নন-ক্যাডার চিকিত্সক নিয়োগে সুপারিশ করবে পিএসসি
৩৯তম বিশেষ বিসিএস থেকে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে প্রথম শ্রেণির নন-ক্যাডার চিকিত্সক নিয়োগের সুপারিশ করতে যাচ্ছে সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। বিসিএসে গত মঙ্গলবার ৪ হাজার ৪৪৩ জন চিকিত্সককে স্বাস্থ্য ক্যাডারে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ৮ ডিসেম্বর তাদের যোগদান করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ৩৯তম বিশেষ বিসিএসে পিএসসি থেকে ৪ হাজার ৭৯২ জন চিকিত্সক নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। একইসঙ্গে ৩৯তম বিসিএসে উত্তীর্ণ নন-ক্যাডার ৮ হাজার ৩৬০ জনের নাম ঘোষণা করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিএসসির চেয়ারম্যান মোহম্মাদ সাদিক বলেন, এ বিষয়ে প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করেছি। সময় হলেই বিস্তারিত জানতে পারবেন। পিএসসির সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, অপেক্ষমাণ নন-ক্যাডারের তালিকা থেকে মেধা অনুসারে ২০০-২৫০ জন সহকারী চিকিত্সক বা সার্জন নিয়োগ দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। পিএসসি ইতিমধ্যে কিছু শূন্য পদের তালিকা পেয়েছে। সেখানে চিকিত্সক নিয়োগের সুযোগ আছে। সেই তালিকা পেয়েই নন-ক্যাডার থেকে নিয়োগের জন্য কাজ করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
৩৯তম বিশেষ বিসিএসের ৮ হাজার ৩৬০ জন ক্যাডার হিসেবে অন্তর্ভুক্তির জন্য বেশ কিছুদিন থেকে আন্দোলন করে আসছেন। অবশ্য পিএসসি ৩৯তম বিসিএসের চূড়ান্ত সুপারিশের আগে ওই বিসিএস থেকে প্রায় দুই হাজার চিকিত্সক বেশি নিয়োগের উদ্যোগ নেয়। তবে এতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সাড়া দেয়নি।
প্রজ্ঞাপনে সহকারী সার্জন পদে ৪ হাজার ২০৩ জন ও সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে ২৪০ জন চিকিত্সককে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। নির্ধারিত তারিখে চাকরিতে যোগদান না করলে তিনি চাকরিতে যোগদান করতে সম্মত নন বলে ধরে নেওয়া হবে এবং এ নিয়োগপত্র বাতিল হয়ে যাবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছরের ১০ এপ্রিল ৩৯তম বিশেষ বিসিএসের আবেদন কার্যক্রম শুরু হয়, শেষ হয় ৩০ এপ্রিল। পরে ওই বছরের ৩ আগস্ট এই বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়, এতে ৩৭ হাজার ৫৮৩ জন অংশ নেন। পরীক্ষায় পাস করেন মোট ১৩ হাজার ৭৫০ জন চিকিত্সক। এর মধ্যে সহকারী সার্জন পদে ১৩ হাজার ২১৯ চিকিত্সক ও ৫৩১ জন সহকারী ডেন্টাল সার্জন পদে উত্তীর্ণ হন।