জেএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি-বিজ্ঞান
সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা কেমন আছো। আশা করি ভালো আছো। আজ থাকছে বিজ্ঞান ১ম অধ্যায় থেকে আলোচনা। আশা করি উপকারে আসবে।
# রাহাতের গায়ে মশার কামড় দেয়া মাত্র সে এটিকে হাতচাপা দিয়ে ধরে ফেলল। একটি ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে সে এর উপাঙ্গ, চক্ষু ও দেহাবরণ পর্যবেক্ষণ করল। পরবর্তীতে সে তার পাঠ্যপুস্তকের জ্ঞানের আলোকে এটির শ্রেণিগত অবস্থান বুঝার চেষ্টা করল।
ক. ফিতাকৃমি কোন পর্বের প্রাণী?
খ. মানবদেহে নটোকর্ডের অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
গ. রাহাতের পর্যবেক্ষণের আলোকে প্রাণীটির শ্রেণিগত অবস্থান ব্যাখ্যা কর।
ঘ. প্রাণীটির শ্রেণিগত অবস্থান জানা রাহাতের জন্য প্রয়োজন কেন? বিশ্লেষণ কর।
প্র. উ. ক.
ফিতাকৃমি হলো প্লাটিহেলমিনথিস পর্বের প্রাণী
খ.
নটোকর্ড হলো একটা নরম নমনীয়, দণ্ডাকার দৃঢ় অখণ্ডায়িত অঙ্গ। এটি মেরুদণ্ডী প্রাণীর পৃষ্ঠদেশ বরাবর সারা জীবন অথবা শুধু ভ্রƒণীয় অবস্থায় বিদ্যমান থাকে। মানবদেহে নটোকর্ড মাত্র ভ্রূণীয় অবস্থায় পৃষ্ঠীয়দেশ বরাবর বিদ্যমান থাকে এবং পূর্ণাঙ্গ অবস্থায় নটোকর্ড মেরুদণ্ডে রূপান্তরিত হয়।
গ.
আর্থ্রােপোডা পর্বের কীটপতঙ্গ শ্রেণি হলো রাহাতের পর্যবেক্ষণকৃত প্রাণী মশার শ্রেণিগত অবস্থান।
আথ্রোপোডা পর্বের বৈশিষ্ট্য হলো
# বিভিন্ন অঞ্চলে বিভক্ত এবং সন্ধিযুক্ত উপাঙ্গ বিদ্যমান।
# মাথায় এক জোড়া পুঞ্জাক্ষি ও অ্যান্টেনা বিদ্যমান।
# কাইটিনসমৃদ্ধ শক্ত আবরণী দ্বারা দেহ আবৃত।
# এদের দেহে দুই জোড়া ডানা বিদ্যমান।
উদ্দীপকে রাহাতের পর্যবেক্ষণকৃত মশার বৈশিষ্ট্যাবলির সাথে আর্থ্রােপোডা পর্বের প্রাণীদের বৈশিষ্ট্যের সাথে মিলে যায়। তাই মশার শ্রেণিগত অবস্থান হলো আর্থ্রােপোডা পর্বের শ্রেণি।
ঘ.
বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সহজে, অল্প পরিশ্রমে ও অল্প সময়ে উদ্দীপকে পর্যবেক্ষণকৃত প্রাণী মশা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য রাহাতের প্রাণীটির শ্রেণিগত অবস্থান জানা প্রয়োজন।
কোনো প্রাণী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হলে প্রাণীটির পর্ব ও পর্বের শ্রেণির শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য জানা প্রয়োজন।এক্ষেত্রে প্রাণীটিকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হয়। এসব যন্ত্রের মাধ্যমে প্রাণীর বাহিরের বিভিন্ন অঙ্গের শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য দেখা হয়। এর ফলে ঐ প্রাণীটির সাথে ঐ পর্বের অন্যান্য শ্রেণির প্রাণীদের মিল অমিলের ভিত্তিতে সম্পর্ক নির্ণয় করা যায়। এছাড়া ঐ প্রাণীর জীবনচক্র সম্পর্কে জানা এবং এর উপকারী দিক ও ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে জানা যাবে ঐ প্রাণীটির শ্রেণিগত অবস্থানের মাধ্যমে।
উদ্দীপকের রাহাতের পর্যবেক্ষণকৃত প্রাণী মশার শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য দেখে এটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য সে প্রাণীটির পর্বের শ্রেণিগত অবস্থান জানা থাকা প্রয়োজন।
উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে বোঝা যায় যে, রাহাত ম্যাগনেনিফাইং গ্লাসের মাধ্যমে উদ্দীপকের প্রাণী মশার বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ পর্যবেক্ষণ করে এটির শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করে। রাহাতের যদি মশার শ্রেণির অবস্থান জানা থাকে তবে সহজে, অল্প সময়ে মশার শনাক্তকারী বৈশিষ্ট্যে সাথে শ্রেণির বৈশিষ্ট্যের মিল ও অমিল চিহ্নিত করতে পারবে। শ্রেণির মাধ্যমে মশার জীবনচক্র এবং এটির ক্ষতিকর দিক সম্বন্ধেও সে অবগত হবে। তাই রাহাতের মশার শ্রেণিগত অবস্থান জানা থাকা প্রয়োজন।
লেখক-
আমিনুল ইসলাম, সহকারি শিক্ষক
করমদি মাধ্যমিক বিদ্যলয়, মেহেরপুর।