বৈশাখী ভাতার উৎকন্ঠায় রেখে মার্চ মাসের এমপিও ছাড়
নিজস্ব প্রতিনিধি।।
সারাদেশের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীগণ যথাসময়ে বৈশাখী ভাতাসহ এমপিও না পাওয়ায় হতাশা এবং ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। শিক্ষক-কর্মচারীগণ কবে নাগাদ বৈশাখী ভাতা পাবেন তার কোন সদুত্তর পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে শিক্ষক-কর্মচারীগণ শিক্ষক নেতাদের সাথে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছেন।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)'র সভাপতি অধ্যক্ষ মোঃ বজলুর রহমান মিয়া বলেন, বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পেস্কেলের অন্তর্ভুক্ত করা হলেও বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, পূর্ণাঙ্গ বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা, উৎসব ভাতা ও বৈশাখী ভাতা থেকে বঞ্চিত করা হয়। বিলম্বে হলেও শিক্ষা ও শিক্ষক বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫% বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা প্রদান করেন। পরিতাপের বিষয় পূর্ণাঙ্গ বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা অদ্যাবধি দেয়া হচ্ছে না।
এহেন আর্থিক বৈষম্যের কারণে তীব্র আর্থিক সমস্যা থাকা স্বত্বেও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ সরকার ঘোষিত "লকডাউন" শতভাগ মেনে চলায় এবং কর্মহীন অসহায় মানুষকে যার যার অবস্থানে থেকে সাধ্যমত মানবিক সাহায্য-সহযোগিতা অব্যাহত রাখায় বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটএ)'র পক্ষ থেকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
অধ্যক্ষ মোঃ বজলুর রহমান মিয়া আরও বলেন, করোনা ভাইরাস বিস্তার রোধকল্পে সরকার ঘোষিত লকডাউনের কারণে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২০/০৬/২০১২ তারিখের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্য প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীদের পাঠদান ও বিদ্যালয়/কলেজ নির্ধারিত সময়ের পূর্বে অথবা পরে অতিরিক্ত ক্লাসের মাধ্যমে অর্জনযোগ্য আয় বন্ধ থাকায় সারাদেশের সম্মানিত শিক্ষক-কর্মচারীগণ ইতোমধ্যেই তীব্র আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।
এমতাবস্থায় শিক্ষা ও শিক্ষকবান্ধব সদাশয় সরকার তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গ বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা অথবা বিশেষ প্রণোদনা প্রদানের জন্য অনুরোধ জানান।