আন্দোলনে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা
নবম পে-স্কেল (বেতন কাঠামো) ঘোষণা, চাকরিতে প্রবেশ ও অবসরের বয়স বাড়ানোসহ সাত দফা দাবিতে আন্দোলনে যাচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন ও বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদের নেতারা এসব দাবি তুলে ধরবেন। একই সঙ্গে আন্দোলন কর্মসূচিও ঘোষণা করবেন।
সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মো. ওয়ারেছ আলী বলেন, আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। আমাদের বঞ্চনার জায়গা রয়েছে। দাবি আদায়ে শৃঙ্খলা রক্ষা করে আমরা আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করব। আমরা বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ, কালো ব্যাজ ধারণ, কর্মবিরতিসহ বিভিন্ন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করব। আশা করি সরকার আমাদের দাবিগুলো মেনে নেবে। কারণ পাঁচ বছর পরপর পে-স্কেল দেওয়ার কথা। অষ্টম পে-স্কেল ঘোষণার পর পাঁচ বছর হয়ে গেছে। আমরা নবম পে-স্কেল ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি। বৈষম্য কমানোর জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার জীবদ্দশায় ১০ ধাপের পে-স্কেল দিয়েছিলেন। আমরা নবম পে-স্কেলটা ১০ ধাপের চাচ্ছি। এতে বৈষম্য কমবে। এখন সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতনের অনুপাত ১:১০ এর মতো। এটা অনেক বেশি।
বৈষম্যের উদাহরণ দিতে গিয়ে কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি বলেন, সচিবালয়ে পিওন থেকে হয় অফিস সহকারী, এর পর পদোন্নতি পেয়ে হয় এও-পিও (প্রশাসনিক কর্মকর্তা-ব্যক্তিগত কর্মকর্তা) যেটা দ্বিতীয় শ্রেণির। কিন্তু বাইরে এ সুযোগে নেই। স্বাধীন সার্বভৌম
দেশে এটা আমরা প্রত্যাশা করি না। এটা বড় ধরনের বৈষম্য। সচিবালয়ে যারা কাজ করেন তাদের স্পেশাল অ্যালাউন্স দেওয়া যেতে পারে। তাই আমরা সমতা আনতে অভিন্ন নিয়োগবিধি চালু করার কথা বলছি। কর্মচারী যেখানেই চাকরি করুক সবার পদমর্যাদা এক হোক, পদোন্নতিও হোক একই নিয়মে।
আউটসোর্সিং দাস প্রথার মতো ব্যবস্থা বলে মন্তব্য করেন কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি ওয়ারেছ আলী। তিনি বলেন, সরকারের একটি দামি সম্পদ হচ্ছে গাড়ি। এ গাড়ি চালানোর চালক নেওয়া হচ্ছে আউটসোর্সিংয়ে মাধ্যমে। এটা তো কোনো বাধ্যবাধকতার মধ্যেই নেই। সরকারের এ সম্পদ ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নেওয়া জনবলকে উপযুক্ত বেতন দেয় না ঠিকাদাররা। কিন্তু তারা ঠিকই সরকারের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে। তাই আউটসোর্সিং বাতিলের দাবি জানাচ্ছি আমরা।
সরকারি কর্মচারী সংহতি পরিষদের সভাপতি মোহাম্মদ নিজামুল ইসলাম ভূঁঁইয়া মিলন বলেন, শনিবার প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আমরা আমাদের সাত দফা দাবি পেশ করব। দাবি আদায়ে ঘোষণা করব আন্দোলন কর্মসূচিও।