফায় ২০২২ সালের ২২ মে ১৪৩ জনকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর পর দেড় বছর শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা-সংক্রান্ত সভা হয়নি।

অবশেষে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ১০৮ জনকে (একজনের নাম দুইবার) দেওয়া হয় শহীদ বুদ্ধিজীবীর স্বীকৃতি। সব মিলে এ পর্যন্ত শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে গেজেটভুক্ত হয়েছে ৪৪২ জনের নাম। চতুর্থ দফায় সুপারিশপ্রাপ্তদের নিয়ে মোট স্বীকৃতিপ্রাপ্ত শহীদ বুদ্ধিজীবীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৫৬০-এ।

শহীদ বুদ্ধিজীবী স্বীকৃতি প্রদান-সংক্রান্ত বাছাই কমিটির সদস্য একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আমরা তালিকা চূড়ান্ত করেছি। মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন। তিনি ফিরলে তালিকা হস্তান্তর করা হবে। আগামী ২৪ মার্চ মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তালিকা প্রকাশের কথা রয়েছে।’

কমিটির অপর সদস্য অধ্যাপক ডা. বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে সমাজের প্রতিটি শ্রেণিরই অবদান রয়েছে, যেটা শহীদ বুদ্ধিজীবীর তালিকায় উঠে এসেছে। তালিকায় শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, সাহিত্যিক, ইমাম, যাজক, পুরোহিত, নাট্যাভিনেতা, নারীনেত্রী, সমাজসেবক প্রাধান্য পেয়েছেন।’

যাদের নাম শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তালিকায় অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়েছে, তারা হলেন– হবিগঞ্জের শিক্ষক অনিল চন্দ্র দেব, সত্যরঞ্জন অধিকারী, হরিপদ গোস্বামী, হরিদাস সাহা, শফিকুর রহমান, পল্লিচিকিৎসক অবিনাশ রায়, শিক্ষক কালীচরণ নমঃশূদ্র, হারুনর রশীদ, হোসেন সিদ্দিক, জগৎজ্যোতি দাস (বীরপ্রতীক), মানিকগঞ্জের ডা. অজিত কুমার চক্রবর্তী, ডা. সন্তোষ রঞ্জন কুমার বসাক, ডা. নিবারণ চন্দ্র সাহা, হীরালাল সরকার, রাজনীতিবিদ সিদ্ধেশ্বরী প্রসাদ রায়চৌধুরী, নারীনেত্রী যোগমায়া চৌধুরী কালী, রাজনীতিবিদ ব্রজেন্দ্র কুমার সাহা, রামলাল সাহা, মোহিনীকান্ত গুহ রায়, সমাজসেবী নীহাররঞ্জন রায়, পৃথ্বীশচন্দ্র সাহা, নৃপেন্দ্রকান্ত রায়চৌধুরী, নরেন্দ্রনাথ কুণ্ডু, শিক্ষক নিতাই চন্দ্র বসাক, স্বদেশচন্দ্র বসু মজুমদার, প্রবন্ধ কুমার নাগ, নারায়ণ চক্রবর্তী, গণসংগীত শিল্পী জগবন্ধু সাহা, সমাজসেবক অবনী কুমার রায়, অভিনয়শিল্পী অতুল কৃষ্ণ সাহা, আবু ইলিয়াস মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, লোকসংগীত শিল্পী আবুল বাশার খান, রাজনীতিক আবদুল হামিদ শেখ, সমাজেসেবী উমেশ চন্দ্র সাহা, এজেডএম জিয়াউদ্দিন, আইনজীবী চিত্ররঞ্জন বসু, শিক্ষক কালীপ্রসন্ন রায়, ডা. চিত্তরঞ্জন সাহা, ডা. বিজয়রত্ন রায়, সুধীর কুমার রায়, ইমাম ও শিক্ষক মাওলানা হারুন অর রশীদ; যশোরের নাট্যাভিনেতা অমল কৃষ্ণ সোম, অরুণ কৃষ্ণ সোম, রাজনীতিবিদ মো. আসাদুজ্জামান, লুৎফর রহমান, সংস্কৃতিকর্মী শেখ ওয়াহিদুর রহমান চারু, সমাজসেবী শহীদ উদ্দিন আহম্মেদ, প্রকৌশলী শামস-উল-হুদা, পল্লিচিকিৎসক তফেল উদ্দিন আহম্মাদ, শিক্ষক কাজী আইয়ূব হোসেন, সিদ্দিকুর রহামান, সিরাজুল ইসলাম, গোবিন্দ, নওয়াব আলী বিশ্বাস, প্রবোধ কুমার নাগ, গণসংগীত শিল্পী সাবুদেব কুমার দত্ত বাচ্চু, লেখক ইয়াকুব আলী, চাকরিজীবী মহিউদ্দীন আহমেদ বিশ্বাস, শিক্ষক মো. আব্দুস সালাম টিপু, আইনজীবী সুশীল কুমার রায়, সৈয়দ আমির আলী, ইমাম মাওলানা হাবিবুর রহমান; সিরাজগঞ্জের ডা. প্রকাশ প্রামাণিক মিন্টু, শিক্ষক জয়নাল আবেদীন, শাহেদ আলী, মহাদেব চন্দ্র সাহা, নূরুল ইসলাম, ননীগোপাল বসাক, গোলাম মোস্তফা, চিত্রশিল্পী গোবিন্দ চন্দ্র দাস, ইঞ্জিনিয়ার আহসান-উল-হাবীব, শিক্ষক আব্দুল হামিদ, আবেদ আলী, সংস্কৃতিকর্মী ওয়ালিউর রহমান পারু, শিক্ষক ইয়ার মোহাম্মদ; পাবনার বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, রাজনীতিক আব্দুর রহমান খান কাশেম, ভাষাসংগ্রামী আব্দুর রহিম, ইমাম ও সমাজসেবী মাওলানা আব্দুল আজিজ, শিক্ষক আব্দুল গফুর বিশ্বাস, সংস্কৃতিকর্মী আব্দুল জব্বার, চিত্রশিল্পী আব্দুল লতিফ খান, রাজনীতিক আব্দুল হামিদ, রাজনীতিক ও সংগঠক আহসান উদ্দিন মানিক, দিনাজপুরের শিক্ষক আবুল হোসেন, শাহ মো. সোলাইমান, হোমিও চিকিৎসক আবু বক্কর আকন্দ, শিক্ষক আছাব উদ্দীন সরকার, মফিজ উদ্দীন সরকার, সংগীতশিল্পী আমিরুল হুদা জিন্না, শিক্ষক আব্দুল খালেক, নেত্রকোনার শিক্ষক কামিনী কুমার চক্রবর্তী, নওগাঁর আইয়ুব হোসেন, প্রকৌশলী প্রশান্ত পাল, শিক্ষক খাজা আব্দুস ছাত্তার, জয়নাল আবেদিন, কুমিল্লার মাওলানা আবদুল লতিফ, বরিশালের ইমাম ও স্কুলশিক্ষক মুনশি আলী আজিম খান, কিশোরগঞ্জের শিক্ষক আব্দুল আজিজ ভূঁইয়া, মহিউদ্দিন আহমেদ, নীরদ রঞ্জন গিরী, সংগীতশিল্পী ভূপতিনাথ চক্রবর্তী চৌধুরী, ময়মনসিংহের ইমাম ও শিক্ষক মাওলানা ছফির উদ্দিন মুনশী, নীলফামারীর অভিনেতা নূর মোহাম্মদ, মুন্সীগঞ্জের ডা. সুরেন্দ্র চন্দ্র সাহা, সিলেটের পুরোহিত স্বামী পরমানন্দ গিরী, ইমাম ও শিক্ষক মাওলানা মকদ্দস আলী, ইতালির নাগরিক ফাদার মারিও ভেরোনেসি, গোপালগঞ্জের শিক্ষক মাওলানা হাবিবুর রহমান ও চট্টগ্রামের শিক্ষক সুমতি রঞ্জন বড়ুয়া।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান ঝলককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সলিমাবাদ মধ্যপাড়া মসজিদের সামনে তাকে হত্যা করা হয়।

জানা যায়, উপজেলার সলিমাবাদ ইউনিয়নের সলিমাবাদ মধ্যপাড়া এলাকার ছামিনুর রহমানের ছেলে ঝলক।

নাগরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, ঝলক তারাবির নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বের হয়ে বাড়ি যাচ্ছিলেন। এসময় মাঠের কাছে ফাঁকা একটি জায়গায় আসলে পূর্ব থেকেই ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে যায়। পরে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নাগরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজিম হোসেন রতন বলেন, ঝলক উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। এই হত্যার তীব্র নিন্দা জানাই। দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই প্রশাসনের কাছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

তানজিদ শাহ জালাল ইমন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) এক ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃত ব্যক্তির নাম দেবশ্রী রায়। কক্ষের দরজা ভেঙে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছে। দেবশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী ছিলেন।

বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন৷গত রবিবার (১৭ মার্চ) বিকেলে দেবশ্রীর স্বামীর কর্মস্থলের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়।তার স্বামী বরগুনার গার্লস স্কুলের সহকারী শিক্ষক কঙ্কন রয়।

বরগুনা থানা সূত্রে জানা যায়, দেবশ্রী রায় তার স্বামীর সাথে বরগুনার সদরে থাকতেন। সেখানে কক্ষে ঝুলে থাকা অবস্থায় পুলিশ দেবশ্রীকে উদ্ধার করে।প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, সে আত্মহত্যা করেছে।দেবশ্রীর মৃত্যুতে একটি অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট বোঝা যাবে বলে জানানো হয়।মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা বরগুনা থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল বারেক। দেবশ্রীর গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার তালা উপজেলায়।শশুরবাড়ি খুলনায়।তার স্বামীর চাকরি সূত্রে তিনি বরগুনায় থাকতেন।

নামপ্রকাশ না করার শর্তে তার এক সহপাঠী জানান, দেবশ্রী ছিলো শান্তশিষ্ট। আসলে কি কারণে আত্মহত্যা করল তা জানা নেই।তবে পুলিশ তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসল ঘটনা কি।

ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, তার বাবার সঙ্গে কথা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর তার লাশ গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ সম্পর্কে তার ক্লাস প্রতিনিধি আমাকে জানিয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

পথশিশুদের স্বাভাবিক জীবন-যাপন নিশ্চিতে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি। সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পথশিশুদের পরিস্থিতি বিষয়ক গবেষণাপত্রের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, যারা পথে থাকে তাদের নিরাপত্তার ঝুঁকি রয়েছে। তদের অসহায়ত্ব অনেক বেশি। তারা নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়, অনেক রকমের নির্যাতনেরও শিকার হয়।

রাতের অন্ধকারে খুবই অনিরাপদ একটা অবস্থার মধ্যে থাকে। আর যারা রাতে পরিবারের কাছে ফিরে, এদেরও থাকে নানা সমস্যা। নানা কারণে পথশিশু হয়। পরিবার ভেঙে যাওয়া, অতিদারিদ্র্য ও নানাবিধ সমস্যার কারণে শিশুরা পথে থাকে।

মন্ত্রী পথশিশুদের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব দেওয়ার বিষয়ে আলোকপাত করতে গিয়ে বলেন, পথ চলতি মানুষ কীভাবে তাদের সঙ্গে আচরণ করে তার প্রভাব তাদের ওপরে পড়ে। আমাদের প্রত্যেককে তাদের প্রতি সিমপ্যাথি দেখাতে হবে।

আমরা কতজন এ শিশুদের একবার ভালো করে দেখি? আমরা হয়তো জীবন বদলে ফেলতে পারবো না, কিন্তু যে কয়েক সেকেন্ডের জন্য তাদের সাথে আমাদের একটা যোগাযোগ ঘটলো, সেই কয়েকটা সেকেন্ডে তাদের প্রতি যদি আমাদের সহমর্মিতা থাকে, তার প্রতি আচরণে, আমাদের কথায় তার জীবনে একটা পরিবর্তন এনে দিতে পারে।

তিনি বলেন, আমরা যদি এই বাচ্চাগুলোকে স্বপ্ন দেখাতে পারি, তাহলে তারা স্বপ্নের দিকে নিজেদের নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। যদি তাদের প্রতি আচরণটাই সেই রকম ইতিবাচক না হয়, তাহলে কিন্তু তারা স্বপ্ন দেখতে সক্ষম হবে না।

মন্ত্রী সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও পথশিশুদের সমাজের মূলধারায় আনতে কাজ করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে পথশিশুদের আশ্রয়, শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনে অনেক কাজ চলমান রয়েছে।

তারপরও এ গবেষণায় তাদের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে আরও পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেলো যা ভবিষ্যতে নীতি নির্ধারণী বিষয়ে কাজ করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হেসেন (রিমি) বলেন, এ গবেষণা ভবিষ্যতে পথশিশুদের জন্য কাজ করতে সহায়তা করবে। শিশুদের জন্য একটি সহনশীল সমাজ করতে হবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৮/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

ঢাকা: পবিত্র রমজান উপলক্ষে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক, খিলক্ষেত ও কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য মাসব্যাপী ইফতারের ব্যবস্থা করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপ।

এই উদ্যোগের ফলে এসব এলাকার ৩৫টি মাদরাসার সাড়ে সাত হাজারের বেশি শিক্ষক-শিক্ষার্থী প্রতিদিন তৃপ্তিসহকারে ইফতারের সুযোগ পাচ্ছেন।

এতে সন্তোষ জানিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তারা।
সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে আসরের নামাজের আগ মুহূর্তে রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড এলাকার শাইখ যাকারিয়া ইসলামিয়া রিসার্চ সেন্টার গিয়ে দেখা যায়, সেখানে বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে ২০০ জনের জন্য পাঠানো ইফতার মাদরাসায় এসে পৌঁছেছে।

যেখানে ছিল ইফতারের অতি পরিচিত পদ ছোলা ভুনা, পিঁয়াজু, বেগুনি, আলুর চপ, জিলাপি, নানা রকমের ফলসহ বাহারি বিভিন্ন পদ। এই ইফতার পেয়ে শিক্ষার্থীরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন।

শাইখ যাকারিয়া ইসলামি রিসার্চ সেন্টারের শিক্ষা পরিচালক মুফতি শরীফ মালিক বলেন, এই মাদরাসায় ৩৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী আছেন, আর শিক্ষক আছেন ২৪ জনের মতো। রমজান উপলক্ষে কিছু শিক্ষার্থী ছুটিতে। কুড়িল ও কাউলার দুই ক্যাম্পাস মিলিয়ে বর্তমানে ২৫০ জনের মতো শিক্ষার্থী আছেন। যাদের জন্য বসুন্ধরা গ্রুপ খাবারের ব্যবস্থা করেছে। এতে আলহামদুলিল্লাহ সবার খুব ভালোভাবেই হয়ে যায়।

মাদরাসার আবাসন সচিব মুফতি বেলাল আহমেদ  বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ আমাদের জন্য যে খাবার পাঠায় তা আলহামদুলিল্লাহ সবার ভালো মতো হয়ে যায়। ।

জানা গেছে, বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে চলতি রমজানে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় দৈনিক ১৮ থেকে ২০ হাজার মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে।

রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসা, নূরের চালার মাদানিয়া নূরিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা, বাড্ডার স্বাধীনতা সরণির দারুল ফুরকান মাদরাসা, খিলক্ষেত এলাকার কুড়িল চৌরাস্তার মাদরাসাতুস সুন্নাহ, কুড়িল জোয়ারসাহারা মহিলা মাদরাসা, খিলক্ষেতের ইসাতুস সুন্নাহ মাদরাসা, মারকাজুল কুরআন ইসলামিয়া মাদরাসা খিলক্ষেত, জামিয়া ইসলামিয়া আবাবিয়া খিলক্ষেত বাজার, হাজি আবদুল মালেক মাদরাসা খিলক্ষেত, জামিয়া আশরাফিয়া বায়তুল কুরআন খিলক্ষেত, জামিয়া কাশেমুল উলুম মাদরাসা কাওলা, দারুল উলুম দর্জিপাড়া মাদরাসা বোট ঘাট, জান্নাতুল বানাত মহিলা মাদরাসা খিলক্ষেত, এমদাদিয়া নূরানিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা খিলক্ষেত, তাজিবুল বানাত আদর্শ বালিকা মাদরাসা খিলক্ষেত, বাইতুল উলুম ইসলামিয়া মাদরাসা নামাপাড়া, এসলাহুল উম্মাহ মাদরাসা বটতলা খিলক্ষেত, আবদুল আজিজ রুস্তম আলী নূরানি হাফিজিয়া মাদরাসা, রুস্তম আলী ওবাইয়দিয়া হাফিজিয়া মাদরাসা খিলক্ষেত, এহদাউল উম্মাহ মাদিনাতুল উলুম মাদরাসা, আশকোনা সুন্নিয়া মাদরাসা, শায়খ যাকারিয়া ইসলামিয়া রিসার্চ সেন্টার কুড়িল, বসুন্ধরার মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ, মাদরাসা মদিনাতুল উলুম, মাদরাসা দারুস সুন্নাহ, হাজি কোমর উদ্দীন মাদরাসা, মাদরাসা সওতুল কুরআন, তালিমুল কুরআন মাদরাসা, শামসুল উলুম মাদরাসা, দারুল এহসান হাফিজুল কুরআন মাদরাসা মিরপুর, আলহাজ আবদুল মালেক মাদরাসা খিলক্ষেতসহ মানিকগঞ্জ, রংপুর, কেরাণীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় এবং ছিন্নমূল মানুষের মাঝে মাসব্যাপী ইফতার বিতরণ করা হচ্ছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৮/০৩/২০২৪

যশোরঃ জেলায় অবস্থিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধেকেই প্রধান শিক্ষক নেই। সেসব বিদ্যালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন সহকারী শিক্ষকরা। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বাড়তি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সহকারী শিক্ষকরা সঠিকভাবে পাঠদান করতে পারছেন না।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস মতে, যশোরের আটটি উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের মোট পদ রয়েছে এক হাজার ২৮৯টি। এরমধ্যে পূর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক রয়েছেন ৬৮৬ জন। চলতি দায়িত্বের প্রধান শিক্ষক ৩৩২ জন। এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ২৭১ জন। অভয়নগরে প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে ১১৭টি। কর্মরত রয়েছেন ৫৭ জন। চলতি দায়িত্বের প্রধান শিক্ষক রয়েছেন ২৯ জন। আর ৩১ জন ভারপ্রাপ্ত। কেশবপুরে প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে ১৫৮টি। কর্মরত রয়েছেন ৯৯ জন। চলতি দায়িত্বে রয়েছেন ৪২ জন। আর ১৭ জন রয়েছেন ভারপ্রাপ্ত। চৌগাছায় প্রধান শিক্ষকের পদ ১৩৯টি। কর্মরত রয়েছেন ৭৩ জন। চলতি দায়িত্বে ৩২ জন। আর ৩৪ জন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। ঝিকরগাছায় প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে ১৩১ টি। কর্মরত রয়েছেন ৬৯ জন। ৩১ জন চলতি দায়িত্বের প্রধান শিক্ষক। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন ৩১ জন। বাঘারপাড়ায় প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে ১০২ টি। কর্মরত রয়েছেন ৫০ জন। চলতি দায়িত্বের প্রধান শিক্ষক ৩২ জন। ২০ জন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। মণিরামপুরে প্রধান শিক্ষকের মোট পদসংখ্যা ২৬৭। কর্মরত রয়েছেন ১২৯ জন। চলতি দায়িত্বের প্রধান শিক্ষক ৭৭ জন। ৬১ জন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। শার্শায় প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে ১২৫টি। ৫৮ জন কর্মরত রয়েছেন। চলতি দায়িত্বের প্রধান শিক্ষক রয়েছেন ৩৫ জন। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাজ করছেন ৩২ জন। এবং সদর উপজেলায় প্রধান শিক্ষকের পদ রয়েছে ২৫০টি। কর্মরত রয়েছেন ১৫১ জন। চলতি দায়িত্বে রয়েছেন ৫৪ জন। আর ৪৫ জন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দায়িত্ব পালন করছেন।

যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সদরের দত্তপাড়া সরকারি প্রাইমারি বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর জব্বার জানান, যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই সেখানে বাধ্যতামূলক একজন সহকারী শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। এজন্য তিনি বাড়তি শ্রম দেন। তাকে বিভিন্ন কাজে উপজেলা সদরেও যেতে হয়। আবার নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করাতে হয়। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শ্রেণিকক্ষে আগের মতো সময় দিতে পারেন না।

এদিকে কয়েকজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, যারা চলতি দায়িত্ব ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন তাদের বেশিরভাগ কাজের প্রতি আন্তরিক না। তাদের একটাই চিন্তা-পূর্ণাঙ্গ প্রধান শিক্ষক আসলে তাদেরতো চেয়ার ছেড়ে দিতে হবে। তাহলে খামাখা কেন বেশি কাজ করতে যাবেন! ফলে, সহকারী শিক্ষকরা ইচ্ছেমতো চলাফেরা করেন। আবার সহকারী শিক্ষকদের কোনোকিছু বলতে গেলে অনেকেই তা আমলে নিতে চান না। তাদের মানসিকতা, সবাইতো সহকারী শিক্ষক! তাহলে কেন চলতি দায়িত্ব কিংবা ভারপ্রাপ্তের কথায় তারা চলতে যাবেন।

আবার অনেক ক্ষেত্রে চলতি দায়িত্ব কিংবা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েই অনেকেই সহকারী শিক্ষকদের ওপর ইচ্ছেমতো ছড়ি ঘোরানোর চেষ্টা করেন। আর তখনই বাধে বিপত্তি। অনেক সহকারী শিক্ষক এই ছড়ি ঘোরানো পছন্দ করেন না।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসমাইল হোসেন বলেন, একজন প্রধান শিক্ষক যেভাবে স্কুল চালাতেন ভারপ্রাপ্তরা সেভাবে চালাতে পারেন না। প্রধান শিক্ষক না থাকায় পাঠদানে কিছুটা বিঘ্ন হওয়াটা স্বাভাবিক। কারণ ভারপ্রাপ্তদের অতিরিক্ত করতে হচ্ছে। ফলে, তারা অনেক কাজই ঠিকমতো করতে পারছেন না। স্কুলের জন্য প্রধান শিক্ষক খুবই জরুরি।

যশোর জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল হান্নান বলেন, প্রতি বছরই অনেক প্রধান শিক্ষক অবসরে যান। কিন্তু প্রতি বছর তো প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় না। এজন্য পদ শূন্য থেকেই যায়। তবে শূন্য পদ পূরণে চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৮/০৩/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram