মঙ্গলবার, ১৯শে মার্চ ২০২৪

রাজশাহীঃ রাজশাহীতে এ বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৯৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা পর্যন্ত ফিতরা দেওয়া যাবে। আজ মঙ্গলবার রাজশাহী জামেয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম (রহঃ) মাদ্রাসায় ওলামায়ে কেরামদের বৈঠকে এই ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

জেলা ফিতরা নির্ধারণ কমিটির সভাপতি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মাওলানা শেখ তৈয়বুর রহমান নিজামী সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন মাদ্রাসা, মসজিদের অর্ধশতাধিক ইমাম, মুফতি, মুহাদ্দিস ও ওলামায়ে কেরামরা।

বৈঠকে দ্রব্যমূল্যের হালনাগাদ বাজার দর পর্যালোচনা করে রাজশাহী অঞ্চলের জন্য ফিতরা নির্ধারণ করা হয় সর্বনিম্ন ৯৫ টাকা ও সর্বোচ্চ ২ হাজার ৬৪০ টাকা।

বাজার সরেজমিন পরিদর্শন করে গমের আটা ৫৭ টাকা কেজি দরে ১.৬৫০ গ্রাম হিসাবে ৯৪.০৫ বা ৯৫ টাকা, যব ৭০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ২৩১ টাকা, মধ্যম মানের খেজুর ৬০০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ১ হাজার ৯৮০ টাকা, কিশমিশ ৫৪০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসেবে ১ হাজার ৭৮২ টাকা, পনির ৮০০ টাকা কেজি দরে ৩.৩০০ গ্রাম হিসাবে ২ হাজর ৬৪০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়।

এ ছাড়া চলতি বছর রমজানে জাকাতের নেসাব নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা করা হয়। শেষে পুরোনো রুপার প্রতি ভরি ১ হাজার ২০০ টাকা দরে জাকাতের নেসাব নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৩ হাজার টাকা (৫২.৫০ ভরি)। বৈঠকে সর্বনিম্ন হারে ফিতরা না দিয়ে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এসব পণ্যের যে কোনো একটির মূল্য দ্বারা সাদাকাতুল ফিতর আদায় করার আহ্বান জানানো হয়।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

ঢাকাঃ দেশের বাজারে রেকর্ড দাম হওয়ার পর কমেছে সোনার দাম। সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম ১ হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ফলে ভালো মানের এক ভরি সোনা কিনতে লাগবে ১ লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা। তবে সোনার গয়না কিনতে এর চেয়ে বেশি অর্থ গুনতে হবে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) মঙ্গলবার এই তথ্য জানিয়েছে। স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম কমার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম কমানো হয়েছে। আগামীকাল বুধবার থেকে এই দাম কার্যকর হবে।

নতুন মূল্য অনুযায়ী, সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৭৫০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১১ হাজার ১৫৮ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৬৩৩ টাকা কমিয়ে এক লাখ ৬ হাজার ১৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ৪০০ টাকা কমিয়ে ৯০ হাজার ৯৭৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ১৬৬ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ হাজার ৮১৬ টাকা।

অবশ্য সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের এর থেকে বেশি অর্থ গুনতে হবে। কারণ বাজুস নির্ধারণ করা দামের ওপর ৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করে সোনার গয়না বিক্রি করা হয়। একই সঙ্গে ভরি প্রতি মজুরি ধরা হয় ন্যূনতম ৩ হাজার ৪৯৯ টাকা। ফলে আগামীকাল থেকে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার গয়না কিনতে ক্রেতাদের এক লাখ ২০ হাজার ২১৫ টাকা গুনতে হবে।

মঙ্গলবার বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠক করে দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা বুধবার (২০ মার্চ) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৭ মার্চ ভালো মানের এক ভরি সোনার দাম এক লাখ ১২ হাজার ৯০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়। ১৩ দিন রেকর্ড দামে বিক্রির পর এখন সোনার দাম কিছুটা হলেও কমল।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

শিক্ষাবার্তা ডেস্ক, ঢাকাঃ রহমত, মাগফেরাত এবং নাজাতের মাস হলো পবিত্র রমজান। সংযম ও সহনশীলতা অনুশীলনের জন্য আল্লাহ আমাদের রোজা ফরজ করেছেন। রমজানের রোজা সম্পর্কে আমাদের মধ্যে কিছু ভুল ধারণা রয়েছে। এই ভুলধারণাগুলো সংশোধন করে নিতে বলেছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ।

রোজা সম্পর্কিত ২০টি ভুল হচ্ছে-

১. রমজানের চাঁদ না দেখা।
২. রোজার জন্য শুধু খাবার মজুদ করা।
৩. বাচ্চাদের রোজা রাখতে না দেয়া।
৪. মুখের নিয়তকে জরুরি মনে করা।
৫.রোজা রেখেও পাপ কাজ করা।
৬.মিসওয়াক করাকে দোষের মনে করা।
৭.সাহরি বেশি দ্রুত বা বেশি দেরি করে করে খাওয়া।
৮.গোসল ফরজ হলে সাহরি খাওয়াকে দোষের মনে করা।
৯.সাহরি না খেলে রোজা হয় না মনে করা।
১০.সাহরিতে খেজুর না খাওয়া।

১১.সাহরিতে দোয়া না করা।
১২.থুথু গিললে রোজা ভেঙে গেছে মনে করা।
১৩.ফজর পড়ে ঘুমানো।
১৪.মাগরিবের আজানের জবাব না দেয়া।
১৫.তারাবীর নামাজে তাড়াহুড়ো ও চার রাকাত পর পর দোয়াকে জরুরি মনে করা।
১৬.রোজা রেখে সময় অপচয় করা।
১৭.ইফতারদাতার জন্য দোয়া না করা।
১৮.ইতেকাফ না করা।
১৯.রোজার শেষ দিন কেনাকাটায় বেশি ব্যস্ত হওয়া।
২০.ফিতরা সময়মতো আদায় না করা।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

জামালপুরঃ জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলায় অন্তত তিন ডজন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে দাপ্তরিক কাজ চালানো হচ্ছে। এমনিতেই এসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকসংকট। এর মধ্যে একজন সহকারী শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়ায় এই সংকট আরও তীব্র হয়েছে। এতে পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। প্রশাসনিক কাজেও বাড়ছে জটিলতা।

উপজেলা শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় ১১১টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টি বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নেই। এসব বিদ্যালয়ের বেশির ভাগেই তিনজন করে শিক্ষক রয়েছেন। সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়ে ওইসব বিদ্যালয় চালানো হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে প্রায়ই নানা দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। ফলে মাত্র দুজন সহকারী শিক্ষক দিয়েই পাঠদান কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে বা ছুটিতে থাকলে সেদিনের পাঠদান প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।

এ ছাড়া সহকারী শিক্ষকদের মধ্যে একজনকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক করায় তাঁর সহকর্মীরা তাঁকে মানতে চান না। অনেক ক্ষেত্রে দ্বন্দ্বেরও সৃষ্টি হচ্ছে।

মদনের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘প্রায় ১৬ বছর যাবৎ এখানে প্রধান শিক্ষক নেই। চারজন শিক্ষক দিয়ে চলছে। মাসে অন্তত ১০ কর্মদিবস উপজেলা শিক্ষা কার্যালয়ে অথবা কোনো সভায় যোগ দিতে আমাকে উপজেলা সদরে যেতে হয়। তখন তিনজন শিক্ষক দিয়েই প্রাক্প্রাথমিকসহ ছয়টি শ্রেণির শিক্ষার্থীর পাঠদান কার্যক্রম চালানো হয়। এতে শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে পড়ানো যায় না। একই সঙ্গে দাপ্তরিক কাজেও সমস্যা হচ্ছে।’

একই অবস্থা সুবাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক নেই ২০১১ সাল থেকে। ১৪০ শিক্ষার্থীর এই বিদ্যালয়টিতে আমিসহ তিনজন শিক্ষক রয়েছি। আমাকে মাসে ৮ থেকে ৯ দিন দাপ্তরিক কাজের জন্য উপজেলা সদরে যেতে হয়। অপর দুজন শিক্ষককে সবগুলো ক্লাস নিতে হয়। এতে ঠিকমতো ক্লাস নেওয়া যায় না এবং শিক্ষার মান দুর্বল হচ্ছে। বিষয়গুলো শিক্ষা কর্মকর্তাকে বারবার জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না।’

সাজিমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরে চলছে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে। ওই বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মিজান মিয়া বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চলছে। সহকারী শিক্ষকও নেই পর্যাপ্ত। এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

সুবাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক নাজমা বেগম বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাঝেমধ্যে অফিশিয়াল কাজে উপজেলা সদরে যান। এ সময় এক শিক্ষককে অনেকগুলো ক্লাস নিতে হয়। এতে ঠিকমতো হচ্ছে না লেখাপড়া।’

বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির বকশীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও পলাশতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খন্দকার মো. আতাবুজ্জামান হেলাল বলেন, শিক্ষকসংকটের কারণেই মূলত সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ কারণে শিক্ষার গুণগত মানের উন্নতি করা সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে বকশীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ৩৬টি বিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক দিয়ে চালানো হচ্ছে। নানা জটিলতার কারণে পদোন্নতি কার্যক্রম বন্ধ থাকায় সমস্যাটি প্রকট আকার ধারণ করেছে। যেসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে, তাঁদের একটি তালিকা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষকসংকট নিরসনে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে অবহিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুর রউফ তালুকদার।

এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অহনা জিন্নাত বলেন, বেশ কিছু সহকারী শিক্ষককে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ অথবা পদোন্নতি হলেই বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে। এটা সময় সাপেক্ষ।

সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘শিক্ষক সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা রাখি, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছেন।’

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাঃ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে নিয়োগের তৃতীয় ধাপের (ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে লিখিত- এমসিকিউ) পরীক্ষার প্রবেশপত্র ছাড়া হবে ২৩ মার্চ। ওইদিন থেকেই প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সোমবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রার্থীরা আবেদনের সময় যে মোবাইল ফোন নম্বর দিয়েছেন, সেই নম্বরে টেলিটক নম্বর (০১৫৫২-১৪৬০৫৬) থেকে প্রবেশপত্র ডাউনলোডের খুদেবার্তা পাঠানো হবে।

পরীক্ষার্থীরা এই ওয়েবসাইট থেকে ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে অথবা এসএসসি পরীক্ষার রোল, বোর্ড ও পাসের সন দিয়ে লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য প্রার্থীদের অবশ্যই ডাউনলোড করা। প্রবেশপত্রের রঙিন প্রিন্ট এবং নিজের জাতীয় পরিচয়পত্র সঙ্গে আনতে হবে। পরীক্ষাসংক্রান্ত অন্যান্য তথ্য প্রবেশপত্রে পাওয়া যাবে।

সহকারী শিক্ষক নিয়োগের তৃতীয় ধাপের ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের আওতাধীন জেলাগুলোতে লিখিত পরীক্ষা আগামী ২৯ মার্চ (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত জেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ কার্যক্রম নিয়োগ বিধি বিধান অনুসরণ করে সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করা হয়। প্রার্থীদের রোল নম্বর, আসন বিন্যাস, প্রশ্নপত্র প্রেরণ ও মুদ্রণ, উত্তরপত্র মূল্যায়ন, ফলাফল প্রস্তুতসহ যাবতীয় কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে করা হয়।

এ ছাড়া জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং গোয়েন্দা তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবৈধ হস্তক্ষেপের সুযোগ নেই। এমতাবস্থায়, দালাল বা প্রতারক চক্রের প্রলোভনে প্রলুব্ধ হয়ে কোনো প্রকার অর্থ লেনদেন না করা এবং ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোনো প্রকার অসদুপায় অবলম্বনের জন্য কোনো দালালচক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ত না হতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করা হয়েছে। অর্থ লেনদেন বা অন্য কোনো অনৈতিক উপায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ পাওয়ার সুযোগ নেই। সম্পূর্ণ মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চাকরি হবে। কেউ অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখালে তাঁকে নিকটস্থ থানায় সোপর্দ করা অথবা থানা বা গোয়েন্দা সংস্থাকে জানাতে বলা হয়েছে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

ভোলাঃ জেলার সদর উপজেলার পশ্চিম চরপাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একে একে অন্তত ৩৫ শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। চিকিৎসকেরা বলছেন, শিশুরা গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে এ ঘটনা ঘটে। এতে তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারও মাথাব্যথা, কারও শরীর কাঁপা, কারও দুর্বলতা, কারও দাঁতে দাঁত লেগে যাওয়ার মতো অসুস্থতা দেখা গেছে। ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবু সাইয়েদ জানান, বেলা ১১টার দিকে ক্লাস চলাকালীন সময়ে হঠাৎ করে জাহিদ নামের এক শিক্ষার্থী মাথাব্যথা নিয়ে ক্লাসে ঘুরে পড়ে। এরপর থেকে একের পর এক শিক্ষার্থী ক্লাসে ঘুরে পড়লে স্থানীয়রা ও শিক্ষকরা একত্রিত হয়ে তাদের উদ্ধার করে ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। বর্তমানে সেখানে অন্তত ৩৫ জন শিক্ষার্থী ভর্তি আছে।

পশ্চিম চরপাতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলাম জানান, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত সকল শ্রেণির শিক্ষার্থীরাই অজানা এই রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন। এ ঘটনায় তিন দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।

এদিকে, এ ঘটনায় অসুস্থ হওয়া শিক্ষার্থীদের স্বজনরা হাসপাতালে গিয়ে ভিড় করছেন। কেউ কেউ সন্তানের এমন অসুস্থতা দেখে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।

ভোলার সিভিল সার্জন ডা. একেএম শফিকুজ্জামান জানান, ধারণা করা হচ্ছে শিশুরা গণমনস্তাত্ত্বিক রোগে আক্রান্ত হতে পারে। সাধারণত মানসিক ও আবহাওয়া থেকে এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তিনি আরও জানান, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের কাউন্সেলিং করছে চিকিৎসকেরা।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বেতন বৃদ্ধির দাবিতে কোষাধ্যক্ষের কার্যালয় ঘেরাও করেছে দিনমজুর ভিত্তিক অস্থায়ী কর্মচারীরা।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা ১১টা থেকে তারা অন্তত তিন ঘণ্টা সেখানে অবস্থান করেন। পরে তাদের প্রতিনিধিরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

উপাচার্য আসন্ন সিন্ডিকেটের পরবর্তী সিন্ডিকেটে এ বিষয়টি উত্থাপন করার আশ্বাস দিলে আন্দোলন স্থগিত করেন কর্মচারীরা। তবে তাদের দাবি আদায় না হলে আগামী ঈদের পর তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন তারা।

আন্দোলনরত কর্মচারীদের দাবি, ২০২০ সালের অক্টোবরে সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় ন্যূনতম ৫০০ টাকা মজুরি নির্ধারণ করে দেয়। তবে সেই নিয়মকে তোয়াক্কা না করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদেরকে নামমাত্র বেতন দিচ্ছে। বিধিতে উল্লেখিত জেলা ও উপজেলা এলাকায় শ্রমিকদের ধরন অনুযায়ী, সর্বনিম্ন ৫০০ থেকে ৫৫০ টাকা পর্যন্ত বেতন নির্ধারিত থাকলেও কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে ১৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে দৈনিক ৫০০ ও তার বেশি টাকা দেওয়া হয়।

কর্মচারীরা বলেন, বিগত প্রশাসন আমাদের ৪০ শতাংশ বেতন বাড়ালেও তা সরকারি কাঠামোর চেয়ে অনেক কম। আমরা এখানে ১০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত কাজ করছি। এতে আমাদের যে টাকা দেয় তাতে সংসার চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এতো কম টাকায় কাজ করার কোনো নজির নেই। আমাদের এতদিন আশ্বাস দিয়ে থামিয়ে রাখা হয়েছে। আমাদের দাবি সরকারী কাঠামো অনুযায়ী, আমাদের বেতন দেওয়া হোক।

অস্থায়ী কর্মচারী মো. বাদশাহ মিয়া বলেন, আমরা অস্থায়ী কর্মচারী আছি ৬২ জন। প্রায় ৩০০ স্থায়ী কর্মচারী রিটায়ার্ড নিয়েছে যাদের কাজ এখন আমরা করি। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের একটাই দাবি, আমাদের বেতন বৃদ্ধি করুন। অন্যথায় ঈদের পর আমরা লাগাতার আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবো।

এদিকে থোক ভিত্তিতে নিয়োজিতদের মাসিক টাকা প্রদানের ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করতে গত বছরের ৪ এপ্রিল কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূঁইয়াকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যদের কমিটি করেন উপাচার্য। তবে এ কমিটি প্রায় এক বছর পরেও এখনো কোনো প্রতিবেদন জমা দেয়নি বলে জানা গেছে।

তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান বলেন, ছয় মাস আগে দুইটি মিটিং হয়েছিল। সেখানে তাদের ক্যাটাগরি অনুযায়ী, বেতন দেওয়া হবে বলে নির্ধারণ করা হয়েছিল। এটা একপ্রকার চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকেই ছিল। পরে আর বিষয়টি আর আগায়নি। তবে আহ্বায়ক আবার ডাকলে আমরা বসবো।

এ বিষয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আলমগীর হোসেন ভূইয়া বলেন, এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো বিষয় না। স্ব স্ব দপ্তর তাদের দেখে। তারপরও কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ভেবে দেখবে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

ঢাকাঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ছাত্রী ফাইরুজ অবন্তিকাকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার মামলায় এক দিনের রিমান্ড শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক দ্বীন ইসলামকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে রিমান্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন কুমিল্লা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. আবু বকর সিদ্দিক। বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মজিবুর রহমান বলেন, ‘অপর আসামি আম্মান সিদ্দিকের দুই দিনের রিমান্ড কাল শেষ হবে।’

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শিবেন বিশ্বাস জানান, রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে দ্বীন ইসলাম বেশকিছু তথ্য দিয়েছেন। প্রাপ্ত তথ্য যাচাই করতে হবে। প্রয়োজনে পুলিশ আরও রিমান্ডের আবেদন করতে পারে।’

এর আগে গতকাল সোমবার কুমিল্লা কোতোয়ালি থানা পুলিশ আদালতে দ্বীন ইসলামের দুই দিন রিমান্ড চায়। তখন কুমিল্লা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিক তার একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এ মামলায় অবন্তিকার সহপাঠী রায়হান সিদ্দিকী আম্মান দুই দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। তাকে আগামীকাল বুধবার আদালতে তোলা হবে। সাত দিনের মধ্যে পুলিশকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস ২০২৪ উপলক্ষে এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের স্থায়ী ক্যাম্পাসে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এর আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য প্রফেসর ড. আবুল হাসান মুহাম্মদ সাদেক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, শিশু বঙ্গবন্ধু আজকের শিশুদের জন্য অনুসরনীয়। শিশুরা বঙ্গবন্ধুর আত¦জীবনী পড়বে, তা থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে স্বাধীনচেতা হিসেবে গড়ে তুলবে। তিনি আরো বলেন, আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলার রুপান্তর। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সেই পথেই হাটছেন।

এ সময় অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এইউবি ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: নূরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে, বাংলাদেশ নামক দেশটির জন্ম হতো না। জাতির জনকের জীবনটাই ছিল সংগ্রাম আর সাধনার। তিনি সাধনা করেছিলেন বলেই আজ পুরো জাতি তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে। আগামীতেও স্মরণ করবে।

অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন এইউবি উপাচার্য ইমেরিটাস প্রফেসর ড. শাহজাহান খান। তিনি বিশ্বের সকল শিশুদের মানবাধিকার প্রদানে বিশ্ববাসীকে আহবান করেন, তিনি বলেন, আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশুদিবস। বঙ্গবন্ধু যেমন মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেছেন, তেমনি আমাদেরকেও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে হবে।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সকল অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনায় ছিলেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মুকতাশা দিনা চৌধুরী

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

চকচকে রৌদ্রজ্জ্বল ভাবেই শুরু হয়েছিল দিন। সময় গড়ানোর সাথে সাথে বাড়ছিল তাপ। গত কয়েকদিন থেকেই গরমের তীব্রতা যেন পাল্লা দিয়েই বাড়ছিল। রমজান মাসে এমন গরমের তীব্রতায় হাসফাস করছিলেন রোজাদাররা। গরমে যখন নগরবাসীর হাপিত্যেশ অবস্থা, ঠিক তখনই শীতল পরশ নিয়ে এলো বৃষ্টি। রোজাদাররা বলছেন রহমতের বৃষ্টি।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরের দিকে আকাশে মেঘ জমতে থাকে। ধীরে ধীরে তা গাড়ো হয়ে চারদিক অন্ধকার হয়ে আসে। পৌনে তিনটার দিকে শুরু হয় মুষলধারে বৃষ্টি।

পূর্বাভাসে বলা হয়, মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এ অবস্থায় মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষার্থীর পেছনে বার্ষিক সর্বোচ্চ ব্যয় করে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’র। এরপরের অবস্থানেই রয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের। আর শিক্ষার্থীদের পেছনে সর্বনিম্ন ব্যয় করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন সূত্রে এসব জানা গেছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী প্রতি বার্ষিক মাথাপিছু ব্যয় ৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’র শিক্ষার্থীদের পেছনে ব্যয় করা হয় ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৫ টাকা। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাথাপিছু পেয়ে থাকেন ৩ লাখ ৮১ হাজার টাকা। এরপরেই রয়েছে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শিক্ষার্থী প্রতি ৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বলছে, সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয় অপেক্ষা বিজ্ঞান, চিকিৎসা, প্রকৌশল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীপ্রতি ব্যয় সব সময়ই বেশি। মঞ্জুরী কমিশনের সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, ২০২২ সালে ২৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীপ্রতি মাথাপিছু ব্যয় বাড়লেও কমেছে ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের।

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ঢাকা, রাজশাহী, বাংলাদেশ কৃষি, বাংলাদেশ প্রকৌশল, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, ইসলামী, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, খুলনা, বাংলাদেশ উন্মুক্ত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শেরে বাংলা কৃষি, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, জগন্নাথ, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস, সিলেট কৃষি, বেগম রোকেয়া, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাংলাদেশ টেক্সটাইল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু ব্যয় বিগত বছরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে জাতীয়, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস্, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, রবীন্দ্র, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ, শেখ হাসিনা, খুলনা কৃষি এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু ব্যয় বিগত বছরের তুলনায় কমেছে।

বর্তমানে দেশে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫৩টি। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালু আছে ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে লেখাপড়া করছে ৪৪ লাখ ১৫ হাজার ৬৪৯ জন। এর মধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা মোট শিক্ষার্থীর ৭১ দশমিক ৭৯ শতাংশ।

অর্থাৎ উচ্চ শিক্ষায় বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে বিভিন্ন কলেজে। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রতি মাথাপিছু বার্ষিক ব্যয় ধারাবাহিকভাবে শুধুই কমছে।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি মাসে খরচ করা হয় মাত্র ৫৮ টাকা। বছর শেষে একজন শিক্ষার্থীর প্রতি ব্যয় দাঁড়ায় ৭০২ টাকা। অবকাঠামো উন্নয়ন, রক্ষণাবেক্ষন ও ল্যাবরেটরিসহ অন্য যন্ত্রপাতি কেনা ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্ষিক বাজেটে যে ব্যয় দেখানো হয় তা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থী দিয়ে ভাগ করে চিহ্নিত করা হয় শিক্ষার্থী প্রতি মাথাপিছু ব্যয়।

শিক্ষার্থীর দিক দিয়ে শুধু দেশেই নয় সারা বিশ্বে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় পঞ্চম। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিবছর ব্যয় হ্রাস শিক্ষার জন্য ভালো নয় বলে মন্তব্য করেছে খোদ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন নিজেই।

কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের চ্যানেল আইকে বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীপ্রতি বার্ষিক ব্যয় ৭০২ টাকা শিক্ষার্থীর জন্য নিশ্চিত ভাবেই অপ্রতুল। শিক্ষার মানের উন্নয়নে এই অর্থ বৃদ্ধির প্রয়োজন রয়েছে।’

তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ২ হাজার ২৫৭টি কলেজ উল্লেখ করে ড. তাহের বলেন, ‘যদি কলেজগুলোর আলদা ব্যয় হিসেব করা হয় তাহলে এই ব্যয় বাড়বে। মঞ্জুরী কমিশনের রিপোর্টে শুধুই বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যয় ধরা হয়। এখানে কলেজগুলোর বাজেট, বেতন, বরাদ্দ এগুলো দেখানো হয় না।’

উচ্চ শিক্ষাসহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পরিচালনা করে থাকে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি আঞ্চলিক কেন্দ্র, ৮০টি উপ আঞ্চলিক কেন্দ্র ও ১ হাজার ৫৫০টি স্টাডি সেন্টারে ৯৬টি আনুষ্ঠানিক এবং ৭৭টি অনানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম রয়েছে।

এই সব কর্মসূচিতে এসএসসি, এইচএসসি পর্যায়ের শিক্ষার্থীসহ মোট শিক্ষার্থী ৬ লাখ ৩৬ হাজার ৮৪৩ জন। শিক্ষার্থীপ্রতি মাথাপিছু ব্যয় ৩ হাজার ৪১৫ টাকা। যা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে কিছুটা ভালো।

মঞ্জুরী কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে শিক্ষার্থীপ্রতি ব্যয় জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় অনেক কম, ফলে এই দুইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান হ্রাস পাচ্ছে। অথচ উচ্চশিক্ষা পর্যায়ে জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী অধ্যায়নরত রয়েছে।

অতএব, জাতীয় ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মান উন্নত করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা যেতে পারে।’

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যায়ে শিক্ষার্থীপিছু ব্যয় করা হয় ৩ লাখ ১৪ হাজার ৪৭৭ টাকা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১ সালের চেয়ে ২০২২ এ শিক্ষার্থীপিছু ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় সাড়ে ১৬ হাজার টাকা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীপিছু ব্যয় ২০২১ এর তুলনায় বেড়েছে ৩৩ হাজার টাকার কিছু উপরে। ২০২২ সালে গড়ে একজন শিক্ষার্থীর জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যয় করা হয়েছে ২ লাখ ১৮ হাজার ৫৫৭ টাকা।

অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের বলেন, ‘নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেহেতু অবকাঠামো, ল্যাব এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি কেনার জন্য বেশি অর্থ ব্যয় করা হয় সে হিসেবে শিক্ষার্থীপ্রতি ব্যয় কিছুটা বাড়ে।

কখনো কখনো বড় ধরনের সংস্কার, বিনিয়োগ করার কারণে বছরের মধ্যেও শিক্ষার্থীর ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে।’ এই শিক্ষাবিদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার জন্য রাষ্ট্রের যতোটুকু বিনিয়োগ করার প্রয়োজন এবং যতোটুকু সামর্থ আছে ততোটুকুই বরাদ্দ করা হয়।’

১৯৭৩ সালে ৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার যাত্রা শুরু হয়েছিল। বর্তমানে দেশে ৫৩টি পাবলিক ও বেসরকারি ১১০টি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে।চ্যানেল আই

শিক্ষাবার্তা ডট কম/জামান/১৯/০৩/২০২৪

মুফতি রফিকুল ইসলাম আল মাদানিঃ পবিত্র রমজান মাসে রোজা পালন করা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ একটি বিধান। মুসলমানদের জন্য রমজান মাসে রোজা পালন করা ফরজ। তবে যারা অসুস্থ বা শরিয়ত সম্মত ভ্রমণে থাকবে অথবা বার্ধক্যজনিত কারণে রোজা পালনে অপারগ হবে তাদের জন্য বিভিন্নভাবে ছাড় প্রদান করা হয়েছে। দয়াময় আল্লাহতায়ালা ঘোষণা করেন, ‘হে মুমিনগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা মুত্তাকি হতে পার। রোজা নির্দিষ্ট কয়েকদিনের জন্য। অতঃপর তোমাদের মধ্যে যে অসুস্থ থাকবে অথবা সফরে থাকবে, তার পক্ষে অন্য সময়ে সেই রোজা পূরণ করে নিতে হবে। আর এটি যাদের জন্য অত্যন্ত কষ্টদায়ক হয় তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকিনকে খাদ্য দান করবে। আল্লাহ রোজাদারদের জন্য সহজ করতে চান, তোমাদের জন্য কষ্টকর কিছু কামনা করেন না। (সুরা আল বাকারা : ১৮৩-১৮৫)

নারীদের জন্য তাদের মাসিক পিরিয়ড ও প্রসবকালীন কিছুদিন রোজা পালন করা শরিয়তের আলোকে নিষেধ। ওই সময়ে ছেড়ে দেওয়া রোজা রমজান-পরবর্তী কোনো সময়ে পূরণ করে নেবে। এভাবে যারা শরিয়ত সম্মত সফর অথবা অসুস্থতাজনিত কারণে যে ধরনের অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভ করে রোজা আদায় করতে সক্ষম হন, তাদের জন্যও পরবর্তীকালে রোজা আদায় করা আবশ্যক। আর যদি অসুস্থ ব্যক্তির আরোগ্য হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে কিংবা এমন বৃদ্ধ অবস্থায় পৌঁছে যান যার জন্য রোজা রাখার সক্ষমতা ও সামর্থ্য কখনো ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই, তাহলে ওই ব্যক্তি ফিদিয়া আদায় করবে। কোনো ধরনের ভুলভ্রান্তির কারণে শরিয়তের পক্ষ থেকে যে বিনিময় বাধ্যতামূলক করা হয় তাকে ফিদিয়া বলে। পবিত্র রমজান মাসে যারা রোজা রাখতে অক্ষম, তাদের বিকল্প বিধানকেও ফিদিয়া বলা হয়। ফিদিয়ার পরিমাণ হলো- প্রতিটি রোজার জন্য একজন দরিদ্র ব্যক্তিকে পেট ভরে দুবেলা খাবারের ব্যবস্থা করা। টাকা দিয়েও ফিদিয়া আদায় করা যায়। তখন প্রত্যেক রোজার জন্য ফিদিয়ার ন্যূনতম পরিমাণ হলো- সদকায়ে ফিতরের সমান। ফিদিয়া পাওয়ার উপযুক্ত হলো গরিব, মিসকিন যারা জাকাত পাওয়ার উপযুক্ত তারাই ফিদিয়া পাওয়ার উপযুক্ত হিসেবে গণ্য হবে। আমাদের সমাজে বিভিন্ন ধরনের ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। অনেকে মনে করে, কেউ অসুস্থ হলে বা রোজা পালন করতে অক্ষম হলে অন্য কাউকে দিয়ে বদলি রোজা রাখাতে হয়। আসলে বদলি রোজা বলতে ইসলামে কোনো পরিভাষা নেই। বরং অসুস্থ ব্যক্তি সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে, সুস্থ হওয়ার পর নিজেকেই তা কাজা করতে হবে। আর সুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলে প্রতিটি রোজার জন্য একেকটি করে ফিদিয়া আদায় করতে হবে।

রোজা অবস্থায় ইনহেলার স্প্রে করার বিধান : শাসকষ্ট দূর করার জন্য মুখের ভিতরে ইনহেলার স্প্রে করা হয়। কেউ কেউ এমন আছে যারা এই ইনহেলার ব্যবহার করা ব্যতীত দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করতে অক্ষম। ওষুধটি স্প্রে করার সময় যদিও গ্যাসের মতো দেখা যায়, কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে তা দেহবিশিষ্ট তরল ওষুধ। অতএব মুখের অভ্যন্তরে ইনহেলার স্প্রে করার দ্বারা রোজা ভেঙে যাবে। সাহরির সময় থেকে ইফতার পর্যন্ত ইনহেলার ব্যবহার করা ব্যতীত যারা অতিক্রম করতে অক্ষম তাদের জন্য রোজা পালন করা বাধ্যতামূলক নয়। তারাও অসুস্থ হওয়ার কারণে পরবর্তী রোজা কাজা করবে। তা সম্ভব না হলে ফিদিয়া আদায় করবে। আর অসুস্থ ব্যক্তি তার রোজা কাজা করা বা ফিদিয়া দেওয়ার আগেই মারা গেলে তার পক্ষ থেকে তার আত্মীয়স্বজন যথাসাধ্য ফিদিয়া আদায় করার চেষ্টা করবে।

লেখক : গবেষক, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধরা, ঢাকা

শিক্ষাবার্তা ডট কম/এএইচএম/১৯/০৩/২০২৪

magnifiermenu linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram